ঢাকা, ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

বিশ্বজমিন

তীব্র পানি সংকটে গাজাবাসী

মানবজমিন ডেস্ক

(৬ ঘন্টা আগে) ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫:০৪ অপরাহ্ন

mzamin

গাজাবাসীর বিরুদ্ধে ইসরাইলের সামরিক অভিযান জোরালো করায় নতুন করে বাস্তুচ্যুত হতে পারে বহু মানুষ। এর মধ্যে উপত্যকাটিতে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে পানির সংকট। পানি সরবরাহ করার পানি সরবরাহ কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় এই সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে জ্বালানি সরবরাহ না করা হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাবে।

মার্চের শুরুতে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের ওপর অবরোধ দেয় ইসরাইল। সম্প্রতি তা কিছুটা শিথিল করলেও এখনও উপত্যকাটির প্রধান প্রধান পানি সরবরাহ কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুমতি দেয়নি তেল আবিব। ফলে বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভয়াবহ মহামারির শঙ্কায় আছে গাজার নারী, শিশুসহ সকল বাসিন্দা। ইসরাইলের দাবি হামাসের হাতে বন্দী থাকা জিম্মিদের মুক্তির জন্যই নাকি এমন অমানবিক আচরণ করছে তারা। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলছে, গাজায় সীমিত আকারে প্রয়োজনীয় পণ্য ঢুকতে দিলেও সেখানে জ্বালানি প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরাইল। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের পানিভর্তি কিছু ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে তবে এখনও সেগুলো থেকে পানি সরবরাহ শুরু হয়নি।

বিবিসিকে একটি পরিবার জানিয়েছে, সংঘাতের এই ১৯ মাস তাদের সন্তানরা সমুদ্রের নোনা জল খেয়ে বেঁচে আছে। ভবিষ্যতে এসব শিশুর কিডনিতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা। খান ইউনিসের বাসিন্দা রায়েদ আল জাহারনেহ বলেছেন, তারা কখনও সুপেয় আবার কখনও লবণাক্ত পানি খেয়ে বেঁচে আছেন। বেশিরভাগ গাজাবাসীর মতো বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য জাতিসংঘের ট্রাকের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। চার সন্তানের জনক জাহারনেহ। বলেছেন, আমরা জানি এই পানি খাবার অযোগ্য, তারপরেও আমাদের এর উপরই নির্ভর করতে হয়। এতে আমাদের পাকস্থলীতে সমস্য হচ্ছে, ডাইরিয়াতে ভুগছে বাচ্চারা। কিন্তু আমাদের এগুলোর উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। এছাড়া আর আমরা কি করব? আমাদেরতো পানি পান করতেই হবে। এখানে আর কোনো বিকল্প নেই। চলতি মাসের শুরুতে দক্ষিণ গাজার একটি পানি সরবরাহ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ইউনিসিফের জোনাথন ক্রিকস। তখন কেন্দ্র থেকে বেশ শব্দ শোনা যাচ্ছিল। তিনি জানিয়েছেন, ওই কেন্দ্র বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় প্রায় ৮০ শতাংশ পানি উত্তোলন কমে গেছে। এই সমস্যা সমাধানে পানি উত্তোলনের জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ইউনিসিফের ওই কর্মকর্তা। বলেছেন, দ্রুত পানি উত্তোলন করে তা ট্রাকে করে সরবরাহ করতে হবে। বিদ্যুৎ না থাকলে শুধু জ্বালানি দিয়ে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা বেশ কঠিন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
 

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status