বিশ্বজমিন
ট্রাম্পের গোল্ডেন ডোম পরিকল্পনা, মহাকাশে সামরিক অধ্যায়ের নতুন সূচনা
মানবজমিন ডেস্ক
(৫ ঘন্টা আগে) ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:১৩ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। যার নাম দিয়েছেন গোল্ডেন ডোম প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের নবঘোষিত এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বৈশ্বিকভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করবে। কয়েক দশক ধরে গড়ে ওঠা উদ্যোগ মহাকাশ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে উল্টে দিতে পারে বলে মনে করছেন তারা। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ মহাকাশ শিক্তিধর রাষ্ট্রের সম্পর্কে নতুন কোন রূপ সৃষ্টি হতে পারে। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গোল্ডেন ডোম এমন একটি পরিকল্পনা যার মাধ্যমে পৃথিবীর কক্ষপথে উপগ্রহ এবং অস্ত্রের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চান ট্রাম্প। এই পরিকল্পনার সম্ভাব্য ব্যায় ১৭৫ বিলিয়ন ডলার। এর মাধ্যমে মহাকাশকে সামরিকীকরণের পথ আরও জোরালো হতে পারে। যা গত কয়েক দশক ধরে তীব্র হয়েছে বলে বলছেন মহাকাশ বিশ্লেষকরা।
মহাকাশে সামরিক অগ্রযাত্রায় এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া। ১৯৬০ এর দশক থেকে মহাকাশে সামরিক এবং গোয়েন্দাগিরিতে এগিয়ে থাকতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে এই তিন দেশ, যা পৃথিবীবাসীর জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে রাশিয়া ও চীনের মহাকাশ-ভিত্তিক হুমকির ফলে মহাকাশে সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করতে সোচ্চার হয় যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বাহিনী। জানুয়ারিতে ট্রাম্প যখন এই গোল্ডেন ডোমের পরিকল্পনা উত্থাপন করেছিলেন তখনই বুঝা গিয়েছে মহাকাশে আধিপত্যের লড়াইয়ে বড় কোনো পদক্ষেপের পথে হাঁটছেন তিনি। যা পরীক্ষিত প্রযুক্তি যা মার্কিন প্রতিরক্ষা ঠিকাদারদের জন্য আর্থিক আশীর্বাদ হতে পারে। এ ধারণায় মহাকাশ-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেগুলো কক্ষপথে অবস্থিত উপগ্রহ থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। এছাড়া পৃথিবী থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকেও বাধা দেবে বিশেষ ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা।
ওয়াশিংটন সিকিউর ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন থিঙ্ক ট্যাঙ্কের মহাকাশ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীল বিষয় পরিচালক ভিক্টোরিয়া স্যামসন বলেন, আমি মনে করি এটি একটি প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দিচ্ছে। যার দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি সম্পর্কে আমরা কোনো চিন্তা করিনি। স্যামসন এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্পের গোল্ডেন ডোম অন্যান্য দেশকেও এমন পদক্ষেপ নিতে উস্কানি দিতে পারে। যার মাধ্যমে মহাকাশে আধুনিক সামরিক সরঞ্জামের ঝনঝনানি বৃদ্ধি পাবে। মহাকাশ হয়ে উঠবে অস্ত্র মোতায়েনের প্রধান স্থান। যদিও এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানায়নি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ (পেন্টাগন)।