বিশ্বজমিন
ডনের সম্পাদকীয়
ক্রসরোডে বাংলাদেশ
মানবজমিন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২২ অপরাহ্ন

গুরুত্বপূর্ণ এক ‘ক্রসরোডে’ বাংলাদেশ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের সরকারকে উৎখাতের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বেসামরিক অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। এর মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের আশা তৈরি হলেও, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি প্রতিশ্রুত নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর ছায়া ফেলেছে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত ও নির্বাচনে দলটির অংশগ্রহণ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত উদ্বেগজনক। পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডন ‘আওয়ামী লীগ ব্যান’ শীর্ষক এক সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলেছে। এতে আরও বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও তার দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ কতটা গুরুতর সেটা কোনো ব্যাপার না, কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার দাবি রাখে।
বাংলাদেশের ইতিহাসের গভীরে শিকড় প্রোথিত আছে এদেশের সবচেয়ে পুরনো এই দলটির। তাই রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে আওয়ামী লীগকে সহজে মুছে ফেলা যাবে না। এর বিশাল সমর্থনসহ রাজনৈতিক বাস্তবতা আছে। দলটিকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করায় বাংলাদেশের ভঙ্গুর গণতন্ত্র অস্থিতিশীলতার ঝুঁকিতে থাকে এবং এর ভোটারদের একটি বড় অংশ ভোটাধিকার বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।
এতে আরও বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় ভারতের হয়তো নিজস্ব স্বার্থ থাকতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, একটি বড় রাজনৈতিক শক্তিকে বাদ দিলে কেবল পক্ষপাতের অভিযোগকেই উস্কে দেবে। রাজনৈতিক বিভাজন আরও গভীর হবে। এটা এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে যে, ঢাকা তার প্রতিশ্রুত অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রাখতে পারছে কিনা। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে, তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও বৈধ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর তদারক করা। কিন্তু ব্যালটের পরিবর্তে যদি রাজনৈতিক বিরোধিতার সমাধান করা হয় নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে, তাহলে সেই লক্ষ্য অর্জিত হবে না।
আওয়ামী লীগ সহ সব রাজনৈতিক দলকে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক আদর্শে নিজের প্রতিশ্রুতিকে অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে ড. ইউনূসকে। নির্বাচনের জন্য একটি স্পষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ ও সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা শুধু পরবর্তী সরকারের বৈধতাকে শক্তিশালী করবে না বরং সামরিক হস্তক্ষেপের বিপদ এড়াতেও সাহায্য করবে। কোনো কোর্ট বা রাজনৈতিক ডিক্রি নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যত অবশ্যই ব্যালটের মাধ্যমে নির্ধারণ হতে হবে।
পাঠকের মতামত
নিষিদ্ধ না স্থগিত করা হয়েছে।
ডন পত্রিকা বাজে ফালতু বাজে নিউজ করে।
নিষিদ্ধে একদল মানুষ অসন্তুষ্ট, যদিও অনেকে বলে এ্টা মানুষরুপী গিরগিটির দল।
আমি ডনের এই প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগের এদেশের রাজনীতিতে এতো অপরাধ জমে গেছে যে এদেশের মানবিক মূল্যবোধ, মানবধিকার ,ধর্মীয় স্বাধীনতা, স্বজাতির উপর গণহত্যা,সার্বভৌমত্ব চরম হুমকির সম্মুখীন । বর্তমান সরকার সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা এদেশের মানুষের প্রানের দাবিতে প্রোথিত হয়েছে। ডনের চরিত্রে কোন প্রতিবেদন প্রকাশের আগে গভীর ভাবে চিন্তা ভাবনা ও সঠিক উপলব্ধি করা। সেই সা যোগ্য লোককে নিয়োগ দেয়া।
I think election is not the solution right now. We may take more time.
ইসরাইল জাতিসংঘের অনেক পুরানো সদস্য, কিন্তু ইসরাইল জাতিসংঘের কোন আইনের পরোয়া করেনা। সংঘবদ্ধ হওয়া অন্যান্য সভ্য সদস্যের মত ইসরাইলকে কি একটা সভ্য দেশ বলা যায়? জার্মানিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন হয়ে হিটলার চরম স্বৈরাচারী আচরণের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে বিপজ্জনক করে তুলেছিল। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর এর রাজনৈতিক অস্তিত্ত্বের অবশিষ্ট ছিলনা। আওয়ামীলীগ গণতান্ত্রিক দল ছিল বটে কিন্তু প্রতিষ্ঠার পরপরই ভারতের এজেন্ট হিসাবে পুর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মের বিরুদ্ধাচরণ শুরু করে। হিটলারের মত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে ১৯৭১ সালে এটি একদলীয় স্বৈরাচার হয়ে উঠে। এরপর '৯৬ তে হিজাব, তসবিহ, তাহাজ্জুদের মুনাফেকি এবং উদোম ভারতীয় সমর্থনে এ দেশের মানুষের কাঁধে স্বৈরতন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছিল এ দলটি। এমন মাফিয়া দলকে রাজনৈতিক দল বলা হলে সেটা হবে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার।
আওয়ামী লীগ গনতন্ত্রের সুযোগে ক্ষমতায় যেয়ে ফ্যাসিষ্ট কায়েম করে। অন্য দেশের সার্থ উদ্ধারে মগ্ন থাকে। কতবার জনগণ তাদের বিশ্বাস করবে ?
যতটুকু বিশ্লেষণ করেছেন ভালো ও অনেকটা যৌক্তিক। লাফালাফি মার্কা সাংবাদিক দিয়ে এটলিষ্ট বিশ্লেষণ টা হয়নি। আমার কাছে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য/ গ্রহণযোগ্য নিয়ে বিশ্লেষণ টা ভালো মনে হয়েছে এবং আওয়ামীলীগের প্রয়োজনীয়তা রাজনৈতিক দল হিসেবে।
ডন যতটুকু বুঝে ততটুকুই লিখেছে। Don't mind them. They always tight against people's opinions. Let's them right.
আওয়ামীলিগ কোন রাজনৈতিক দল নয়, এরা শুধুই ভারতের দালাল।
আওয়ামীগকে শর্ত সাপেক্ষে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।তাদের গুম,খুন ও গনহত্যা সহ যাবতীয় অপরাধের বিচার সম্পন্ন হওয়ার পর পুনরায় তাদের রাজনীতি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।
পাকিস্তান এবং পাকি মিডিয়া সর্বদা এক ইঞ্চি বেশি বোজার চেষ্টা করে বলেই তারা বিশ্ব অর্থনীতিতে অনেক পিছিয়ে।
বড়, পুরাণ, শক্তিধর হলে বুঝি অপরাধের শাস্তি নাই।
আওয়ামী লীগ সরকার নীজেই লেভেল প্লেইং ফিল্ডেকে ধ্বংস করেছে। ১৬ বছর ধরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কে ধ্বংসকারী আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়েই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের সুবিধা ভোগ করবে তা কি করে হয়।
German & Bangla What a compare , same
লিখা ভালো লেগেছে, যৌক্তিক মনে হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাথে জুলাই এর তুলনা অনেক বাড়াবাড়ি।
ডনের উচিত জার্মানির নাজি পার্টিকেও জেন ভোটে ফিরিয়ে এনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিসচিত করে সেদেশে সেটা নিয়ে একটা প্রবন্ধ লেখা।
আওয়ামি নিষিদ্ধকরণ জনমতের প্রতিফলন। এটা অবশ্যই হওয়া উচিত। নাৎসিকে পুনর্বাসন করে লেভেল ফিল্ড এর গল্প যেমন মানায় না তেমনি ফ্যাসিষ্ট নিকৃষ্ট খুনি চাদাবাজ দলকে নির্বাচনে কেন কোন অবস্থাতেই কোন সেক্টরে বৈধতা দেয়া যায়না। আমাদের দেশের ভাল মন্দ আমাদের বুঝতে দেয়া উচিত ডনের পরামর্শ খামাখা। নিজের চরকায় তেল মাখ।
আওয়ামী লীগ সহ সব রাজনৈতিক দলকে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক আদর্শে নিজের প্রতিশ্রুতিকে অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে ড. ইউনূসকে।
আওয়ামী দের তাদের কৃত কর্মের ফল ভোগ করতেই হবে । নিষিদ্ধ না হলেও নিরবাচন করার মত যোগ্য লোক তারা খুজে পেত না । তাদের বিরুদ্ধে জন রোষ এত বেশী যে তারা স্বাভাবিক ভাবে সভা সমিতি করতে পারতো না । তবে বর্তমান প্রেক্ষা পটে তাদের ভোট গুলু জাতিয় পার্টিতে যাবে ।শেখ পরিবার থেকে আর আওয়ামী লীগের নেত্ত্রিত আসবে না । এক সময় অন্য নাম নিয়ে রাজনীতি করবে । এটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ।
আওয়ামী লীগ সহ সব রাজনৈতিক দলকে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক আদর্শে নিজের প্রতিশ্রুতিকে অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে ড. ইউনূসকে। It is not simple as your note. Hasina Govt killed 1400 people. So Present Govt has taken a good decision.
'কোনো কোর্ট বা রাজনৈতিক ডিক্রি নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অবশ্যই ব্যালটের মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে!' বাস্তবতা হলো এই নীতি বাক্য থেকে আমরা ক্রমেই বাংলাদেশকে গভীর খাদের কিনারে নিয়ে যাচ্ছি!