বিশ্বজমিন
ভারতের রকেট উৎক্ষেপণ ব্যর্থ, কয়েক মিনিটেই হারিয়ে যায় স্যাটেলাইট
মানবজমিন ডেস্ক
(১১ ঘন্টা আগে) ১৮ মে ২০২৫, রবিবার, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:০৩ অপরাহ্ন

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো রোববার তাদের ১০১তম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কার্যক্রম সম্পন্ন করলেও কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইওএস-০৯ স্যাটেলাইট হারিয়ে যায়। এই উৎক্ষেপণটি করা হয় পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের মাধ্যমে। কিন্তু তৃতীয় ধাপে সমস্যার কারণে মিশন ব্যর্থ হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
ইসরোর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়, রোববার ১০১তম উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হয়। তা স্বাভাবিকভাবে দ্বিতীয় ধাপ পর্যন্ত কাজ করেছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপে গিয়ে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যালে (পিএসএলভি-সি৬১) কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে মিশন সফল হয়নি। ইসরো চেয়ারম্যান জানান, চার ধাপবিশিষ্ট পিএসএলভি যানের পারফরম্যান্স দ্বিতীয় ধাপ পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল। আমরা এ বিষয়টি বিশ্লেষণের পরে বিস্তারিত জানাব।
উল্লেখ্য, ইওএস-০৯ একটি অত্যাধুনিক আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট, যাতে সি-ব্যান্ড সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। এটি সব আবহাওয়া ও দিনে-রাতে কাজ করতে সক্ষম, এবং উচ্চ রেজ্যুলুশনে পৃথিবীর ছবি ধারণ করতে পারে। এই উপগ্রহ কৃষি, বন ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ মোকাবিলা, এমনকি কৌশলগত ও সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত হওয়ার কথা ছিল। এই মিশন পরিবেশগত দায়িত্বশীলতার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ উপগ্রহটিতে একটি ‘ডি-অরবিটিং ফুয়েল’ রাখা হয়েছিল, যাতে মিশনের শেষে এটি নিরাপদে ধ্বংস করা যায়। এটি ছিল পিএসএলভি রকেটের ৬৩তম ফ্লাইট এবং ২৭তম পিএসএলভি-এক্সএল কনফিগারেশন।
ইসরোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই মিশন পিএসএলভির নির্ভরযোগ্যতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে, যদিও মিশন সফল হয়নি।
উৎক্ষেপণের আগে ইসরোর বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ এবং সংশ্লিষ্ট শিল্প সংস্থাগুলোকে অভিনন্দন জানান বিজ্ঞানী ড. ডব্লিউ সেলভামূর্তি। তিনি বলেন, ইওএস-০৯ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্যাটেলাইট, যা পৃথিবীর বিভিন্ন পরিবর্তন পর্যবেক্ষণে সাহায্য করবে। এটি কৃষি, বন, দুর্যোগ ও সামরিক ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে কাজে লাগবে।
এদিকে বহু মানুষ, বিশেষ করে শিশু ও পরিবার, শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে এসে রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে চেয়েছিলেন। তবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনার কারণে নিরাপত্তাজনিত কারণে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। অনেকেই হতাশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তারা এত দূর থেকে এসেও সরাসরি দেখতে পারেননি। রানিপেট থেকে যাওয়া এক শিশু বলে, আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি। কিন্তু দেখতে পারলাম না। তবে আমি খুব গর্বিত যে আমি এখানে আসতে পেরেছি। আরেক পর্যটক বলেন, ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে এসেছি, উৎক্ষেপণ দেখতে না পেরে খারাপ লাগছে। তবে পরের বার নিশ্চয়ই আবার আসব। আমার স্বপ্ন একদিন ইসরো চেয়ারম্যান হওয়া, আমি মহাকাশ বিজ্ঞানে খুবই আগ্রহী।
পাঠকের মতামত
SAKUNER KU DRISHTI TE GORU MORE NA .
Man propose but Allah dispose.
আলু পটল চাষ বাদ দিয়ে ভারতের এগুলো মানায় না, হাহাহা
Thank God.