বিশ্বজমিন
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা
৮০ বছর পর আবার শঙ্কিত পশ্চিমা বিশ্ব
মানবজমিন ডেস্ক
(১০ ঘন্টা আগে) ৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:৫১ অপরাহ্ন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের বহু মানুষ মনে করছেন আগামী এক দশকের মধ্যে আরেকটি ভয়াবহ বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইউগভ পরিচালিত এক সাম্প্রতিক জরিপে এমন উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে। বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও স্পেনে চালানো জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শতকরা ৪১ থেকে ৫৫ ভাগ পর্যন্ত মানুষ বিশ্বাস করেন, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ‘খুব সম্ভব’ বা ‘মোটামুটি সম্ভব’। যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা ৪৫ ভাগ নাগরিক একই রকম মত পোষণ করেন। সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। ভিই ডে বা ইউরোপে বিজয় দিবসের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশ মনে করেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ববর্তী ও চলমান ঘটনাগুলোর শিক্ষা আজও প্রাসঙ্গিক এবং তরুণ প্রজন্মকে তা শেখানো জরুরি। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উত্তরদাতা (৬৮ ভাগ থেকে ৭৬ ভাগ) বিশ্বাস করেন, সম্ভাব্য এই নতুন সংঘাতে ব্যবহৃত হবে পারমাণবিক অস্ত্র। এছাড়া শতকরা ৫৭ ভাগ থেকে ৭৩ ভাগ মানুষ মনে করেন এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তুলনায় আরও বেশি প্রাণহানি ঘটাবে। অনেকেই (২৫ ভাগ থেকে ৪৪ ভাগ) আশঙ্কা করছেন, এই যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী মানুষের বড় অংশের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
জরিপ অনুযায়ী, বেশিরভাগ মানুষ (৬৬ ভাগ থেকে ৮৯ ভাগ) মনে করেন এই সম্ভাব্য যুদ্ধের সঙ্গে তাদের দেশ জড়িত থাকবে। তবে নিজেদের সশস্ত্র বাহিনীর ওপর আস্থার অভাবও স্পষ্ট। ইতালিতে শতকরা মাত্র ১৬ ভাগ এবং ফ্রান্সে শতকরা ৪৪ ভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন তাদের সামরিক বাহিনী দেশকে রক্ষা করতে পারবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ৭১ ভাগ মানুষ মার্কিন সেনাবাহিনীর সক্ষমতার প্রতি আস্থা রাখেন। যুদ্ধের সম্ভাব্য প্রধান কারণ হিসেবে রাশিয়াকে দেখছেন সর্বোচ্চ সংখ্যক উত্তরদাতা। পশ্চিম ইউরোপে শতকরা ৭২ ভাগ থেকে ৮২ ভাগ এবং যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ৬৯ ভাগ মানুষ রাশিয়াকে সম্ভাব্য আগ্রাসনকারী হিসেবে দেখছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইসলামপন্থি উগ্রবাদ। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ইউরোপের অনেক নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রকেও হুমকি হিসেবে দেখছেন। স্পেনে শতকরা ৫৮ ভাগ, জার্মানিতে শতকরা ৫৫ ভাগ এবং ফ্রান্সে শতকরা ৫৩ ভাগ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনাকে ইউরোপীয় শান্তির জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বা ‘মাঝারি ধরনের’ হুমকি বলে মনে করেন।