বিশ্বজমিন
লেবাননে ইসরাইলের ২০ যুদ্ধবিমানের হামলা
মানবজমিন ডেস্ক
(১০ ঘন্টা আগে) ৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:৩২ অপরাহ্ন

ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) সোমবার সন্ধ্যায় ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত হোদেইদা বন্দরে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। রোববার ইরান সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। তা বিমানবন্দরের খুব কাছে পতিত হয়। সৃষ্টি হয় বিশাল গর্ত। এই হামলার জবাবে ইসরাইল ওই হামলা চালিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বাজিলের একটি কংক্রিট কারখানায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
হুতি-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, সেখানে অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন। অভিযানের সময় তেল আবিবের কিরিয়া ঘাঁটির গোপনীয় কমান্ড সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ও আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামির। বিমান বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল তোমের বার পাশের একটি কমান্ড পোস্ট থেকে অভিযান পরিচালনা করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইসরাইল। আইডিএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২০টি ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ওই অভিযানে অংশ নেয়। ইয়েমেনের উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থিত হুতিদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে ৫০টির বেশি বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে। হামলার লক্ষ্যস্থলগুলোর মধ্যে হোদেইদা বন্দর এবং কাছের বাজিল শহরের একটি কংক্রিট কারখানা অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেখান থেকে ইসরাইলের দূরত্ব প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার। আইডিএফ-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হোদেইদা বন্দরটি ইরানি অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
বাজিলের কংক্রিট কারখানাটি হুতি গোষ্ঠীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পদ এবং এটি সামরিক টানেল ও অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছিল। আইডিএফ আরও বলেছে, এ হামলা হুতি নিয়ন্ত্রিত সরকারের বিরুদ্ধে একটি অর্থনৈতিক ও সামরিক আঘাত। এ আঘাত হুতিদের দ্বারা ইসরাইলের ভূখণ্ড ও সাধারণ জনগণের ওপর চালানো ধারাবাহিক হামলার জবাবে পরিচালিত হয়েছে।
এটি ছিল ইয়েমেনে ইসরাইলের ৬ষ্ঠ হামলা এবং জানুয়ারির পর এই প্রথম। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র হুতি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি বড় আকারের বিমান অভিযানে অংশ নেয়। এর পর ইসরাইল কিছুদিন হুতিদের হামলার জবাব দেওয়া বন্ধ রেখেছিল।
ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানান, এ হামলা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে চালানো হলেও তা যৌথ অভিযান ছিল না। হুতি মিডিয়া অফিসের প্রধান নাসরুদ্দিন আমের এক বিবৃতিতে বলেন, সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর পরিচালিত এই আগ্রাসী ইহুদি-আমেরিকান হামলা আমাদের প্রতিরোধ আন্দোলনকে দমন করতে পারবে না। আমরা এর উপযুক্ত জবাব দেব। ওদিকে রোববার যে ক্ষেপণাস্ত্রটি বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের পাশে আঘাত হানে, তা প্রথমবারের মতো ইসরাইলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটবর্তী এলাকায় বিস্ফোরিত হয়। এটি একটি পার্কিং লটের পাশে গাছপালায় পড়ে বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এতে একটি বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ছয়জন আহত হলেও কারও অবস্থা গুরুতর নয়। এর ফলে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা তাদের ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করে।