শেষের পাতা
এনসিপি
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনে সমাজের সব অংশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়নি
স্টাফ রিপোর্টার
৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবারনারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্যদের মধ্যে সমাজের সব অংশের নারীদের প্রতিনিধিত্ব ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানায় দলটি। এনসিপি বলছে, এই কমিশনের কিছু সুপারিশ বাংলাদেশের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে রাষ্ট্রের দ্বান্দ্বিক অবস্থান তৈরি করে সমাজ বনাম রাষ্ট্র এবং ধর্ম বনাম নারীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। যেসব বিষয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলোতে সব প্রতিনিধিত্বশীল অংশীজনের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রাখা দরকার।
দলের পক্ষ থেকে ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে এনসিপির অবস্থান’ শিরোনামে বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছেন এনসিপি’র যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত। এতে বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করে। এর মধ্যে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গত ১৯শে এপ্রিল তাদের প্রস্তাব পেশ করে। এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আওতাভুক্ত ছয়টি সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ঐকমত্য কমিশনের আওতায় ছিল না। ফলে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো পূর্ব আলোচনা বা মতামত দেয়ার সুযোগ পায়নি। দেখা যাচ্ছে, নারীবিষয়ক এই কমিশনের প্রস্তাবকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন মাত্রার আলোচনা ও মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে।
এনসিপি বলছে, বাংলাদেশের প্রতিটি সংগ্রামে, বিশেষত জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সব শ্রেণি, পেশা, ধর্ম, বর্ণের নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ, নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের ফলে ১৫ বছরের জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদ থেকে জাতির মুক্তি ঘটেছে। এই ইতিহাসকে আমরা ভুলবো না। এনসিপি নারীদের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার ও সামাজিক সংগ্রামকে গভীরভাবে উপলব্ধি করে এবং নারীর মর্যাদা ও অধিকার বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নারীদের সঙ্গে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এনসিপি ঐক্যবদ্ধ।
এ ছাড়াও নারীবিষয়ক কমিশনের প্রস্তাবের সমালোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন সমাবেশ থেকে নারীদের প্রতি প্রকাশ্যে যে শ্লেষাত্মক ও অমর্যাদাকর বক্তব্য দেয়া হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি।