বাংলারজমিন
বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ
শায়েস্তাগঞ্জে মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে বরখাস্ত
শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবারনীতিমালা অনুসরণ না করে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রায় পাঁচ বছর পর বরখাস্ত করা হয়েছে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শাহাব উদ্দিনকে। গত রোববার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও মাদ্রাসার সভাপতি নাঈমা খন্দকার এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করেন। অফিস আদেশে উল্লেখ, যেহেতু তার বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে, সেহেতু অধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। এর আগে গত ১০ই ফেব্রুয়ারি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আইউব হোসেন স্বাক্ষরিত এক বার্তায় মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতিকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এ ছাড়া তার নিয়োগ বাতিল চেয়ে দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১৯শে ডিসেম্বর ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে অধ্যক্ষ সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য মাদ্রাসার সভাপতিকে পত্র লিখেন রেজিস্ট্রার আইউব। পরবর্তীতে মাদ্রাসার সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রিয়াংকা পাল সরজমিন তদন্ত শেষে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন মর্মে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরকে লিখিতভাবে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।
মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাইমা খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার নিয়োগের বিষয়ে যতগুলো অভিযোগ তদন্ত হয়েছে সবগুলো অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অধ্যক্ষ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫শে জুলাই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় জাল-জালিয়াতি ও কাম্য অভিজ্ঞতাবিহীন বিধিবহির্ভূতভাবে মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি এমপি আবু জাহিরকে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হন সাহাব উদ্দিন। একই বছরের ২০শে অক্টোবর শিক্ষার্থীর অভিভাবক লিলু মিয়া অবৈধভাবে অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি লিখিত আকারে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সকল তদন্তে নিয়োগে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেলেও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি স্থগিত করে রাখেন আওয়ামী লীগের নেতা সাহাব উদ্দিন।