‘আয়নাঘরে’ ছয় মাস আটক রেখে নির্যাতন, পল্লী চিকিৎসক গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে আয়নাঘরে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আয়নাঘর থেকে মুক্তি পাওয়া বৃদ্ধ আব্দুল জুব্বারের ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতে রায়গঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত গ্রাম্য চিকিৎসক নাজমুল ইসলাম আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আয়নাঘর থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত শিল্পী খাতুন চান্দাইকোনা ইউনিয়নের লক্ষ্মী বিষ্ণুপ্রসাদ গ্রামের মুনসুর আলীর স্ত্রী ও বৃদ্ধ আব্দুল জুব্বার একই ইউনিয়নের পূর্বপাইকড়া গ্রামের মৃত রুস্তম শেখ। ভুক্তভোগীরা জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সোনারাম পূর্বপাড়া গ্রামে জহুরুল ইসলামের পুত্র সুমনের বাড়িতে একটি ঘরে শিল্পী খাতুন ও বৃদ্ধ আব্দুল জুব্বারকে দীর্ঘ ছয় মাস আটক করে রাখে গ্রাম্য চিকিৎসক নাজমুল ইসলাম আরাফাত ও তার সহযোগীরা। বৃহস্পতিবার রাতে কেচি দিয়ে মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করে আয়না ঘর থেকে বের হয় তারা। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আয়না ঘরের সন্ধান পায়। এ সময় চক্রের সদস্য নাজমুল ইসলাম আরাফাতকে আটক করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ ভিড় করে ঘটনাস্থলে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুমন ও আরাফাতের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে উত্তেজিত জনতা।

ভুক্তভোগীরা আরও জানায়, তারা ছয় মাস একটি অন্ধকার, দমবন্ধ পরিবেশে বন্দি ছিলেন। কোনো আলো-জলবায়ু প্রবেশ করতে পারতো না। অবশেষে আরাফাতের ফেলে যাওয়া কেচিই তাদের মুক্তির উপায় হয়। কেচি দিয়ে মাটি খুঁড়ে তারা বেরিয়ে আসেন। আরাফাতের সঙ্গে তাদের পুরনো শত্রুতা ছিল। সেই কারণেই শিল্পীকে অপহরণ করে বন্দি করে রাখা হয়।