বাংলারজমিন
‘চটগ্রামে দেশের সবচেয়ে বড় ক্যান্সার হাসপাতাল হবে’
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
৪ মে ২০২৫, রবিবারচট্টগ্রামে একদিন পুরো দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্যান্সার হাসপাতাল হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স'ায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, কারো যদি ক্যান্সার হয় তাহলে এটা পরিবারের সমস্ত মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। আর্থিকভাবে ধ্বংস করে দেয় এবং পরিবারের সুখ বলতে আর কিছু থাকে না। শনিবার দুপুরে নগরীর আগ্রাবাদস' চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে দৈনিক আজাদীর সার্বিক সহযোগিতায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টারের মালেকা খাতুন অনকোলজি ওয়ার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি আমীর হুমায়ূন মাহমুদ চৌধুরী। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ, ক্যান্সার ইন্সটিটিউশনের সার্বিক বিষয় উপস'াপন করেন ডা. শেফাতুজ্জাহান। আমীর খসরু বলেন, ক্যান্সার রোগী এবং তার পরিবারকে স্বস্তি দেওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে, তাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে চিন্তার কিছু নেই। এখন কিছুটা হলেও ক্যান্সারের চিকিৎসা আছে।
সময়মতো চিকিৎসা নিলে ক্যান্সার সারানোর উপায় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন সুবিধা হয়েছে যে, আগে মানুষের ক্যান্সার হলে চিকিৎসা ছিল না। কিন' এখন সময়মতো যদি চিকিৎসা নেয়া যায় তাহলে রোগ কিছুটা সারানো সম্ভব। সেই জন্য চট্টগ্রামে আজকে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, এটা অনেক বড় একটা উদ্যোগ। বড় একটা কর্মযজ্ঞ। আমি নিশ্চিত, যে জিনিসটা শুরু হয়েছে একটা ভালো উদ্যোগের মাধ্যমে এটা অনেক উপরে যাবে।
যতটুকু প্রয়োজন তা করতে পারেননি জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমি মনে করি, আমরা এখানে যতটুকু করার প্রয়োজনীয়তা ছিল তা করতে পারিনি। কারণ, এ ধরনের একটা বিরাট কর্মযজ্ঞ এখানে কিন' একা করা যায় না। এখানে সহযোগী শক্তি সবচেয়ে বড়। আজকে মালেকা খাতুন অনকোলজি যেই ওয়ার্ড চালু হলো, এটার উদ্যোগ অনেক বড়।
আগে বলা হতো চট্টগ্রামে কোনো চিকিৎসা নেই, সেটা অনেক দুঃখের বিষয় ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সম্পর্কে যখন চিকিৎসার কথা বলা হয়, প্রথম কথা সবাই বলে ওখানে কোনো চিকিৎসা নেই। ঢাকা, ইন্ডিয়া, থাইল্যান্ড যাও, চট্টগ্রামে কোনো চিকিৎসা নেই। এ কথাটা যে শুনতে হয়, এর চেয়ে দুঃখের আর বেশি কিছু নেই।
তিনি আরো বলেন, তবে চ্যারিটির মাধ্যমে যে জনসেবা, ওই যে রিলিফের পণ্য দেয়া, রমজানে শাড়ি দেয়া, এগুলো ব্যক্তিগতভাবে হয়তো ঠিক আছে। কিন' এগুলো খুবই ছোটখাটো ব্যাপার। সমাজকে যদি সেবা করতে চাই, তাহলে আমাদের ফোকাসটা হতে হবে অনেক বড়। কাজের মাধ্যমে সমাজ যেখানে সার্বিকভাবে উপকৃত হবে। বিশেষ করে সমাজের নিম্নআয়ের মানুষ কিভাবে উপকৃত হবে, সেখান থেকেই শুরু করতে হবে।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্যোগটাও কিন' সেই জাযগা থেকে শুরু হয়েছিল। সাধারণ মানুষ যারা চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারে না, তাদের জন্যই এ হাসপাতাল চিকিৎসা সেবা হিসেবে শুরু করা হয়েছিল। এবং সেই চিন্তাভাবনা, ধ্যান-ধারণা অব্যাহত রাখতে হবে। এতে উপসি'ত ছিলেন মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সহ সভাপতি আবদুল মান্নান রানা, ডা. কামরুন্নাহার দস্তগীর, ডোনার জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাগির, দাতা সদস্য হারুন ইউছুপ, নির্বাহী সদস্য তরিকুল ইসলাম তানভীর, অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দিন, সাইফুল আলম, ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, আবুল হাশেম প্রমুখ।