বাংলারজমিন
চট্টগ্রামে ডাবল মার্ডারের মূলহোতা হাসান অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
৪ মে ২০২৫, রবিবার
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ার আলোচিত ডাবল মার্ডার মামলায় প্রধান আসামি মো. হাসান (৩৭) অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানার নলের চরের ভূমিহীন বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত হাসান চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন পশ্চিম শহীদ নগরের মো. আলমের ছেলে। পুলিশ জানায়, হাসান বাকলিয়ার ডাবল মার্ডার মামলার প্রধান আসামি। এই মামলার আরেক আসামি মো. মেহেদী হাসানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ও হাসানের দেখানো মতে, শনিবার ভোরে সিএমপি’র বায়েজিদ বোস্তামীর থানার শহীদ নগর থেকে আসামি হাসানের বসতঘর থেকে ২টি ম্যাগাজিন, ২টি গুলিসহ ১টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। যার গায়ে ইংরেজিতে অটঞঙ চওঝঞঅখ গঅউঊ ওঘ টঝঅ, অপর পাশে ইংরেজিতে ৭.৬৫গগ ঘঙ ৩০০০ লেখা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি হাসান হত্যাকাণ্ডের পর মামলার তিন নম্বর আসামি হাসান আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল। আমাদের কাছে তথ্য ছিল এই হত্যাই নেতৃত্ব দেন হাসান। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নলের চর ভূমিহীন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও জানান, আমাদের ধারণা, উদ্ধার করা পিস্তলটি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে সেভেন পয়েন্ট ৬৫ বোরের বিদেশি পিস্তলের গুলির খোসা পাওয়া গিয়েছিল। ধারণা করছি, ওই খোসাটি হাসানের কাছ থেকে উদ্ধার করা পিস্তলের গুলির খোসা হতে পারে।’ এজন্য পিস্তল ও খোসাটির ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হবে বলে জানান ওসি। প্রসঙ্গত, গত ৩০শে মার্চ ভোর রাতে নগরীর চকবাজার চন্দনপুরা এলাকায় ধাওয়া করে প্রাইভেটকার থামিয়ে দুইজনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হন আরও দুইজন। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৬ এর মধ্যে। আহতরা হলেন- রবিন ও হৃদয়।
এ ঘটনায় এর আগে নগরীর চান্দগাঁও খাজা রোড ও ফটিকছড়ির কাঞ্চন নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেলাল ও মানিক নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কারাগারে থাকা ছোট সাজ্জাদকেও পুলিশ এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। গত ৬ই এপ্রিল গভীর রাতে নগরীর সদরঘাট এলাকা থেকে মো. সজীব (২৯) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে সজীব বলেছেন, তিনটি মোটরসাইকেলে করে তারা ৭ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন। দুইটি মোটরসাইকেলে দুইজন করে এবং একটিতে তিনজন ছিলেন। এ মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিনও দুই নম্বর আসামি।