বাংলারজমিন
ঠিকাদারের ধীরগতি হুমকিতে পাইলট প্রকল্প
বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
৪ মে ২০২৫, রবিবার
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সারা দেশের ১৫টি গ্রামে পাইলট প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। লটারির মাধ্যমে সারা দেশ থেকে চরম অবহেলিত ১৫টি গ্রামকে প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছিল। ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্য থেকে প্রকল্পে থাকা একটি গ্রাম হলো নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার ২নং সাহতা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেমুড়া। দক্ষিণ ডেমুড়া পাইলট প্রকল্পের কাজ পায় বরেন্দ্র কনট্রাকশন নামের একটি টিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে দীর্ঘ ছয় মাস আগে প্রকল্পটির প্রধান সড়ক ডেমুড়া চৌরাস্তা থেকে শুরু করে ডেমুড়া নতুন বাজার পর্যন্ত মাটি কাটানোর কাজ হয়। দীর্ঘ ছয়মাসে মাটিকাটা ছাড়া কোনো কাজই করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের মেয়াদ ছয়মাস চলে গেলেও এখনো প্যালাসাইডিং-এর কাজ করা হয়নি। ফলে রাস্তাটির কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গাফিলতি আর কাজের ধীরগতির অভিযোগ এলাকাবাসীর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৬ মাস আগে সর্বশেষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তাটিতে মাটি কাটায়। তারপর থেকে দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে রাস্তা নিথর পড়ে আছে। এদিকে মাটি কাটানোর রাস্তাটিতে বেশ কয়েক জায়গায় মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। রাস্তার কাজ বন্ধ কেন এমন প্রশ্নে স্থানীয় সানাউল্লাহ সুমন জানান, সরকার পাইলট প্রকল্প দিয়েছে জেনে আমরা খুবই খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ছয় মাস আগে মাটি কাটিয়ে আর কোনো কাজেই হাত দেয়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে আমাদের বহু যুগের স্বপ্নের সলিল সমাধি হয়ে যাবে হয়তো। তবে অনেক চেষ্টা করেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ ডেমুড়া পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৪-এর ডিসেম্বরের ১০ তারিখ এবং ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে রাস্তাটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। যার ব্যয় ধরা হয়েছে সাত কোটি ষোলো লাখ পঁচিশ হাজার পাঁচশত উনিশ টাকা। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ ছয়মাস চলে গেলেও এখনও প্যালাসাইডিং পোস্ট মাটিতে গাড়া হয়নি। ৫০ হাজার ব্লকের প্রয়োজন হলেও মাত্র ১০-১২ হাজার ব্লক বানান হয়েছে। এত কাজ পরে থাকার পরও যেন গা-ছাড়া দিয়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা প্রকৌশলী অমিত চন্দ্র দে জানান, গত বৃহস্পতিবার উক্ত প্রকল্পের পিডি স্যারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভিজিট করেছেন। কাজের ধীরগতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ স্টেকহোল্ডার দের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। আশা করি, সামনে গতি আরও বাড়বে।