শেষের পাতা
বগুড়ায় এনসিপি’র সমাবেশে দুই গ্রুপের মারামারি
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, বগুড়া থেকে
১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
বগুড়ায় এনসিপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বিকাল সোয়া পাঁচটায় শহরের পৌর পার্কে টিটু মিলনায়তন প্রাঙ্গণে এনসিপি বগুড়া জেলা শাখার আয়োজনে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- রিয়াদ হাসান (২৬), তাহমীদ হোসেন (২৫), জুনায়েদ হোসেন (২১), তাওহীদ (১৯)।
সূত্র মতে, এনসিপি’র অনুষ্ঠান চলাকালে বিকাল পাঁচটার দিকে এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব তাহসিন রিয়াজসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে ওঠেন। সমাবেশ শুরুর কিছুক্ষণ পরেই ছাত্র আন্দোলনের একাংশ ‘ভুয়া ভুয়া’ স্ল্লোগান দিতে দিতে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করে। এনসিপি’র নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে প্রথমে কথা-কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এরপর তিন দফা মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এমনকি সারজিস আলম বক্তব্য দেয়ার সময়ও উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে।
এনসিপি’র বগুড়া জেলা সংগঠক সাব্বির আহমেদ বলেন, আমাদের এনসিপি’র পূর্ব-নির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ গত কয়েকদিন ধরেই ভণ্ডুল করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বগুড়ার আহ্বায়ক মাহমুদুলের নেতৃত্বে কিছু দুষ্কৃতকারী আমাদের অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করতে এলে আমাদের কর্মীরা তাদের মাঠ থেকে বের করে দেয়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বগুড়ার আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, হামলাটা মূলত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতে যারা ছিল তাদের ওপর হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মূলত এনসিপি গঠন করা হয়েছে রানিং জামায়াতের আমীর শিবিরের সাথী, শিবিরকর্মী, জামায়াতকর্মী এদের দিয়ে। সঙ্গে আওয়ামী লীগের কিছু ক্যাডার বাহিনীকে নিয়ে। এই কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারজিসের কাছে যায়, আসলে এনসিপি কেন বগুড়ায় জামায়াত দিয়ে গঠন করা হচ্ছে। কেন বগুড়ায় আওয়ামী লীগ এনসিপি’র ভেতর থাকবে। এটা জানার জন্য। কিন্তু সার্জিসের কাছে আমরা পৌঁছতেই পারিনি। ভেতরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ওপর আক্রমণ করা হয়। আক্রমণে আমাদের অনেক আহত হয়েছে। তবে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে কয়েকজন ছেলেপেলে ঢুকেছিল তাদেরকে দুই-একটা চড়-থাপ্পড় মেরে বের করে দিয়েছে। পরে রাস্তার উপর তারা মারামারি করেছে। ওটা আমাদের আউট অব রেঞ্জ ছিল।