অনলাইন
প্রাইমএশিয়ার ছাত্র খুনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ১২:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২২ অপরাহ্ন

বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার মধ্যরাতে রাজধানীর মহাখালী ওয়ারলেস গেইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন-মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)।
বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার বলেন, ‘সিসিটিভি ভিডিওতে গ্রেপ্তার তিনজনকে ঘটনাস্থলে দেখা গেছে। তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারনামীয় আসামিসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে এ ঘটনায় বনানী থানায় আটজনকে আসামি করে শনিবার রাতেই মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থীর ভাই হুমায়ুন কবির। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগের তিন ছাত্র মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারী ছাড়াও আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থী পারভেজ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র। তার বাড়ি ময়মনসিংহে।
পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বলেছেন, শনিবার বিকাল ৪টায় বনানীর ১২ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের স্টার টাওয়ারে অবস্থিত বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি টং দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে শিঙাড়া খাচ্ছিলেন শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ। তার পাশেই বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া ইংরেজি ও ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের শিক্ষার্থী মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারীসহ বেশ কয়েকজন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই মেয়ে বন্ধু। এ সময় দুই নারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, পারভেজ তাদের উত্ত্যক্ত করেছেন। বিষয়টি তারা প্রথমে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির প্রক্টর মোশাররফ হোসেনকে জানান। এরপর প্রক্টর পারভেজকে ডেকে নেন। এ সময় প্রক্টর অফিসে পারভেজ দাবি করেন-তিনি তার বন্ধুদের সঙ্গে নিজেদের নিয়ে আলাপ করছিলেন। সেই বিষয় নিয়েই নিজেরা হাসাহাসি করছিলেন, কাউকে উত্ত্যক্ত করেননি। এরপরও প্রক্টর পারভেজকে সরি বলতে বলেন। একপর্যায়ে ওই দুই ছাত্রীর কাছে সরি বলে ক্ষমা চান পারভেজ। তবে ক্ষমা চেয়েও মাফ পাননি তিনি। এরপর ৩০ থেকে ৪০ জন বহিরাগত ডেকে নেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় পারভেজ ও তার এক বন্ধু ক্যাম্পাস থেকে বের হলে তাদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ডা. সাইফুল আলম বাদশা বলেছিলেন, ‘নিহত পারভেজ ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিল।’ ছুরিকাঘাতে নিহত জাহিদুল ইসলাম পারভেজের জানাজা গতকাল রোববার বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় তার মরদেহ পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেয়া হয়।
পাঠকের মতামত
All should be in custody
দুই ছাত্রীকেও অবশ্য অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে ! এরাই এই জঘন্য হত্যাকান্ডের পরোক্ষ মদদদাতা !!
দুই ছাত্রীকেও অবশ্য অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে ! এরাই এই জঘন্য হত্যাকান্ডের পরোক্ষ মদদদাতা !!
ঐ ছাত্রীদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে ! এরাই এই জঘন্য হত্যাকান্ডের পরোক্ষ মদদদাতা !!