অনলাইন
যারা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন, তারা তো এলিয়েন: জিএম কাদের
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৯:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন
সরকার দেশের ৫০ ভাগ মানুষকে বাদ দিয়ে সংস্কার প্রস্তাব করছে। এটা কখনোই বাস্তবায়ন হবে না। নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন, তারাই প্রয়োজন মত সংস্কার করবেন। এখন যারা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন, তারা তো এলিয়েন। তারা অন্য গ্রহ থেকে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে বর্ধিত সভার দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিএম কাদের আরও বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া এই দেশের মঙ্গল হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে, গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। গ্রহণযোগ্যতা না পেলে দেশে বিনিয়োগ হবে না, কর্মসংস্থান হবে না, শুধু বেকারত্ব বাড়বে। আবার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলেও কেউ এখানে বিনিয়োগ করবে না। দেশের কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বেকারত্ব বাড়ছে, কৃষকরা পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা পেশাজীবীদের সকল প্রতিষ্ঠান ধংস করেছিলো। বর্তমান সরকারও শেখ হাসিনার সেই ফর্মূলা গ্রহণ করেছে। কে কি করবে তা সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এই নিয়ন্ত্রণ করার মাঝেই তারা প্রচুর টাকা কামাই করছে। দেশে ব্যাপক চাঁদাবাজি চলছে। দেশের জনগণ আমাদের সাথে আছে, নব্য ফ্যাসিবাদকে রুখতে হবে। নব্য ফ্যাসিবাদের দোসরদের সোজা করতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, জাতি এক কঠিন সময় পার করছে। জাতি এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি পার করছে। সারাদেশে ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে দেশের মানুষকে নির্যাতন করা হচ্ছে। ফ্যাসিবাদের পতনে নব্য ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়েছে। নব্য ফ্যাসিবাদ ও তার দোসররা সারাদেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বর্তমান সরকারও শেখ হাসিনার মত একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। পেশাজীবী সংগঠনগুলোও নব্য ফ্যাসিবাদের অঙ্গসংগঠনের মত আচরণ করছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, শোক প্রস্তাব পাঠ করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব এ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, নাসরিন জাহান রতনা, শেরীফা কাদের, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
আওয়ামীলীগের আমলে সকল অবৈধতাকে জাতীয়পার্টি বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল যারফলে বাংলাদেশে বিচারহীনতার পরিবেশ তৈরী হয়েছিল। এ ব্জন্য জাতীয়পার্টি দায়ী।
হাসিনার আমলে সকল নির্বাচনে জালিয়াতির নির্বাচন হয়েছে সেই সকল নির্বাচনে আপনার জাতীয়পার্টি ও অংশগ্রহণ করে হাসিনাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তার পরেও হাসিনা বৈধতা পায়নি। সেই সময় আপনার মূখে এই ধরনের নীতিবাক্য শুনা যায়নাই। জাতীয়পার্টির জন্মই হয়েছে আওয়ামীলীগ এবং ইন্ডিয়ার গোলামী করার জন্য।
এই চোরের বাচ্চা এখনো উত্তম মধ্যম খাইনি তাই এত বড় বড় কথা। অপেক্ষা কর উত্তম-মাধ্যমের দিন অতি সন্নিকটে!