অনলাইন
হাসিনার যতসব ভুল
মানবজমিন ডিজিটাল
(৫ ঘন্টা আগে) ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ২:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৩০ অপরাহ্ন

পতিত স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা টানা ক্ষমতায় ছিলেন পাঁচ হাজার ৬৯০ দিন। এর মধ্যে ভালো-মন্দ সব কাজই ছিল তার ঝুড়িতে। তবে এর বেশিরভাগ কাজ জনস্বার্থের পরিপন্থী ছিল। জনমত উপেক্ষা করে তিনি নিজের মতো দেশ শাসন করতে চেয়েছেন। যার কারণে তিনি স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছিলেন। পতনের ১১ মাসের মাথায় হাসিনার ভুলগুলো নিয়ে রীতিমতো গবেষণা হচ্ছে। কিন্তু দলের ভেতরে এ নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। আলোচনা থাকার কথাও নয়। কারণ দলটির ৪৫ হাজার নেতাকর্মী এখন ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আশ্রয়রত। বেশিরভাগই অবশ্য ভারতে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাসিনা কথা বলছেন। কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন প্রফেসর ইউনূসকে। কিন্তু একবারও তার নিজের ভুল নিয়ে টু-শব্দটি পর্যন্ত করছেন না। রাজনৈতিক পণ্ডিতরা বলছেন, পদে পদে ভুল করেছেন হাসিনা। সে সব ভুলগুলো কী-
১. গণতন্ত্রকে হত্যা ও বিরোধী মতকে দমন করা
২. রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করা
৩. গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা
৪. নিজেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া
৫. মানুষকে হেয় করা
৬. ভারতের উপর শতভাগ নির্ভরশীল থাকা
৭. তথাকথিত ভারসাম্যের নামে বন্ধুহীন হয়ে যাওয়া
৮. টাকা লুট করা ও ভিনদেশীদের লুটে সহায়তা করা
৯. নির্বাচনকে পকেটস্থ করা
১০. বঙ্গবন্ধুকে আলাদা না করা
১১. গুম-খুনকে ক্ষমতায় থাকার হাতিয়ার বানানো
১২. সরকার ও দলকে এক করে ফেলা
১৩. বিচার বিভাগকে নিজ কবজায় নেয়া
১৪. ব্যক্তিপূজায় নিজেকে সঁপে দেয়া
১৫. দেশের নিয়ন্ত্রণ অন্য শক্তির কাছে তুলে দেয়া
১৬. ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণে না রাখা
আরো অনেক ভুল আছে। যার মধ্যে রয়েছে পরিবার তোষণ । পরিবারের বাইরের কাউকে তিনি বিশ্বাস করতেন না। যে কারণে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার তিন দিন আগেই এক খুদে বার্তা পাঠিয়ে সবাইকে দেশ ছাড়তে বলেছিলেন। ফলে তার কোনো আত্মীয় ধরা পড়েননি। বঙ্গবন্ধুকে তিনি পারিবারিক সম্পদে পরিণত করেছিলেন। পরিণতিতে তার পতনের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধুও দৃশ্যপট থেকে বিদায় নেন। সম্পূর্ণ ভারতনির্ভর শেখ হাসিনা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পতনের কাহিনী জেনেছিলেন কিনা জানি না ।

রাশিয়া সফর করার কারণে ইমরান খান গদি হারান। আখেরে রাশিয়া তার পাশে দাঁড়ায়নি। কারা তাকে সরিয়েছিল এটা এখন ওপেন সিক্রেট। ঠিক তেমনিভাবে হাসিনার পাশেও দাঁড়ায়নি ভারত। সময় যত গড়াচ্ছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট হচ্ছে নেপথ্যের সব কূটচাল।
পাঠকের মতামত
কালো লেবাশ পরে এমপি মন্ত্রী, তারা সবাই শত কুটি টাকার মালিক। ৪-৫ টা পাজারু গাড়ি, একাধিক বাড়ি, প্লট এর মালিক। তাদের ছেলে মেয়ে ও কুটি টাকার উপরে মালিক !! রাজনীতি !! হরিলুট !!
১৯৭১ এর কুচক্রী জামায়াত-শিবিরকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন না করাটাই হাসিনার সব থেকে বড় ভুল, তার সাথে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার না করা। এর সাথে আছে রাতের ভোট, অর্থ লুটেরাদের শাস্তি না দেওয়া, ইয়াবা বদিকে প্রশ্রয় দেয়া, পুলিশ সেনাবাহিনী আর বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া কাউকে মানুষ মনে না করা, আল্লাহর উপর ভরসার পরিবর্তে এদের উপরে ভরসা করা, সর্বশেষ ভুল জুলাই আন্দোলন এর দাবী শুরুতেই মেনে না নেওয়া।
হাসিনা কোন কালে ভালো ছিল না ভালো হবেও না, যদি কোন সময় হাসিনা দেশে ঢুকতে পারে মনে রাখবেন দেশের মানুষ প্রস্রাব করতে হলে ও হাসিনার অনুমতি নিতে হবে।
গুমের ভুক্তভোগীদের বর্ণনায় গোপন বন্দিশালার ভয়াবহ নির্যাতন, আজকের Prothom Alo, পড়ে দেখুন। হাসিনার অত্যাচার দেখলে কেঊ কান্না ধরে রাখতে পারবেন না। হাসিনার ১০০ বার ফাসি চাই।
If you respect everyone they will respect you forever. This is the only way..no more.
"অপরাধ" (যার মধ্যে দেশদ্রোহীতা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও অন্তর্ভুক্ত) কে "ভুল" বলে চালিয়ে দেওয়া কি ঠিক মানবজমিন?
পয়েন্ট গুলো একদম সঠিক,ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয় সেটা বুঝতে না পারা উনার অক্ষমতা!
1। ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব এবং দাড়ি টুপি পরা মুসলিমদের অকারণে জেল জুলুম রেখে নির্যাতন করা। 2. প্রতিদন্ধী যাকে মনে করেছেন তাকেই আয়না ঘরের মত জেলখানা তৈরী করে অপরিসীম নির্যাতন করা।
এ মহিলা তার জীবনে কোন কাজ সঠিক করেছে বলে মনে হয় না।
যুগের ফেরাউনদের এই পরিনতি অবশ্যম্ভাবী, কিন্তু আফসোস তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে চায় না
ভারত তাকে সরিয়েছিল এটা এখন ওপেন সিক্রেট।
শেখ হাসিনা কোনো কালে ও ভালো ছিল না।
আর ১৭ নম্বর ভুল ছিল ইসলাম পন্থীদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চক্রান্ত ।
প্রথম ভুল হলো মোদির কাছে যাওয়া ঠিক হয় নাই,,,, বাকি ভুল গুলো পরে বলবো।