অনলাইন
'পাকিস্তান জানে না মাসুদ আজহার কোথায়, হয়তো আফগানিস্তানে আছে': বিলাওয়াল ভুট্টো
মানবজমিন ডিজিটাল
(৫ ঘন্টা আগে) ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ১:১১ অপরাহ্ন

পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এক চমকপ্রদ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন , জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার কোথায় আছেন তা ইসলামাবাদ জানে না। সে রয়েছে আফগানিস্তানে। সেই সঙ্গেই তার আরও দাবি, জইশ প্রধানের পাকিস্তানে থাকার প্রমাণ যদি দিতে পারে নয়াদিল্লি, সেক্ষেত্রে ইসলামাবাদই তাকে গ্রেপ্তার করবে। মাসুদ আজহার ভারতের অন্যতম মোস্ট-ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী এবং ২০০১ সালের সংসদ হামলা, ২৬/১১ মুম্বাই হামলা, ২০১৬ সালের পাঠানকোট হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার সাথে তিনি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। ১৯৯৯ সালে কান্দাহার হাইজ্যাকিংয়ের পর আজহারকে আইসি-৮১৪ এর যাত্রীদের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।ভারত পাকিস্তানকে আজহার এবং লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সাঈদকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করে আসছে।
আল জাজিরার সাথে এক সাক্ষাৎকারে, পাকিস্তান পিপলস পার্টির ( যা দেশটির ক্ষমতাসীন জোটের অংশ) প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছেন যে 'হাফিজ সাঈদ এখানে বহাল তবিয়তে রয়েছে একথাটা ঠিক নয়। আর মাসুদ আজহারের কথা যদি বলেন আমরা ওকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি কিংবা চিহ্নিত করতে পারিনি। ওর আফগান জেহাদিদের সঙ্গে অতীত সম্পর্ক মাথায় রেখে বলতে পারি, আমাদের বিশ্বাস ও আফগানিস্তানেই রয়েছে। যদি ভারত সরকার আমাদের তথ্য দিতে পারে যে ও পাকিস্তানের মাটিতেই রয়েছে, সেক্ষেত্রে আমরা ওকে খুশি মনে গ্রেপ্তার করতে পারি। কিন্তু ঘটনা হল, ভারত সরকার তেমন কিছু দিচ্ছে না।”আজহার সম্পর্কে ভারত কেন তথ্য দেবে এই প্রশ্নের জবাবে পিপিপি প্রধান বলেন, "যখন আপনার কোনও দেশের সাথে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সহযোগিতার সম্পর্ক থাকে, তখন আমরা আমাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো তাদের কাছে শেয়ার করি, তারা তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো জানায় । এভাবেই আমরা লন্ডনে, নিউ ইয়র্কে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা ব্যর্থ করতে সক্ষম হয়েছি।" ২২শে এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী আক্রমণ এবং এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতের অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষিতে ভুট্টোর মন্তব্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
অভিযানের সময় ভারত পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে। যার মধ্যে রয়েছে মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈয়বার সদর দপ্তর এবং বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দপ্তর। আজহার বলেছিলেন যে ভারতের বিমান হামলায় তার পরিবারের ১০ জন সদস্য এবং তার চার সহযোগী নিহত হয়েছেন। পিপিপি প্রধান ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার বিষয়েও খুব সোচ্চার ছিলেন, এমনকি হুমকি দিয়েছিলেন যে 'পাকিস্তানকে পানি না দিলে তার পরিণতি যুদ্ধ। সিন্ধু আমাদের এবং আমাদেরই থাকবে- হয় সিন্ধুর পানি প্রবাহিত হবে, অথবা তাদের রক্ত।'
সূত্র : এনডিটিভি