ঢাকা, ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

বামদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে বিএনপির

অনলাইন ডেস্ক

(৫ ঘন্টা আগে) ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

mzamin

বণিক বার্তা

‘বামদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে বিএনপির’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে আদায়ের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে আনার প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিএনপি। এতে তারা যুগপৎ কর্মসূচির শরিকরা ছাড়াও বিগত আন্দোলনে সক্রিয় থাকা রাজনৈতিক দল, জোট ও সংগঠনগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আদর্শিকভাবে সব সময় ডানপন্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা দলটি এখন বামদের সঙ্গেও তাই ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে। এটাকে রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা।

রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বাম জোটের নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। এতে বিএনপির পক্ষ থেকে লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বাম জোটের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বর্তমান সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ, খালেকুজ্জামান) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ ও সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন।

এ বিষয়ে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা জানান, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রশ্নে দলের স্থায়ী কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য কয়েক বছর ধরে বাম ও প্রগতিশীল ধারার দলগুলোর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছেন। এর অংশ হিসেবেই সিপিবি, বাসদসহ বাম দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন দরকার, এ প্রশ্নে দেশের সব রাজনৈতিক দলই ঐকমত্য প্রকাশ করছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন প্রশ্নে কীভাবে গ্রেটার ঐক্য করা যায়, সে ব্যাপারে সিপিবি, বাসদসহ বাম ধারার দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়। এরই মধ্যে তারাও নির্বাচনের বিষয়ে মত প্রকাশ করেছে।’

সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই বিএনপি ঘোষণা করে ৩১ দফা। তার এক বছর পর গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার পটপরিবর্তন হয়। গঠন হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সে সরকার এরই মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারে বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন, বিতর্ক ও মতানৈক্য। দীর্ঘদিনের সঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও বিএনপির দূরত্ব বেড়েছে এ বিষয়ে। তাই বিএনপি চাইছে নতুন সঙ্গী বাড়াতে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের বাইরে থাকা দল, বিশেষ করে বামদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন দলটির নেতারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, কোনো বাম দলেরই ক্ষমতায় যাওয়ার রোডম্যাপ নেই। ফলে তাদের নেতাকর্মীদের অনেকেই আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপিতে যোগ দেন। এর মধ্যে বিএনপি গঠনে বামপন্থীদের একটি ধারার বেশ অবদান রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালে রেড মওলানাখ্যাত আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও তার অনুসারীদের হাতেই দলটির ভিত্তি শক্ত হয়েছিল। ভাসানীর মৃত্যুর পর ন্যাপের তৎকালীন মহাসচিব মশিউর রহমান যাদু মিয়াসহ তার অনেক রাজনৈতিক শিষ্য ও সহযোগীও যোগ দেন বিএনপিতে। সঙ্গে করে নিয়ে যান ন্যাপের দলীয় প্রতীক ধানের শীষকেও। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধানের শীষ প্রতীকটি এখন বিএনপিরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।

নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের আগে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫ দল, বিএনপির নেতৃত্বাধীন সাত দল এবং বামপন্থীদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ দলের জোট একসঙ্গে লড়েছে। এছাড়া সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের মধ্যে বামপন্থী, ডানপন্থীসহ সব মতেরই ছাত্র সংগঠন ছিল।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সিপিবির মতো দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠতা রাজনীতির নতুন সমীকরণ বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা তাদের রাজনৈতিক অবস্থান ও কর্মসূচি সবসময় আওয়ামী লীগকেই সুবিধা দিয়েছে বলে আলোচনা রয়েছে। দলগতভাবে জোট না করলেও সিপিবির অনেক দলত্যাগী নেতা আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি পর্যন্ত হয়েছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও জায়গা করে নেন অনেকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিএনপি আর বাম দলগুলোর মধ্যে তেল আর জলের সম্পর্ক। মতাদর্শের হিসাব করতে গেলে আশ্চর্যজনক ঘটনা; তবে অস্বাভাবিক নয়। একটি বড় দল হিসেবে বিএনপি সরকার গঠনের আশা করছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা কথা বলছে। বামপন্থীদেরও ফেজ বা মিডিয়া ভ্যালু রয়েছে। বিএনপি হয়তো সেটাকেই কাজে লাগাতে চাচ্ছে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও বামদের কাছে টানার চেষ্টা করে বিএনপি। যুগপৎ আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুতের অংশ হিসেবে ২০২২ সালের ২৪ মে থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত দলটি প্রথম দফায় ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে। ওই সময় বাম দলগুলো বিশেষ করে সিপিবি ও বাসদের সঙ্গে বসার আগ্রহ দেখালেও ইতিবাচক সাড়া পায়নি বিএনপি। তবে ৫ আগস্ট-পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঠিকই বৈঠকে বসেছেন বাম নেতারা।

এর আগে গত মার্চে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশ জাসদের জোট গঠনের গুঞ্জন শোনা যায়। গণফোরাম, ঐক্য ন্যাপ, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মতো দলগুলোকে নিয়ে এ জোট ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে বলে আলোচনা ওঠে। 

এদিকে চলতি বছরের শুরুতে ‘বাম, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, উদারনৈতিক ও স্বাধীনতার পক্ষের’ রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি নতুন জোট গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর নেপথ্যে ছিল সিপিবি, বাসদ ও বাংলাদেশ জাসদের মতো দলগুলো।

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের আলোচনায় উঠে আসছে, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা উচিত। যেমন আমরা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলি না, বসি না। এ ধারাটার যেন পরিবর্তন হয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা যেন এমন কোনো আচরণ না করি, যা নিয়ে অরাজনৈতিক মহলে কথা বলার সুযোগ পায়। আমরা যার যার কথা বলব, জনগণ কার পক্ষে থাকবে না থাকবে সেটি জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। এখনকার এজেন্ডা হচ্ছে নির্বাচন।’

ঐক্যের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো বিএনপির সঙ্গে কোনো জোট করতে যাইনি, গিয়েছি আলোচনা করতে। আদর্শিক ভিন্নতা থাকার কারণে তাদের সঙ্গে আমাদের জোট হয় না। হয় কেবল ইস্যুভিত্তিক কোনো আলোচনা। আমাদের মূল জোট তো আছে। সেটিকে ধরেই এগোচ্ছি। বাম জোটের রাজনীতি পরিষ্কার। আমাদের লক্ষ্য সমাজতন্ত্র। আমরা সমাজ বিপ্লব সাধন করতে চাই। সুতরাং সে জায়গায় তারাও (বিএনপি) আমাদের সঙ্গে জোট আশা করে না, আমরাও এটি বিবেচনা করি না।’

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার শিরোনাম ‘চেয়ারম্যান ও মেয়র সরাসরি জনগণের ভোটে নয়’। খবরে বলা হয়, স্থানীয় সরকার কাঠামো এবং নির্বাচনপদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন জনগণের সরাসরি ভোটে না করে প্রথমে সদস্য বা কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচন করা হবে। এরপর নির্বাচিত কাউন্সিলর ও সদস্যদের ভোটে চেয়ারম্যান ও মেয়র নির্বাচন করা হবে।

এ ছাড়া সদস্য বা কাউন্সিলর পদে পূর্ণকালীন সদস্যের পাশাপাশি খণ্ডকালীন সদস্য রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় সরকারি চাকরিজীবীরাও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরে খণ্ডকালীন সদস্য বা কাউন্সিলর হওয়ার সুযোগ পাবেন।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গতকাল রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এরপর সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রতিবেদনের বিভিন্ন বিষয় সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন কমিশনের প্রধান তোফায়েল আহমেদ। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে কমিশনের সুপারিশগুলো সাংবাদিকদের দেওয়া হয়।

সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য আলাদা কমিশন গঠন করেছে। এর মধ্যে গত বছরের ১৮ নভেম্বর স্থানীয় সরকারবিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে আট সদস্যের স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের পরিচালক মাহফুজ কবীর, নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাশহুদা খাতুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী ইলিরা দেওয়ান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম।

যুগান্তর

‘ঘাটতি পূরণে বিদেশি ঋণে নির্ভরতা’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়েছে ব্যাংক খাত। এতে ঋণের জোগান দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকগুলো। এমন পরিস্থিতিতে চলতি (২০২৪-২৫) বাজেটের ঘাটতি মেটাতে চাপের মুখে পড়েছে সরকার। বিদ্যমান আর্থিক সংকট মোকাবিলায় বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে সংশোধিত বাজেট চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকারের অর্থনৈতিক কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

আরও জানা যায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অর্থ সংকট মোকাবিলায় চলতি সংশোধিত বাজেটে ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে ১৪ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ। এতে চলতি অর্থবছরের শুরুতে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সেটি এখন ৯৯ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আর বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৯৫ হাজার কোটি টাকা থেকে ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

এছাড়া একই বৈঠকে চলতি অর্থবছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৫ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া বাজেটের আকার ৫৩ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। এতে সংশোধিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ৭ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘নির্বাচনী মেরুকরণ স্পষ্ট হচ্ছে’। খবরে বলা হয়, সংস্কার ও নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়কে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে মেরুকরণ দ্রুত স্পষ্ট হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আদায়ে সর্বদলীয় ঐকমত্য গঠন করতে চায় বিএনপি।

এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি অন্যান্য ডান, বাম ও ইসলামী দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করতে চায় দলটি। এর অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার সিপিবি, বাসদসহ বাম ধারার দলগুলোর এবং গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে চাচক্রে মিলিত হন বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতা।

বাম ধারার দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির এই চাচক্র বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। এদিকে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। গতকাল রবিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের বৈঠক হয়।

এ পরিস্থিতিতে গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমানে দেশে একটি অস্থিরতা চলছে।

কিছু নির্ধারিত বিষয় অনির্ধারিত ও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তা সমাধানে দরকার রাজনৈতিক ঐক্য। এর মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব পাব। গতকাল বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমানের স্মরণে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমকাল

‘৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন অভিবাসন নীতির অধীনে গতকাল রোববার পর্যন্ত ৩১ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চত হওয়া গেছে।

দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ৩০ পুরুষ ও একজন নারী। অভিবাসন-সংক্রান্ত মামলায় হেরে যাওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন এবং বিভিন্ন মামলায় সাজা হয়েছে– এমন ব্যক্তিদেরই ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

ঢাকায় যাদের পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজনকে এসকর্ট বা বিশেষ নিরাপত্তাসহ পৌঁছে দিয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা। বাকি বাংলাদেশিদের সাধারণ যাত্রীর মতো পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ গত শনিবার দুপুরে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে পাঁচ বাংলাদেশিকে। ফ্লাইটটি একই ধরনের যাত্রী নিয়ে নেপাল হয়ে বাংলাদেশে আসে।

ফেরত আসা দু’জনের সঙ্গে গতকাল যোগাযোগের চেষ্টা করে সমকাল। তাদের মধ্যে নোয়াখালীর শাহাদত হোসেন সমকালের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, গত ৯ মার্চ তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়। বিমান খরচ যুক্তরাষ্ট্র সরকার বহন করেছে। শাহাদত হোসেন বলেন, ‘তারা আমাকে এমিরেটস এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তুলে দিয়েছিল। কোনো অসম্মানজনক আচরণ করেনি। হাতকড়া পরানো বা বাজে কোনো ব্যবহার করেনি। আমি সাধারণ যাত্রীর মতো এসেছি।’

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘১০-১৫ জন নির্দয়ভাবে পেটায় জাহিদকে’। খবরে বলা হয়, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বনানী ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবনের গেটের সামনে ১০-১৫ জন মিলে একজন শিক্ষার্থীকে পেটাচ্ছে। ঐ শিক্ষার্থী প্রশাসন ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যেই একজন ছুরিকাঘাত করেন তাকে। এক পর্যায়ে প্রশাসন ভবনের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা ঐ শিক্ষার্থীকে ভেতরে ঢুকিয়ে কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেন। এরপর হামলাকারীরা চলে যায়। ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজের ওপর হামলার এমন দৃশ্য সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর পারভেজের মৃত্যু হয়।

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল হত্যার ঘটনায় তার ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে আট জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেরাজ ইসলাম, আবুজর গিফারী ওরফে পিয়াস, মাহাদী হাসান, শোভহান নিয়াজ তুষার, হূদয় মিয়াজী, রিফাত, আলী ও ফাহিমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মেহেরাজ ইসলামের নেতৃত্বে এই হামলায় থাকা শোভহান নিয়াজ তুষার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও হূদয় মিয়াজী যুগ্ম-সদস্য সচিব। এছাড়া মাহাদী হাসান আইন এবং মেহেরাব ও আবুজর গিফারী ওরফে পিয়াস ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এছাড়া হামলায় কড়াইল বস্তিরও কেউ কেউ অংশ নেয় বলে খবর পাওয়া গেছে।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সরোয়ার বলেন, ‘সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ ছাড় পাবে না।’

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহিদ আহসান ইত্তেফাককে বলেন, ‘আমরা শুনেছি, আমাদের সংগঠনের দুই জনের নামে মামলা হয়েছে, কিন্তু এজাহারের কপি এখনো পাইনি। তবে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট খুনি যেই হোক আমরা তার বিচার চাই। তবে রাজনৈতিক বিবেচনায় বা ব্যক্তি আক্রোশে নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়।’

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি’। খবরে বলা হয়, অসুস্থতা, দুর্ঘটনাসহ বিপদে-আপদে বিশ্বজুড়ে মানুষের ভরসার কেন্দ্র ‘বিমা’। বিমা পলিসি করা থাকলেই হাসপাতালের বিল পরিশোধ বা দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কোনো চিন্তা করতে হয় না গ্রাহককে। গ্রাহকের হয়ে বিমা কোম্পানিই সব শোধ করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিমা খাত এখনো সেই ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে পারেনি।

বিপদগ্রস্ত গ্রাহক বিমা দাবি নিয়ে পায়ের জুতা ক্ষয় করে ফেললেও অর্থ পরিশোধ নিয়ে গড়িমসি শেষ হয় না সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানির। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) এক অনিরীক্ষিত প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দেশের ৪৬টি বিমা কোম্পানি গ্রাহকের বিমা দাবির প্রায় ২ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা পরিশোধ করেনি। এ হিসাব গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বিমাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দাবি পরিশোধে বিমা কোম্পানিগুলোর অনীহা, কাগজপত্র ও সার্ভে প্রতিবেদনের দোহাই এবং পুনর্বিমার নামে নানা বাহানা করেই বছরের পর বছর গ্রাহকের পাওনা টাকা দিচ্ছে না কোম্পানিগুলো। এ কারণে বিমা খাতের ওপর মানুষের আস্থা দিন দিন কমছে।

এ বিষয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম আসলাম আলম বলেন, বিমা খাতের প্রধান সমস্যা দাবি পরিশোধ না করা। এ কারণে বিমা খাত এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।

আইডিআরএর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ৪৬টি নন-লাইফ, অর্থাৎ সাধারণ বিমা কোম্পানির কাছে গ্রাহকের বিমা দাবি ছিল ৩ হাজার ৮৭১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এর মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে ১ হাজার ২৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ফলে অনিষ্পন্ন আছে ২ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকার বিমা দাবি। এ ক্ষেত্রে দাবি নিষ্পত্তির হার মাত্র ৩২ শতাংশ। সেই হিসাবে ৬৮ শতাংশ বিমা দাবি পরিশোধ করেনি কোম্পানিগুলো।

দেশ রূপান্তর

‘আসছে নতুন বিনিয়োগ, সিন্ডিকেট ভাঙার আশা’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিন ভোজ্য তেলের ব্যবসায় ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখলেও চট্টগ্রামভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ ব্যবসা গুটিয়ে নেয় আওয়ামী সরকার পতনের পর। বড় এ প্রতিষ্ঠানটির অনুপস্থিতিতে মাস কয়েক ভোজ্য তেলের সরবরাহ পরিস্থিতিতে কিছুটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হলেও বড় সক্ষমতা নিয়ে নতুন একটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই পণ্যটি বাজারজাত শুরু করেছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য থেকে জানা গেছে।

এর সঙ্গে এ বছরের শেষদিকে বা আগামী বছরের মাঝামাঝিতে ভোজ্য তেল বাজারজাত শুরু করবে ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রাণ আরএফএল গ্রুপ। সরকার বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সঙ্গে সেনাকল্যাণ সংস্থার ভোজ্য তেল পরিশোধনাগারকে পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদনে নিয়ে আসতে কাজ শুরু করেছে। নতুন প্রতিযোগী বেড়ে যাওয়ায় পুরনোদের নিয়ন্ত্রণ কমে পণ্যটির বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে পণ্যমূল্যে একটা সুফল ভোক্তারা পাবেন বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য থেকে জানা যায়, গ্লোব গ্রুপ অব কোম্পানির একটি প্রতিষ্ঠান ছিল গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানটি আবুল খায়ের গ্রুপের গ্রুপ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম কিনে নিয়েছেন। তবে আবুল কাশেম প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগ করে কোম্পানি পরিচালনার বিষয়গুলো দেখলেও এটি আবুল খায়ের গ্রুপের কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। আবুল কাশেম তার ছেলেদের নামে স্মাইল ফুড লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন, যার আওতায় ইতিমধ্যেই অধিগ্রহণ করা এই রিফাইনারিতে ভোজ্য তেলের উৎপাদন শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম ‘ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোটের সম্ভাবনা’। খবরে বলা হয়, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ডিসেম্বরে ভোট করার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করলেও দলগুলোর দাবির মুখে এ নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে পারে। এ ছাড়া মধ্য ফেব্রুয়ারির পরে রোজা-বিভিন্ন পরীক্ষা থাকায় সে মাসের শুরুর দিকে সর্বশেষ ভোটের পরিকল্পনা রাখা হচ্ছে। ইসির দায়িত্বশীল পর্যায়ে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথ দৃশ্যমান করতে আসছে ছয় মাসের নির্বাচনি রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা। ইতোমধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপের খসড়া প্রস্তুত করেছে ইসি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের এবং পরের কার্যক্রমের ধারাবাহিক বর্ণনা থাকছে এই কর্মপরিকল্পনায়। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেই জুন-জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রোডম্যাপ ঘোষণা করবে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রেখে ৬০-৬৫ দিন হাতে রেখেই অক্টোবরে নির্বাচন তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে দলগুলোর দাবির মুখে এই তফসিল একাধিকবার পরিবর্তন হতে পারে। তাই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোট পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছেন ইসির কর্মকর্তারা। তবে আগেও ডিসেম্বরে ভোট করতে নভেম্বরের দ্বিতীয়-তৃতীয় সপ্তাহে তফসিলের নজির রয়েছে।

অক্টোবরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পাশাপাশি এ বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ; জুনের মধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা; জুলাই-আগস্টের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধন গেজেট প্রকাশ করার পরিকল্পনা নিয়ে ভোটের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।  এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের টার্গেট ধরেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ভোটের প্রাথমিক কাজ শেষ করে জুন-জুলাইয়ে ‘কর্মপরিকল্পনা বা অ্যাকশনপ্ল্যান’ ঘোষণা করা হবে। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণার আগেই সব কাজ শেষ করতে হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ৬০-৭০ দিন আগে অক্টোবরে তফসিলের পরিকল্পনা রয়েছে।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status