অনলাইন
তীব্র খাদ্য সংকট: গাজায় ঘোড়ার মাংস খাওয়ানো হচ্ছে শিশুদের
মানবজমিন ডিজিটাল
(১০ মাস আগে) ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৪:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
ইসরাইল এবং হামাস যোদ্ধা গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জেরে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। শিশু ও বয়স্করা খাবারের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এর মধ্যেই উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আবু জিব্রিল এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষিদের জ্বালায় এতটাই জর্জরিত ছিলেন যে ঘোড়ার মাংস ছাড়া তার কাছে আর কোনও উপায় ছিল না। অনাহারে মৃত্যু হচ্ছে মানুষের । ১৯৪৮ সালে স্থাপিত হওয়া জাবালিয়া শিবিরটি মাত্র ১.৪ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত। ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরটিতে দূষিত জল, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং অতিরিক্ত ভিড় এরই মধ্যে একটি প্রকট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক লক্ষেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্য, চরম বেকারত্বের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধ থেকে পালিয়ে, ৬০ বছর বয়সী জিব্রিল ইসরাইলি বোমাবর্ষণের পর নিকটবর্তী বেইত হানুন থেকে এসেছিলেন।
গত বছরের ৭অক্টোবর থেকে যুদ্ধের কালো ছায়া তাড়া করে বেড়াচ্ছে জিব্রিল সহ শত শত পরিবারকে। জাতিসংঘ পরিচালিত সাবেক স্কুলের কাছে একটি তাঁবুতে বসবাস করছেন তারা। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এই সপ্তাহে বলেছে তাদের টিম চরম হতাশার তথ্য দিয়েছে। জাতিসংঘ সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, ২২ লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জিব্রিল বলছেন, আমরা প্রাপ্তবয়স্করা এখনও এখনো ক্ষিদে সহ্য করে থাকতে পারি কিন্তু চার-পাঁচ বছর বয়সী এই শিশুরা ক্ষুধার্ত পেট নিয়ে কি করে ঘুমাবে ?
তাই জিব্রিল নিঃশব্দে তার আদরের ঘোড়াটিকে জবাই করে সেই মাংস তুলে দেন তার পরিবারের কাছে । কেউ জানে না যে তারা আসলে একটি ঘোড়া খাচ্ছিল - বলছেন এই হতভাগ্য বাবা। এএফপি-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বাসিন্দারা নষ্ট হয়ে যাওয়া ভুট্টা খাচ্ছে । কেউ কেউ এমনকি মানুষের খাওয়ার জন্য অনুপযুক্ত পশুখাদ্য, এমনকি পাতাও ভক্ষণ করছে। খাদ্যের অভাবের মধ্যে গাজার জন্য সাহায্য প্রচেষ্টাও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে, গাজাবাসীকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করা কয়েকটি ট্রাকে লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৭ অক্টোবর থেকে গাজা সংঘাতে অন্তত ২৯,৬০৬ জন নিহত হবার কথা ঘোষণা করেছে। শরণার্থী শিবিরের একজন নারী বলছেন, "কোন খাবার নেই, গম নেই, পানি নেই। আমরা প্রতিবেশীদের কাছে অর্থের জন্য ভিক্ষা করতে শুরু করেছি। দরজায় কড়া নাড়ছি এবং কেউ আমাদের টাকা দিচ্ছে না।
সূত্র : wionews