ঢাকা, ৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৩ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

অনলাইন

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ, পোশাক রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার

(৪ ঘন্টা আগে) ৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ২:১৮ অপরাহ্ন

mzamin

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ। ইতিমধ্যে বিশ্ব বাণিজ্যে এর প্রভাব নিয়ে আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শতকরা মাত্র দুই শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছেন ট্রাম্প। আগামী ১লা আগস্ট থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে। আর এই শুল্ক আরোপে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে পারে-এমনটাই বলা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল থেকে।

এর আগে গত ৩রা এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। সে সময় বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে শতকরা ৩৭ ভাগ শুল্ক আরোপ করেন তিনি। আগে এই শুল্ক ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ। নতুন আরোপিত শুল্ক কমানোর জন্য বাংলাদেশ আলোচনা চালিয়ে যায়। তার প্রেক্ষিতে শতকরা দুই ভাগ কমানো হয় শুল্ক।

একইসঙ্গে বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানসহ মোট ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক হার নির্ধারণের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো সব বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসবে। এটি খাতভিত্তিক শুল্কের সঙ্গে আলাদাভাবে যোগ হবে। তবে শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হচ্ছে আজ বুধবার। ওয়াশিংটন ডিসিতে এ বৈঠক হবে।

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমগুলো। 

শুল্ক নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

শুল্ক কার্যকর হলে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে উল্লেখ করে দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন বলা হয়, গত এপ্রিলে পাল্টা শুল্কারোপের ঘোষণার পর তিন মাসেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বিষয়ে সরকারের দর-কষাকষিতে অগ্রগতি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রপ্তানিকারকেরা। তারা বলছেন, ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক কার্যকর হলে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অনেক কারখানা অস্তিত্বসংকটে পড়বে। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে দর-কষাকষি শেষ করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

পাল্টা শুল্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা শুরু থেকে সরকারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষির অনুরোধ জানিয়েছি। তবে পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি নিয়ে ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই, দর-কষাকষির প্রক্রিয়ায় লবিস্ট নিয়োগ করা হোক। পাশাপাশি বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদেরও যুক্ত করা হোক।’

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে নতুন করে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে বলে দৈনিক সমকালের প্রতিবেদন বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের চিঠি এই অস্বস্তির কারণ। বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের পণ্যে বিভিন্ন হারে এবার শুল্ক আরোপ করে একযোগে চিঠি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে মূল প্রতিযোগী দেশ চীন, ভিয়েতনাম, ভারত ও পাকিস্তানের নাম নেই। এটি বাংলাদেশের জন্য অসম প্রতিযোগিতার ইঙ্গিত দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাকের রপ্তানি কমলে দেশের পোশাক খাতে এর বড় প্রভাব পড়বে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষিতে সরকারের উদ্যোগ যথেষ্ট ছিল না বলে মনে করেন রপ্তানিকারক উদ্যোক্তারা। প্রথম দফা ৩৭ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার পর গত প্রায় তিন মাসে বলার মতো কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি সরকার। কয়েকজন রপ্তানিকারক  বলেন, কী আলোচনা হচ্ছে, কারা আলোচনা করছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি সরকারের তরফ থেকে।

শুল্ক আরোপ পোশাকশিল্পের জন্য অশনিসংকেত উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক যুগান্তর। প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত এ শুল্কহার কার্যকর হলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে দেশের পোশাকশিল্পসহ রপ্তানি খাত। বিশেষ করে পোশাক খাতে বড় ধরনের অশনিসংকেত দেখা দিতে পারে। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অনেকটা কমিয়ে দেবে। যুক্তরাষ্ট্র হলো বাংলাদেশের পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় বাজার। এছাড়া এর প্রভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এমনটিই মনে করেন বিশেষজ্ঞ ও পোশাকশিল্পের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।

যুগান্তরের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত ও চীন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি সুবিধা পাবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাকিস্তানও পণ্য রপ্তানির সুযোগ পাচ্ছে। ফলে এটা সুস্পষ্ট যে, তিনটি দেশের তুলনায় তৈরি পোশাকে বাংলাদেশকে বেশি প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে।

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের এই ঘোষণা আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি নিয়ে অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, এটি কার্যকর হলে বাংলাদেশের রপ্তানিতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবে।

এই শুল্ক আরোপ রপ্তানিতে বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ইত্তেফাককে বলেন, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশের রপ্তানিতে বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে। কারণ তৈরি পোশাকের প্রতিযোগী রপ্তানিকারক দেশ ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার চেয়ে বাংলাদেশকে বেশি শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করতে হবে। আগে থেকেই বাংলাদেশ গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিচ্ছে। এখন নতুন করে ৩৫ শতাংশ যুক্ত হলে এই গুল ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।

তিন মাস আলোচনার জন্য সময় পাওয়ার বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ সময়ে অর্থনীতিবিদ কিংবা ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গেও এ নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা করেনি সরকার।’

অন্যদিকে মার্কিন শুল্ক কমানো সম্ভব না হলে পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে-এমন শঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিবেদন করেছে দৈনিক বণিক বার্তা

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে তৈরি পোশাক রফতানিতে চীনের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যদিও গত বছর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১ শতাংশেরও কম। অন্যদিকে বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ শতাংশের বেশি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেশটির বাজারে ভিয়েতনামের পণ্য রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের জন্য এ হার ৩৫ শতাংশ। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে শুল্কহারে ছাড় না পেলে তৈরি পোশাক রফতানিতে ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘১২৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও ভিয়েতনাম এরই মধ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক হার নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ মাত্র ৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের প্রধান প্রতিযোগী দেশ চীন, ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে শুল্কের হার কেমন হয় সেটি দেখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শীর্ষ রফতানি গন্তব্য হওয়ায় এ শুল্কের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেবল রফতানি আদেশ হ্রাসের ঝুঁকি নয়, এর প্রভাব কর্মসংস্থান হ্রাস ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কেবল বাণিজ্যেই নয়, বরং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।’

এদিকে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ সর্ববৃহৎ একক বাজারে বড় ঝুঁকি উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক কালের কণ্ঠ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানি বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে দেশের মোট পোশাক রপ্তানির ১৮ শতাংশের বেশি পণ্য পাঠানো হয়, যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে আট বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ৮৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ১৮ শতাংশের কিছু বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ৮৫ শতাংশের বেশিই তৈরি পোশাক। গত ৩ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,  সে সময় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। তবে দর-কষাকষির জন্য শুল্ক তিন মাস স্থগিত রেখেছিলেন তিনি। এত দিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ, এখন নতুন করে আরো ৩৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ায় এটি দাঁড়াবে ৫০ শতাংশে। চড়া শুল্ক দিয়ে শীর্ষ বাজারটিতে টিকে থাকা নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেকেই একে ‘বাণিজ্যিক ভূমিকম্প’ বলে উল্লেখ করছেন।

শুল্ক বাড়লে দামও বাড়বে উল্লেখ করে কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের গার্মেন্টস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত কম দাম, স্থিতিশীল সরবরাহ ও মানের কারণে বাংলাদেশমুখী। ট্রাম্পের ঘোষিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হলে একই পণ্যের দাম গড়ে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন ক্রেতারা বাংলাদেশের পরিবর্তে ভারত, ভিয়েতনাম বা মেক্সিকোর মতো বিকল্প দেশে ঝুঁকতে পারেন।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status