অনলাইন
পানির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অ্যামাজনে মারা গেলো ১০০ টিরও বেশি ডলফিন
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ মাস আগে) ৩ অক্টোবর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৬:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৯ অপরাহ্ন

গত সাত দিনে, ব্রাজিলিয়ান অ্যামাজন একটি দুঃখজনক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। এখানকার টেফে লেকে একশোরও বেশি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। সিএনএন জানিয়েছে, কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে পৌঁছে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। ব্রাজিলের বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় দ্বারা সমর্থিত একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান মামিরাউয়া ইনস্টিটিউট এই উদ্বেগজনক খবর সামনে এনেছে।
ইনস্টিটিউট উল্লেখ করেছে যে এত বেশি সংখ্যক ডলফিনের মৃত্যু অত্যন্ত অস্বাভাবিক। একসাথে এতগুলো ডলফিনের মৃত্যু জলবায়ু বিজ্ঞানীদের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে যারা এই পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে মানব ক্রিয়াকলাপ এবং গুরুতর খরার প্রভাব সম্পর্কে ইতিমধ্যেই নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সিএনএন ব্রাজিলিয়ান ইনস্টিটিউটের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে -''এই চরম ঘটনার কারণ নির্ণয় করা এখনই সম্ভব নয়, তবে আমাদের বিশেষজ্ঞদের মতে এটি অবশ্যই খরার সময়কাল এবং লেক টেফেতে উচ্চ তাপমাত্রার সাথে যুক্ত, যেখানে কিছু পয়েন্ট ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করছে।" চরম আবহাওয়ার কারণে অ্যামাজনে পানির স্তর হ্রাস পেয়েছে, যা বিশ্বের বৃহত্তম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রেইনফরেস্টের আবাসস্থল। এটি ৫.৫ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত যা প্রায় অস্ট্রেলিয়ার আকার। এই অঞ্চলে খরা ১০০,০০০ মানুষকে প্রভাবিত করছে। ব্রাজিল সরকার একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করছে যারা খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পরিবহন রুট হিসাবে নদীর উপর নির্ভর করে তাদের সাহায্য করার জন্য। বিশেষজ্ঞরা জীবিত ডলফিনদেরকে উপহ্রদ এবং পুকুর থেকে মূল নদীতে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করছেন যেখানে পানি শীতল। তবে কিছু পরিবেশবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মামিরাউয়া ইনস্টিটিউটের গবেষক আন্দ্রে কোয়েলহো বলেন, "অন্যান্য নদীতে ডলফিন স্থানান্তর করা ততটা নিরাপদ নয় কারণ বন্য প্রাণীদের ছেড়ে দেওয়ার আগে টক্সিন বা ভাইরাস আছে কিনা তা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।" অ্যামাজোনাস রাজ্যের ৫৯টি পৌরসভা এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে।
সূত্র : এনডিটিভি
।মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ/ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে
ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদন/ বাংলাদেশে 'দুই বেগমের যুদ্ধে' ভারত-চীন এক শিবিরে, যুক্তরাষ্ট্র অন্যদিকে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]