অনলাইন
৯ মাসের শিশু রিট করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে: হাইকোর্ট
অনলাইন ডেস্ক
(৪ দিন আগে) ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

কর্মস্থল, এয়ারপোর্ট, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, শপিংমলের মতো জনসমাগমস্থলে এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও ব্যবস্থাপনায় বিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে প্রথম ৯ মাসের কোনো শিশুর রিটে এই রায় দিয়েছেন এই দুই বিচারক। রায়ের শেষে আদালত উল্লেখ করেন, এর আগে কখনোই ৯ মাস বয়সী শিশু রিট দায়ের করেনি। এই শিশু ইতিহাস সৃষ্টি করলো।
মঙ্গলবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেন। হাইকোর্ট রায়ে বলা হয়েছে, শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পানের বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ। এটা কোনভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই যে, একটি শিশুর জন্মের পর থেকে দুই বছর পর্যন্ত তার মাতৃদুগ্ধ প্রয়োজন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মায়েরা সরকারি-বেসরকারী বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং রুমের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর কর্মস্থল, এয়ারপোর্ট, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, শপিংমলের মতো জনসমাগমস্থলে এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও ব্যবস্থাপনায় বিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে রিট দায়ের করা হয়। ৯ মাস বয়সী শিশু উমাইর বিন সাদী ও তার মা অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ রিট দায়ের করেন।
।
পাঠকের মতামত
এখন ভাড় বা CLOWNরা উচ্চ আদালতে নিয়োগ পায় আর সার্কাস দেখায়!!
হাইকোর্টকে হাসির পাত্র বানানোর পায়তারা বন্ধ করতে হবে। নয় মাসের শিশু কথা বলতে পারে? রিটের পক্ষে তার অবস্থান সে কি ভাবে ব্যাক্ত করেছে আজ জাতি তা জানতে চায়।
৯ মাসের শিশু লিখলো কি ভাবে ?? লেখা ছাড়া কি অভিযোগ করা যায় ??
মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ রায়। এটা আদালত পর্যন্ত না গিয়ে অনেক আগেই নির্বাহী আদেশে করা উচিৎ ছিল।
দয়ল পাখি আমাদের জাতীয় পাখি এটা যেমন সে জানেনা সেরকমই ঐ শিশুও জানেনা তার কৃতিত্বের খবর। বাচনভঙ্গির কারিশমা আর কি।
দেশের আদালতগুলি সস্তা নাটকের মঞ্চে পরিণত না হউক।
এটা শিশুর রীট হয় কী করে বিস্তারিত জানাবেন। শিশুর পক্ষে রীট হলেও ঐ রীটে কীভাবে শিশুর সন্মতি নেয়া হলো? মার সম্মতিতো শিশুর সম্মতি বলে চালানো যায় না। বিচারক যখন বলেন, এটা ইতিহাস। তাহলে সে ইতিহাস জানবার আগ্রহ থেকেই বলছি।
@ sattar যেখানে জনপ্রতিনিধিরা আইন প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হন, সেখানে উচ্চ আদালত আইনের উৎস । এই রায় দেওয়ার কারণে একে সস্তা নাটকের মঞ্চ মন্তব্য সঠিক হয় নি ।
Kuv valo ray diyace Adalot
উচ্চ আদালত সস্তা নাটকের মঞ্চে পরিণত হয়েছে।