ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারত

ভারতীয় সংবাদপত্রের খবর

বাংলাদেশের নির্বাচন সংকটে

বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা

(৪ মাস আগে) ২১ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩১ পূর্বাহ্ন

mzamin

ফাইল ছবি

কলকাতা থেকে প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকা জানাচ্ছে যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। তিন মাস পরে হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের তত্ত্বাবধানে নয়, হোক একটি নিরপেক্ষ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে-এই দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে সমস্ত বিরোধী দল একাট্টা হচ্ছে বলে খবর প্রকাশ করেছে এই পত্রিকাটি। গত এক সপ্তাহে নির্বাচনী সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু এবং বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবরের পর এই দাবি জোরদার হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই দাবি সংবিধান পরিপন্থী নয়-তাও বলছে বিরোধী দলগুলি। ১৯৯৬ সালে যখন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) ক্ষমতায় ছিল তখন মূলত আওয়ামী লীগের দাবিতেও সংবিধান এর ত্রয়োদশ সংশোধনীটি গৃহীত হয়ে কেয়ারটেকার সরকার দ্বারা নির্বাচন করানোর ধারাটি অনুমোদিত হয়। নির্বাচনে বিএনপিকে পরাস্ত করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। তারা ক্ষমতায় আসার পর সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশে সংবিধানের ১৩ নম্বর সংশোধনীটি বাতিল হয় এবং পঞ্চদশ সংশোধনী গৃহীত হয়। 

বিএনপি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বয়কট করে। এর ফলে তারা মূল রাজনীতির অনেকটা বাইরে চলে যায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা সংসদে ৩৫০টি আসনের মধ্যে মাত্র সাতটি অধিকার করায় সমস্যা ঘণিভূত হয়। বিএনপি এবারের নির্বাচনে সমমনা বিরোধী দলগুলিকে একই ছাতার তলায় এনে কেয়ারটেকার, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করানোর দাবিতে সরব হয়েছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ দাবি করে তাদের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন করাতে চায়।

বিজ্ঞাপন
কিন্তু, আন্তর্জাতিক মহলের চাপ এবং দেশ-বিদেশে সমালোচনায় বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগ সরকার এক গভীর সংকটে উপনীত। দ্য স্টেটসম্যান ' ক্রাইসিস ব্রাজ' শীর্ষক নিবন্ধে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এই গভীর সংকটের আভাস দিয়েছে।
 

পাঠকের মতামত

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের তত্ত্বাবধানে নয়, হোক একটি নিরপেক্ষ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে

onik
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ১১:৫৭ অপরাহ্ন

আমরা চাই দেশে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। নির্বাচনটা হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার অধীনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কখনো অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণযোগ্য নির্বাচন হচ্ছে না। বাংলাদেশের ইতিহাসে বারবার প্রমাণ করে যায়। আমরা চাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন।

onik
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ১১:৫৭ অপরাহ্ন

আমরা চাই দেশে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। নির্বাচনটা হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার অধীনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কখনো অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণযোগ্য নির্বাচন হচ্ছে না। বাংলাদেশের ইতিহাসে বারবার প্রমাণ করে যায়। আমরা চাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন।

onik
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ১১:৫৬ অপরাহ্ন

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি দেশের জন্য অনেক উন্নয়ন করছেন অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন, দয়া করে আমারা সাধারণ নিরীহ জনগণকে একবার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন, আপনার কাছে চির ঋণী হয়ে থাকবো।

মুহাম্মদ নাছির উদ্দি
২৩ জুলাই ২০২৩, রবিবার, ১০:২১ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ দাবি করে তাদের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন করাতে চায়.

fukrul islam
২১ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার, ৭:১৬ অপরাহ্ন

India and only India is solely responsible for the prevailing situation in Bangladesh. We hate the ugly Indian Gov.

Mustafizur Rahman
২১ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার, ২:৪১ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ গত ১৫ বছর নির্বাচনকে প্রহসনে রুপ দিয়েছে কোনো নির্বাচনেই জনগন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারেনি তাই বিএনপির দাবি খুব যৌক্তিক ও সময়উপযোগী।

Suprovat--
২১ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন

আমরা চাই দেশে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। নির্বাচনটা হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার অধীনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কখনো অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণযোগ্য নির্বাচন হচ্ছে না। বাংলাদেশের ইতিহাসে বারবার প্রমাণ করে যায়। আমরা চাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন।

মোঃ হাবিবুর রহমান
২১ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার, ৮:১৯ পূর্বাহ্ন

As long as Indian government and Indian army is with us we are safe from all others. We hope Indian government will not leave us as we all know if BNP comes to power then 7 states will be gone from India forever. So for good Indian support towards AL forever. That’s it.

H Khan
২১ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার, ২:০৯ পূর্বাহ্ন

২০০৮ সালের পর আর ভোট দিতে পারি নাই। ঠান্ডা আর উতসব মুখর পরিবেশে আমার ভোট আমি দিতে চাই যা গত পনের বছরে দিতে পারি নাই। বাংলাদেশের নির্বাচনীয় ব্যবস্থা ধংষের জন্য ভারত ও অনেকাংশে দায়,,বাংলাদেশের জনগন যখন নিরপেক্ষ নির্বাচন এর দাবি তে আন্দোলন করছে তখন ভারত ষুসমা স্বরাজ কে বাংলাদেশে পাঠেয়ে এরশাদ সাহেব কে হাসপাতালে বন্দী করে এবং এক তরফা ভোট করতে আঃলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা র সাথে বোসে স্বীয় নেন। আঃলীগ সেই অনুযায়ী ভোট করে আর সবার আগে ভারত এই ভোটহীন সরকার কে প্রথম সর্মথন দেয় এবং ওপেন বলে এই সরকার কে বিশ্বের সর্মথন আদায় করে দিতে সহযোগিতা করবে। এর মাধ্যমে গত ১৫ বছর ভোটের অধিকার হারিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। এর জন্য বাংলাদেশের মেজরিটি মানুষ ভারত কে অপরাধীর কাতারে রেখেছে।

Abdur Razzak
২১ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার, ২:০৫ পূর্বাহ্ন

প্রতিটি ভোট কেন্দ্র জালিয়ে পুড়িয়ে দিতে হবে একতরফা ভোট প্রতিহত করার জন্য। যারা একতরফা ভাবে ভোট করতে আসবে তাদেরকেও আক্রমণ করতে হবে। সোজা আংগুলে ঘি উঠবেনা।

শাওন
২১ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার, ১:৩৯ পূর্বাহ্ন

দল নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বাংলাদেশে কেয়ামত পর্যন্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।

ইসমাইল
২১ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার, ১:২৩ পূর্বাহ্ন

২০০৮ সালের পর আর ভোট দিতে পারি নাই। ঠান্ডা আর উতসব মুখর পরিবেশে আমার ভোট আমি দিতে চাই যা গত পনের বছরে দিতে পারি নাই।

Mozammel
২১ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশী তাকে দেব। এই পরিবেশ দরকার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২০ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:৪৩ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের বর্ত্মান অবস্থার পাশ্ববর্তী একটি দেশ সড়াসড়ি দায়ি।বর্ত্মান নয় অতীতের কংগ্রেস।

ashraf Chowdhury
২০ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:২৯ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের নির্বাচনীয় ব্যবস্থা ধংষের জন্য ভারত ও অনেকাংশে দায়,,বাংলাদেশের জনগন যখন নিরপেক্ষ নির্বাচন এর দাবি তে আন্দোলন করছে তখন ভারত ষুসমা স্বরাজ কে বাংলাদেশে পাঠেয়ে এরশাদ সাহেব কে হাসপাতালে বন্দী করে এবং এক তরফা ভোট করতে আঃলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা র সাথে বোসে স্বীয় নেন। আঃলীগ সেই অনুযায়ী ভোট করে আর সবার আগে ভারত এই ভোটহীন সরকার কে প্রথম সর্মথন দেয় এবং ওপেন বলে এই সরকার কে বিশ্বের সর্মথন আদায় করে দিতে সহযোগিতা করবে। এর মাধ্যমে গত ১৫ বছর ভোটের অধিকার হারিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। এর জন্য বাংলাদেশের মেজরিটি মানুষ ভারত কে অপরাধীর কাতারে রেখেছে। এবার ভারত স্বীদ্বান্ত নিবে তারা বাংলাদেশের জনগণের সাথে সম্পর্ক করবে না শুধু আঃলীগের সাথে সম্পর্ক করে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী সেন্টিমেন্ট কে আরো বেশি উগ্র করে ূিবে।

আব্দুল ওয়াজেদ মুন্সী
২০ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:০১ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন ছিলো জনগণের গনতান্ত্রিক ভোট ছাড়া। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালে বিএনপি জামায়াতকে নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে নির্বাচনে আনা হয়। মূলত: বিএনপি জামায়াতের জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিলো চুন খেয়ে মুখ পোড়ার মতো। গভীর রাতের আঁধারে ভোটের বাক্স ভর্তি করা হয় প্রশাসনের সহায়তায়। জনগণের গনতান্ত্রিক ভোটের অধিকার হরণ করা হয়। সরকার একতরফা ভোট করে বেশ লায় পেয়ে গেছে। এবার তাদের লেজ টেনে ধরেছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাই আওয়ামী লীগ ভীষণ বেকায়দায় পড়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি জামায়াতকে বাইরে রেখে নির্বাচনের চক সাজানো হচ্ছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল- যাদের পায়ের নিচে মাটি নেই, চালচুলোও নেই এবং সাধারণ ভোটারদের ভেতর থেকে ভোট টানারও সামর্থ্য নেই, এধরণের দলের জোট করে সরকার যদি বিএনপি জামায়াতকে বাইরে রেখে নির্বাচন করে ভোটের হার কতো হবে? সিটি নির্বাচন, উপনির্বাচনগুলো কি বলছে? এধরনের নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবেনা। সব হারানোর আগেই সরকারের বোধোদয় হওয়া উচিত। ভোট কেন্দ্রে কতো ভোটার উপস্থিত হবে, একজনকে বারবার উপস্থিত করা হয় কিনা অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের রিপোর্টে সারা বিশ্ব জেনে যাবে। কাজেই কোনো ছল-চাতুরি, ছলনা, কারসাজি, প্রহসন আগামী নির্বাচনে কাজে আসবেনা। সম্মানের সঙ্গে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে উদারতা মানুষ ভুলবেনা।

আবুল কাসেম
২০ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:৫২ অপরাহ্ন

ভারত থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

ভারত সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status