ভারত
মোদি সরকারের শ্রমিক বিরোধী ও 'কর্পোরেট-বান্ধব' নীতির প্রতিবাদে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ভারত বন্ধ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(৫ ঘন্টা আগে) ৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১:৪৫ অপরাহ্ন

মোদি সরকারের শ্রমিক বিরোধী ও ‘কর্পোরেট-বান্ধব’ নীতির প্রতিবাদে আজ বুধবার দেশজুড়ে ভারত বনধে অংশ নিয়েছেন ২৫ কোটিরও বেশি শ্রমিক কর্মচারী। দেশজুড়ে এই বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে সকাল থেকে। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক-বিরোধী, কৃষক-বিরোধী এবং দেশ-বিরোধী কর্পোরেট-বান্ধব নীতির প্রতিবাদে ১৭ দফা দাবিতে দেশজুড়ে ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এই ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। ট্রেড ইউনিয়নগুলির দাবির মধ্যে রয়েছে, নতুন শ্রম কোড বাতিল, দৈনিক ৬০০ রুপি মজুরি ও ২৬,০০০ রুপি ন্যূনতম মাসিক বেতনের মতো বিষয়গুলি। ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনগুলির সঙ্গে এই বন্ধকে সমর্থন দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
দেশটির বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন সিআইটিইউ অভিযোগ করেছে, মোদি সরকার কেবল আদানি এবং কর্পোরেট-বান্ধব নীতি সমর্থন করছে, শ্রমিকদের নয়। ট্রেড ইউনিয়নগুলির আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন করে এমন অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়ন করছে যার ফলে সাধারণ মানুষের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
এদিন সকাল থেকেই দেশটির সর্বত্র বিক্ষিপ্ত ভাবে ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। ধর্মঘটের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ট্রেনসহ পরিবহনের ক্ষেত্রে। ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে বহু কল কারখানা। দেশটির বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়ক ও রেল লাইনে অবরোধ করা হয়। অন্যত্র ধর্মঘট শান্তিপূর্ণ হলেও বিহার, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গেছে। সকাল থেকেই
পশ্চিমবঙ্গের দিকে দিকে রেল অবরোধের চেষ্টা করেন ধর্মঘটের সমর্থকরা। বিভিন্ন রেলস্টেশনে ট্রেন আটকানোর চেষ্টা হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার পর সাময়িকভাবে ব্যাহত হয় শিয়ালদহ মেন শাখার ট্রেন চলাচল। শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখায় যাদবপুর স্টেশনেও ধর্মঘটীরা ট্রেন আটকানোর চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বন্ধকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ধর্মঘটিদের বচসা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বনধ মোকাবিলায় কঠোর মনোভাব নিয়েছে। সরকারি কর্মীদের বাধ্যতামূলক ভাবে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে। বনধ মোকাবিলায় পুলিশকে পথে নামানো হয়েছে।
ওড়িশার জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বাম সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনের সমর্থকেরা। অবরোধের কারণে জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
সকাল থেকেই বন্ধের প্রভাব পড়ল বিহারে। পটনার মানেরের ৩০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বন্ধ সমর্থকেরা। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। জেহনাবাদ স্টেশনে রেল অবরোধ করে রাখা হয়েছে। পটনায় মিছিলে এক সঙ্গে পা মিলিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।
পাঠকের মতামত
আয় ভাই, বাংলাদেশ থেকে বিপ্লব শিখে যা