ভারত
হিমাচলে হড়পা বানে পরিবারের সকলের মৃত্যু, বাঁচল ১১ মাসের শিশুকন্যা
মানবজমিন ডিজিটাল
(১৮ ঘন্টা আগে) ৬ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ৪:২৪ অপরাহ্ন

ভারতের হিমাচল প্রদেশে হড়পা বান ও ধসে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। গত ২০ জুন থেকে এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মাণ্ডি জেলা। সেখানে এখনও ধ্বংসস্তূপে আটকে অন্তত ৩০ জন। তাদের উদ্ধারে শনিবার থেকে আরও তৎপর হয়েছে জাতীয় এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ এবং সেনা।
এরই মধ্যে গত ৩০ জুন রাতে হড়পা বানে পরিবারের সকলের মৃত্যু হলেও, অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছে ১১ মাসের এক শিশুকন্যা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সর্বত্র চর্চা মৃত্যুঞ্জয়ীকে নিয়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাতে বাড়ির এককোণে ঘুমাচ্ছিল একরত্তি। আচমকাই তাদের বাড়িরে পানি ঢুকে যায়। তাতে ভেসে যান খুদেটির মা, বাবা ও দাদি। কোনওভাবে বরাতজোরে রক্ষা পেয়ে যায় শিশুকন্যাটি। পরদিন সকালে ভাঙা ঘর থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে শিশুকন্যটিকে উদ্ধার করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিশুকন্যাটির নাম নিকিতা। তার বাবা রমেশের দেহ ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তার মা রাধা ও দিদিমা পূর্ণা দেবী। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনার পর পরিবারের সকলকে হারিয়ে আপাতত অনাথ ওই শিশুকন্যাটি।
বর্তমানে সে তার খালার কাছে রয়েছে। তবে তাকে দত্তক নিতে এগিয়ে এসেছেন অনেকে। গোহরের এসডিএম (অতিরিক্ত দায়িত্বে) স্মৃতিকা নেগি জানান তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিকিতাকে দত্তক নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ফোন পাচ্ছেন। তবে শিশুটি এখনও তার মা ও দিদিমাকে ক্রমাগত খুঁজে চলেছে।
হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসুম ভবন। পাহাড়ি এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৫৪১ কোটি রুপির সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অন্তত ১১৫ জন জখম। রাজ্য জুড়ে বন্ধ ২৩৮টি রাস্তা। কোনওটি হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে। কোনওটিতে ধস নেমে পুরোপুরি বন্ধ। এর মধ্যে রবিবারেও ঝড় এবং ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। তারা জানিয়েছে, মাণ্ডি কাংড়া, সিরমৌরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে উদ্ধারকাজ আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে