অনলাইন
চেম্বারে কলেজছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন চিকিৎসক
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
(৩ মাস আগে) ৭ জুন ২০২৩, বুধবার, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

খুলনা মহানগরীর কেডিএ এভিনিউস্থ শেখপাড়া এলাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেডে এক তরুণী রোগীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ডা. বিপ্লব কুমার দাসের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটে। যৌন নির্যাতনের শিকার তরুণী পিরোজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রী। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীকে সোনাডাঙ্গা থানায় নিয়ে যান এস আই শান্তনু। এসময়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক পলাতক ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
কলেজ ছাত্রী (১৮) জানিয়েছেন, মাইগ্রেনের সমস্যায় পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি এলাকা থেকে কিছুদিন পূর্বে এসেছিলেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিপ্লব কুমার দাসের চেম্বারে। তিনি শেখপাড়া এলাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেম্বারে হাজার টাকা ফিসে দেখে এমআরআইসহ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন। মঙ্গলবার সকালে ছোট বোনকে নিয়ে পিরোজপুর স্বরূপকাটি থেকে খুলনায় রিপোর্ট দেখাতে আসেন ওই কলেজ ছাত্রী। বিকেলে ডাক্তারের চেম্বারে রিপোর্ট দেখাতে গেলে কলেজ ছাত্রী (১৮) কে চেম্বারে একা রেখে সবাইকে বাইরে বের করে দেন ওই চিকিৎসক। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার অজুহাতে ওই কলেজছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন ডাক্তার বিপ্লব। একপর্যায়ে তাকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেন।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য বলতে থাকেন, ‘রিপোর্ট খারাপ এসেছে সেই ভয়ে রোগী কান্নাকাটি করছেন’। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কলেজছাত্রী প্রকৃত বিষয়টি উপস্থিত সকলকে সংক্ষেপে বলেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে কলেজ ছাত্রী ও তার চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছোট বোনের সাথে কথা হয়েছে এ প্রতিবেদকের।
ছোট বোন বলেন, “আমার আপার মাইগ্রেনের সমস্যা। ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। আপুকে রুমের ভিতরে রেখে ডাক্তার দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেকক্ষণ পরে আপু বাইরে এসে খুব কান্না করছে। আমি শুনলাম আপু কি হয়েছে- সে বলল-ডাক্তার তাকে জড়িয়ে ধরে খারাপ কিছু করেছে। আপু খুব কান্না করছে।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এস আই শান্তনু বলেন, প্রাথমিকভাবে কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ শুনেছি। থানায় নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সব বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চিকিৎসক বিপ্লব কুমার দাসের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কোনো মন্তব্য করতে চাননি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ।
পাঠকের মতামত
ওই আওয়ামী ডাক্তার, ইস্কন এর মেম্বার, ওকে যেখানেই পাবেন, পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করবেন।
প্রতিবাদ অন্যায়ের প্রতিবাদ করে কি লাভ? ক্ষমতাসীন দলের সাথে ডাক্তার সাহেবের খুব ভালো খাতির
অদৃশ্য সাহসে সারা দেশেই বিপ্লব বাবুরা নানা কূ-কর্মে লিপ্ত!
আদৌ কি বিচার হবে ? সাংবাদিক ভাইয়ের প্রতি অনুরধ, খবর যখন ছেপেছেন, একটু ফলো আপ করেন।
আপনারা এত সিনেমা, হিন্দি ও বাংলা সিরিজ দেখেন। আপনি এক জন কলেজ ছাত্রী- আপনার উচিত ছিল সাথে সাথে ওঁই culprit টাকে লাথি, ঘুসি, বক্সিং মেরে নাস্তানাবুদ করা। ওর স্পরসকাতর জায়যায় লাথি, ঘুষি মারা উচিত ছিল। এটা করেননি কেন? এখন থেকে সবাই তাই করবেন= এটা আইন ভঙ্গ নয়- এটা নিজেকে রক্ষা করার একটা টেকনিক।
Arrest and hang him(The Doctor)
দাসের বেট দাস হয়েছে দাক্তার, দরকার ওর চরিত্রের এলাজ (সঠিক থেরাপি) ওকে রক্ষা চেষ্টা করিদেরও।
আমারত সন্দেহ হয় আসলেই সে ডাকতার কি না। তার পেশাগত যোগ্যতার তদন্ত করা হোক। ডিজিটাল বাংলাদেশ, এখন চলছে স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে গলাবাজি। কাদের সাহেবদের বলি। যুগের পর যুগ আপনারাই ক্ষমতায় থাকুন। আমরা আপনাদের বাড়াভাতে ছাই দিতে যাচ্ছিনা। কিন্ত এই ডিজিটাল বা স্মার্ট বাংলাদেশের কিছু জনবান্ধব কর্মকান্ডের নমুনা দেখান। ঐ বেটা ডাক্তারের চেম্বারে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কি ? না থাকলে কেন নেই ? জবাব চাই স্মার্ট বাংলাদেশের কর্ণধারদের কাছে।
তিক্ত বীজ থেকে জন্ম নেয়া বৃক্ষ তিক্ত ফলই প্রসব করে।
সে যেহেতু কুমার দাস অতএব তার কিছুই হবেনা আপনারা খবর নিয়ে দেখেন সে অবশ্যই ইস্কনের সদস্য, প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস ভাইয়ের সেই ভিডিও ১০০% সত্যি প্রমাণিত হলো,
এই পাল দাসেরা নতুন মিশনে নেমেছে ইস্কন এর ইন্ধনে, একে যেখানেই পাওয়া যাবে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হোক।
প্রিয়া সাহা, প্রদীপ কুমার দাশ, পি কে হালদার... আর কত!
সে ডাক্তার নামে কলংক। তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হউক।
এদেশে পাল/দাসদের এত সহস হয় কি করে? ব্যাটা ডাঃকে ডিম থেরাপি দেওয়া উচিৎ।
ডাক্তারকে জনসন্মুখে জুতা পেটা করে ওর সার্টিফিকেট বাজেয়াপ্ত করা উচিত ।
ভারতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে কি হত। ঐ ডাক্তার মুসলমান বা রোগী হিন্দু হলে সাথে সাথে ঐ ডাক্তারের লাশ হতে হত। এমনকি ঐ এলাকার মুসলমানের বাড়ী ঘর জ্বালিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিত।
বড় সার্টিফিকেট কখনোই কাউকে মানুষ করেনা যাদিনা তার সঙ্গে মজবুত পারিবারিক শিক্ষা না পায়। এর সঙ্গে ভালো পরিবেশ বেড়ে উঠাও চাই । ভালো বংশের বিকল্পতো নেই অভিজাত রক্তের কদর এদেশে আর কই? বৃটিশরা যাকে তাকে চেয়ারে বসাতো না। নিরামিষ শাকপাতা খেয়ে এতো উতলে উঠলো কেমনে বুঝি তনা কিছু। নৈতিকতার এমন দুর্ভিক্ষ লেগেছে কুলের শিশুটি আজ আর কারো কাছেই নিরাপদ নয় / আমাদের বোন আমাদের কন্যা সর্বোপরি আমাদের সন্তানদের নিরাপদ এক আবাসভূমি চাই। শৃগাল কুকুরের হিংস্রতা থেকে ভয় ভীতিহীন নিরাপদ এক জন্মভূমি।
চিকিৎসা পেশা কে কলংকিত করেছে।
এমন পশুদের সঠিক বিচার হয় না বিদায়। এ রকম পশুর সংখা দিন দিন বাড়ছে। ডাঃ নামের পশু,কসাই, জালেমের দের থামাতে হবে।
কঠিন বিচার হওয়া উচিত। ঐ রোগীর সাথে এমন কোন আচরন না হলে সে কেন মিথ্যে এসব অভিযোগ করবে?
মেধা আল্লাহ সবাইকে দিয়েছেন, তাই বলে সবাইকে সব জায়গায় সুযোগ দিতে নাই। যেটা আগে দেখা হতো পারিবারিক অবস্থা।
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
ভিসা নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী/ ছেলের ভিসা বাতিল করলে করবে
এমপি বাহারের আবেদনে সাড়া মেলেনি/ ঘরের বউকে ঘরে তুলতে বললেন আদালত
এনডিটিভি'তে সাগরিকা সিনহা/ শেখ হাসিনার ধারণা, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]