অনলাইন
বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ৩১ মে ২০২৩, বুধবার, ৬:৩৫ অপরাহ্ন
কঠিন ও পচনশীল বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও বর্জ্য থেকে, পেট্রোল, জৈব সার, পশু-পাখির খাবার ও পেপার উৎপাদক করা যেতে পারে। এ বিষয়ে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।
বুধবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডিনেট মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তারা। দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে), বারসিক, ইনসাইটস ও কোয়ালিশন ফর আরবান পুওর (কাপ) যৌথভাবে বাস্তবায়িত ঢাকা কলিং প্রকল্প ওই সভার আয়োজন করে। উন্নয়নধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুল রসুল বাবুলের সভাপতিত্বে সভায় মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন ঢাকা কলিং প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়ক সানজিদা জাহান আশরাফি। বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)’র সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সুন্দরবন ও উপকুল সুরক্ষা আন্দোলন সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, কাপের মিডিয়া ও কমিউনিকেশন ম্যানেজার নিগার সুলতানা, সাংবাদিক নিজামুল হক বিপুল, নদী কর্মী সীমান্ত সিরাজ, কাপের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মাহবুল হক প্রমূখ।
সভায় গবেষক আমিনুর রসুল বাবুল বলেন, অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে, যারা বর্জ্য উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাঁদের মোড়কজাত পণ্যের বর্জ্যে নগরীর ড্রেন ও খাল সয়লাব হয়ে যায়। যা নগরীর দূষণ ও জলাবদ্ধতার জন্য অনেকাংশে দায়ী। তাই ওই কোম্পানিগুলোকে দায়বদ্ধ হতে হবে, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তাঁদের ভূমিকা রাখতে হবে। তাদেরকে বর্জ্য রিসাইক্লিং করার দায়িত্ব নিতে হবে। এ বিষয়ে গণ্যমাধ্যমকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্জ্যের যে অর্থনৈতিক ভ্যালু আছে, এটা আমরা অনেকে জানি না। আবার দেশের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান বর্জ্য উৎপাদন করে, কিন্তু তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত হতে চায় না। এ বিষয়ে নীতি-নির্ধারণী জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে বস্তি ও বাসা থেকে বর্জ্য কেনার উদ্যোগ নিতে হবে। এতে নাগরিকদের পচনশীল ও কঠিন বর্জ্য আলাদা করবে এবং সংগ্রহের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
আলোচকেরা বলেন, নগরদূষণের বড় কারণ কঠিন বর্জ্য। সরকার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ করেছে। কিন্তু তা বাস্তবায়নে কোনো নীতিমালা করা হয়নি। ফলে এ ধরনের বর্জ্য নিয়ে অব্যবস্থাপনা হচ্ছে। তাছাড়া ঢাকার অধিকাংশ বস্তি এলাকায় এখনো সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। এতে পরিবেশদূষণের মাত্রা বাড়ছে। তাই বর্জ্য বিধিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন ও বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার লক্ষ্য জরুরিভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
সভায় উত্থাপিত সুপারিশে বলা হয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্কুল-কলেজে ক্যাম্পিং মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের সচেতন করতে হবে। যারা পরিবেশ দুষণ নিয়ে লেখােখি করে তাদের জন্য ফেলোশীপের সুযোগ তৈরি করতে হবে। বিদেশের মতো বর্জ্য কেনা ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নগরী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। নির্বাচনী পোস্টারে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ ও উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলার অভ্যাস পরিহার করতে হবে