বিশ্বজমিন
ইরানের পর সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছে সৌদি
মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) ২৪ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৫:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ অপরাহ্ন

ইরানের পর এবার সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব। এক দশকেরও বেশি সময় আগে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল দুই দেশ। তবে একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রিয়াদ ও দামেস্কে আবারও দূতাবাস চালু করতে যাচ্ছে দুই দেশ। সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়া যে আরব বিশ্বের কাছাকাছি এগিয়ে আসছে তার নতুন প্রমাণ পাওয়া গেলো এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে।
জেরুজালেম পোস্ট এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পরপরই সিরিয়ার প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। চীনের মধ্যস্ততায় দীর্ঘ সাত বছর পর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে সৌদি আরব ও ইরান। ঐতিহাসিক ওই পদক্ষেপ এখন মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু ইস্যুতে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে, আরব বিশ্বের সঙ্গে বাশার আল-আসাদের সিরিয়ার দূরত্ব মোচন। ইরান সিরিয়ার সবথেকে ঘনিষ্ট মিত্র দেশ। অর্থ ও সামরিক উভয় দিকেই দেশটি ইরানের উপরে নির্ভর করে। ইরানের মিত্র হওয়ায় সিরিয়ার সঙ্গে আরব বিশ্বেরও দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। এবার ইরান-সৌদি সমঝোতার পর সেই দূরত্ব কমে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দামেস্কের এক সূত্র জানিয়েছে, এ বছরের ইদের দিনই একে অন্যের দেশে দূতাবাস চালুর ঘোষণা দিতে পারে সিরিয়া ও সৌদি আরব। এপ্রিল মাসের শেষ দিকে ইদ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে সিরিয়ার এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সৌদি আরবে সফর করেছিলেন। সেখানেই দুই দেশের সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি ঠিক করা হয়। এ নিয়ে সৌদি আরব সরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সিরিয়ার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে রয়টার্স। তবে কোনো পক্ষই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব সিরিয়ার বেশ কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন দেয়। এটিই আসাদ সরকারের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক ছিন্নের প্রধান কারণ। বাশার আল-আসাদ যদিও রাশিয়া ও ইরানের সহায়তায় সিরিয়ার বেশিরভাগ এলাকাকে বিদ্রোহীমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এখন সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপিত হলে সৌদি আরব এই বিদ্রোহীদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে কিনা তা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।