ভারত
বিশেষজ্ঞদের মতে লোকসভা থেকে রাহুলের বহিষ্কার শুধু সময়ের অপেক্ষা
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(২ বছর আগে) ২৪ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৪৯ অপরাহ্ন

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ চলে যাওয়াটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক এবং অনিবার্য- বলেছেন নির্বাচন কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ এস আর মেন্দ্রিত্তা। তিনি জানিয়েছেন, জামিন পাওয়া অথবা সেন্টেন্স বিলম্বিত হলেও রাহুলকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। একমাত্র বিচারপতি যদি তার রায় পরিবর্তন করে দু’বছরের কম জেলবাস নির্ধারিত করেন তাহলেই রাহুল রেহাই পেতে পারেন। অন্যথায় নয়। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যুক্ত আরেক আইনজীবীও একই মত পোষণ করেন। মেন্দ্রিত্তা জানিয়েছেন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আট / তিন ধারা অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হবে। তিনি জানান, ২০১৩ সাল পর্যন্ত জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আট / চার ধারাটি বলবৎ ছিল। পাঞ্জাবে নবজ্যোৎ সিং সিধু এই আইনের বলেই ২০০৭ সালে একটি খুনের ঘটনায় দোষী নির্ধারিত হয়েও নির্বাচনে লড়ার অধিকার পান। এই আইনে শাস্তি ঘোষিত হওয়ার দিন থেকে তিনমাস সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নির্বাচনে লড়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হত না কিংবা তার বিধানসভা, লোকসভা বা রাজ্যসভার সদস্য হতে কোনও বাধা ছিল না। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট ২০১৩ সালে এই ধারাটি প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে, দণ্ডিত ঘোষিত হওয়ার পর লালু প্রসাদ যাদব, জয়ললিতা, রশিদ মাসুদ, আজম খান, মোহাম্মদ ফাইজলদের বিধায়ক কিংবা সংসদ সদস্য পদ চলে যায়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকারও তারা হারান। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাহুল গান্ধীও একই পথের পথিক হতে চলেছেন।