খেলা
‘চারদিন অন্তর দাড়িতে কলপ করতে হলে বুঝতে হবে সময় এসে গেছে’
স্পোর্টস ডেস্ক
(৫ ঘন্টা আগে) ৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১:৫৪ অপরাহ্ন

টি-টোয়েন্টির পর টেস্ট ক্রিকেটকেও বিদায় জানিয়ে দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। এরপর থেকে একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে কোহলি তথা ক্রিকেট ভক্তদের মনে, ‘কেনো?’ বয়সের খাতিরেই এমন সিদ্ধান্ত নাকি বোর্ডের সঙ্গে কিছু নিয়ে ঝামেলা, সেসব নিয়ে জল্পনা চলছে এখনও। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি নিজেই কথা বলেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই মহাতারকা।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের সিরিজ খেলতে বর্তমানে ইংল্যান্ড সফরে রয়েছে ভারত দল। কোহলিও সস্ত্রীক অবস্থান করছেন লন্ডনে। সোমবার ১০ বছর পর উইম্বলডনে উপভোগ করেছেন শেষ ষোলোর নোভাক জকোভিচ আর অ্যালেক্স ডি মিনাউরের ম্যাচ। এর মধ্যে লন্ডনেই সাবেক সতীর্থ যুবরাজ সিংয়ের ‘ইউ উই ক্যান’ ফাউন্ডেশনের একটি নৈশভোজে উপস্থিত হন এই ৩৬ বছর বয়সী তারকা। সেই অনুষ্ঠানে যেনো তারার মেলা বসে। কোহলির সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হন রবি শাস্ত্রী, শচীন টেন্ডুলকার, কেভিন পিটারসন, ক্রিস গেল, ব্রায়ান লারার মতো ক্রিকেটের কিংবদন্তিরাও। নৈশভোজের মাঝে একটি আলোচনা সভাও হয়। সেখানে কোহলিকে ডেকে নেন সঞ্চালক গৌরব কাপুর, বলেন তাকে যে মাঠে দেখা যাচ্ছে না, তাতে ভক্তরা কষ্ট পাচ্ছেন। এর জবাবে ভারতীয় ব্যাটার বলেন, ‘দুদিন আগেই দাড়িতে কলপ করলাম। চারদিন পরপর যখন দাড়িতে কলপ করতে হয়, তখন বুঝে নিতে হবে এর সময় চলে এসেছে।’ কোহলির এমন মন্তব্যে মনে হওয়াটা স্বাভাবিক যে তিনি বয়সের কারণেই লাল বলকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তার ফিটনেস তো অন্যসব তরুণ ক্রিকেটারদের টেক্কা দেয়ার মতোই। এ নিয়ে কোনো খোলামেলা আলোচনা করেননি কোহলি।
আলোচনায় নিজের সাবেক কোচ শাস্ত্রীর প্রসঙ্গেও কথা বলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ভারতের অধিনায়কত্ব পাবার সময় তাকেই কোচ হিসেবে পান কোহলি। নিজের সফলতার অনেকটা কৃতিত্ব শাস্ত্রীকে দিয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, ওনার সঙ্গে কাজ না করলে এই সাফল্য পেতাম না। আমাদের পরিকল্পনা পরিষ্কার ছিল। খুব ভালো বোঝাপড়া ছিল। আমার জন্য রবি ভাই অনেক কিছু করেছেন। আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।’ ২০০৮-এ ভারতীয় দলে কোহলি যখন ডাক পান যুবরাজ তখন বড় নাম। পরে অনেকটা সময় দু’জন একসঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছেন। এই সাবেক সতীর্থের কথায় কোহলি বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সময় প্রথম পরিচয় যুবরাজের সঙ্গে। ভারতের হয়ে খেলা শুরুর সময়ে যুবরাজ, হরভজন, জহিরের মতো সিনিয়রকে পেয়েছি। ওরা আমাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছে, মাঠে অনেক ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে যুবরাজ কীভাবে ফিরে এসেছে তা দেখেছি।’