খেলা
ঘরের ছেলের জোড়া গোলে ফ্লুমিনেন্সের বিদায়, ফাইনালে চেলসি
স্পোর্টস ডেস্ক
(৯ ঘন্টা আগে) ৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

আরেক ইংলিশ ক্লাব ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন থেকে উড়ে এসে প্রথমবার শুরুর একাদশে জায়গা পেলেন জোয়াও পেদ্রো। মঙ্গলবার নতুন ঠিকানার দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ আবার নিজেরই শৈশবের ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। তাই তো চোখ ধাঁধানো দু’টি গোল করেও উদযাপন করেননি এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ২-০ গোলেই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে চেলসি।
কোয়ার্টার ফাইনালে স্বদেশি ক্লাব পালমেইরাসের সঙ্গে বিরতির পর সুযোগ পান পেদ্রো। সেদিন ৫৪তম মিনিটে নেমে তেমন কিছু করার সুযোগ পাননি এই ২৩ বছর বয়সী ফুটবলার। তবে এদিন যেনো অন্য রূপ ধারণ করেন এই তিনি। নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে পুরো ম্যাচে ৫৪ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রাখা চেলসি ১৭টি শটের মধ্যে ৫টি লক্ষ্যে রাখতে পারে। ১২টির মধ্যে ৩টি শট লক্ষ্যে থাকে ফ্লুমিনেন্সের। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল প্রদর্শন করে দু’দলই। অষ্টাদশ মিনিটে পেদ্রো নেতোর একটি ক্রস ফিরে আসে এক প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারে পায়ে লেগে। ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে বল পেয়ে যান জোয়াও পেদ্রো। দৃষ্টিনন্দন এক শটে কোনাকুনি জালে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ডানদিকে পুরোটা ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি ক্লাব বিশ্বকাপের সবচেয়ে বয়স্ক গোলকিপার ফাবিও। ২০১৯-এ এই ফ্লুমিনেন্সের যুব দল থেকেই মূল দলে যুক্ত হন পেদ্রো। তাই গোলের পর স্বভাবতই উদযাপন করেননি তিনি। আট মিনিটের মাথায় সমতসূচক গোলটি প্রায় পেয়েই যায় ফ্লুমিনেন্স, তবে হারকিউলিসের নেয়া সেই শটটি একেবারে গোললাইন থেকে ফেরান মার্ক কুকুরেয়া। ৩৫তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির আরেকটি সুযোগে পানি ঢেলে দেয় ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি)। ডি বক্সে চেলসি ডিফেন্ডার ট্রেভর চালাবাহর হাতে বল লাগলে প্রথমে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে পরে ভিএআর মনিটরে দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তিনি। বিরতির পর মাঠে ফিরে ৫৬তম মিনিটে আরেকটি দুর্দান্ত গোল করেন পেদ্রো। অধিনায়ক এঞ্জো ফার্নান্দেজের থ্রু পাস ধরে ডি বক্সের ভেতর ঢুকে যান তিনি। সামনে থাকা দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়েই জোড়াল শটে বল জালে জড়ান এই সাম্বা বয়। এবারও উদযাপন করেননি তিনি। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা ফ্লুমিনেন্স পরে আর কোনো অঘটন ঘটাতে পারেনি। আর এর মধ্য দিয়েই শেষ হয় ব্রাজিলের ক্লাবটির দুর্দান্ত এক যাত্রা। ফ্লুমিনেন্সের বিদায়ে নিশ্চিত হলো টানা ১৩ বারের মতো ফিফা আয়োজিত ক্লাব পর্যায়ের কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা ইউরোপিয়ান ক্লাবের কাছে থাকা। শেষবার ২০১২তে এই চেলসিকেই হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জেতে ব্রাজিলেরই ক্লাব করিন্থিয়াস পাউলিস্তা।
ম্যাচের পর ব্লুদের কোচ এঞ্জো মারেস্কা বলেন, ‘এটি দারুণ অর্জন। মৌসুমটি দারুণ গেল। লীগে সেরা ছিলাম, কনফারেন্স লীগ জিতলাম এবং এখন এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলাম। আমরা খুব আনন্দিত। মৌসুমের শেষ ম্যাচে পৌঁছে গেছি, আশা করি টুর্নামেন্টটি জিততে পারব।’ এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট পেলো ইংলিশ জায়ান্টরা। এর আগে ২০১২তে হারের পর ২০২১-এ ফাইনালে পৌঁছে শিরোপাও জেতে ইউরোপিয়ান জায়ান্টরা।