ঢাকা, ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে

অনলাইন ডেস্ক

(১০ ঘন্টা আগে) ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৪:১৪ অপরাহ্ন

mzamin

বাংলাদেশ প্রতিদিন

‘তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে’-এটি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দেড় মাসের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদিন রাজধানী ঢাকাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের জননন্দিত এই শীর্ষনেতাকে স্বাগত জানাতে ২০ লাখ নেতা-কর্মী সমাগমের টার্গেট করা হয়েছে।

তারেক রহমান অতি স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে মাঠে থেকে নেতৃত্ব দেবেন। দলের প্রাণস্পন্দন তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস, উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। বিএনপি এবং লন্ডনের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অত্যন্ত স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরবেন। তাঁর আগমনের অপেক্ষায় এখন সমগ্র বাংলাদেশ। দেশে ফিরে তিনি নিজে মাঠে থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন। তাঁর নেতৃত্বে আজ সমগ্র দেশ ঐক্যবদ্ধ।

লন্ডন সফররত দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই। তিনি যখন খুশি দেশে ফিরতে পারেন। সময়মতো তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং অবশ্যই দেশে ফিরে আসবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠকের পর সারা দেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক উচ্ছ্বসিত। তাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তিনি আগামী ৫ আগস্টের আগেই দেশে ফিরতে পারেন। কোনো কারণে দেরি হলে আগামী নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পরপরই দেশে ফিরবেন। নির্বাচনি ডামাডোলের এক উত্তাল সময়ে তিনি প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসবেন। সেদিন তাঁকে স্বাগত জানাতে কমপক্ষে ২০ লাখ লোক সমবেত হবে ঢাকায়। সারা দেশ থেকে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস নিয়ে তাঁকে স্বাগত জানাবেন। রাজধানী ঢাকা এক জনসমুদ্রে পরিণত হতে পারে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পর বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক তারেক রহমান। তাঁর আগমনে সারা দেশে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করবে। ১৩ জুন লন্ডন বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনসহ দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব দেশের একমাত্র নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে যথাযথভাবে বোঝানোর মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রেখেছেন তারেক রহমান। এজন্য তিনি দেশে-বিদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসায় সিক্ত হচ্ছেন। লন্ডন বৈঠক সফল হওয়ায় গণ অভ্যুত্থানবিরোধী সব অপশক্তিসহ নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের চরম পরাজয় হয়েছে। একই সঙ্গে ডিএসসিসির মেয়র পদে শপথ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল সেটির অবসান হয়েছে।

সর্বোপরি রাজনৈতিক সংকট কেটে সমগ্র দেশ নির্বাচনি ট্রেনে উঠে পড়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন। হাতে সময় মাত্র পৌনে আট মাস। জনগণের ভোটে অনুষ্ঠেয় স্মরণকালের ঐতিহাসিক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরা সহজ হবে কি না’, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘তাঁর (তারেক রহমান) তো দেশে ফিরতে কোনো অসুবিধা নেই। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক, যে কোনো সময় ইচ্ছা করলেই দেশে ফিরতে পারেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে সব অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। ষড়যন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মেরেছে লন্ডন বৈঠক। ফলে জনমনে স্বস্তি এসেছে। অন্যদিকে চরম হতাশায় নিমজ্জিত ষড়যন্ত্রকারীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা, শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন। বিশেষ করে নির্বাচনের মনোনয়ন, দল গোছানোসহ অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। সেগুলো বাস্তবায়নে তারেক রহমানের কোনো বিকল্প নেই। তাদের প্রত্যাশা তারেক রহমান ৫ আগস্টের আগেই দেশে ফিরছেন। এর আগে তারেক রহমানের দ্রুত দেশে ফেরার কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তারেক রহমান অবশ্যই দেশে ফিরবেন। তিনি শিগগিরই ফিরছেন। তবে বিএনপি মহাসচিব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানাননি।

একই ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘উনি (তারেক রহমান) শিগগিরই ফিরবেন, ইনশাল্লাহ। তবে দিন-তারিখ এখনো বলতে পারব না।’

বুধবার সিনিয়র সাংবাদিক আশরাফ কায়সারের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি আলোচিত হয়। এক পোস্টে তিনি বলেন, ৩৬ জুলাই-এর আগেই তিনি লন্ডন থেকে ফিরছেন। বিগত ওয়ান ইলেভেন ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৮৭টি মামলার মধ্যে অনেক মামলা বাতিল ও খারিজ হয়েছে। বাকিগুলো থেকে খালাস ও জামিন লাভ করেন তিনি। এরপর তার দেশে ফেরায় আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবীরা।

প্রথম আলো

‘এসএসসিতে অনুপস্থিতির বড় কারণ বাল্যবিবাহ’-এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ছয় হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। তাদের মধ্য থেকে পাওয়া ১ হাজার ২০৩ জনের তথ্য বলছে, প্রায় ৪০ শতাংশের (৪৮১) বিয়ে হয়ে গেছে।

বিয়ে হওয়ার এ হার মেয়ে ও ছেলে মিলিয়ে। এ ছাড়া ৭ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল পারিবারিক অসচ্ছলতার জন্য কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার কারণে। বাকিরা অসুস্থতা, প্রস্তুতি ভালো না থাকাসহ নানা কারণে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।

উদ্বেগের বিষয় হলো অনুপস্থিত ওই সব পরীক্ষার্থীর মধ্যে যাদের তথ্য পাওয়া গেছে, তাদের প্রায় ৫১ শতাংশ আর পড়াশোনা করবে না। বাকিরা বলেছে, পরবর্তী বছরে পরীক্ষা দেবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাদের অধীন বিদ্যালয়গুলো থেকে এসব তথ্য পেয়েছে। এখন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

সারা দেশে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফরম পূরণ করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের চেয়ে প্রায় এক লাখ কম ছিল। বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে কম ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে।

আবার এবার পরীক্ষার ফরম পূরণ করে অংশ না নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ছিল অন্যান্যবারের তুলনায় বেশি। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসব পরীক্ষার প্রথম দিনেই অনুপস্থিত ছিল ২৬ হাজার ৯২৮ পরীক্ষার্থী। অথচ গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিল ১৯ হাজার ৩৫৯ পরীক্ষার্থী।

যুগান্তর

দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর ‘তিন যোগ্যতায় নিশ্চিত হবে মনোনয়ন’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে-এমনটা ধরে নিয়েই জোরেশোরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এজন্য প্রার্থী বাছাইকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মনোনয়নে জনদাবির প্রতিফলন ঘটাতে ইতোমধ্যে বিএনপির হাইকমান্ড একাধিক জরিপ সম্পন্ন করেছে। যাকে মনোনয়ন দিলে সাধারণ ভোটাররা খুশি হবে, এমন প্রার্থীর হাতেই নির্বাচনি টিকিট দেবে বিএনপি।

তবে এক্ষেত্রে মৌলিক নীতি অনুসরণ করা হবে। এজন্য প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতি হিসাবে তিনটি যোগ্যতাকে অন্যতম মানদণ্ড হিসাবে সেট করা হয়েছে। এগুলো হলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই-সংগ্রামে দেশ ও দলের যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন, দ্বিতীয়ত, যিনি সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং এলাকার জনগণের কাছে একজন ভালো মানুষ হিসাবে সুপরিচিত। তৃতীয়ত, ভোটের রাজনীতিতে যিনি তার নির্বাচনি এলাকায় বেশি জনপ্রিয়। দলটির দাায়িত্বশীল একাধিক সূত্র যুগান্তরকে এমন মানদণ্ডের কথা নিশ্চিত করেছে।

এদিকে সূত্র মতে, মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে তরুণ প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পেতে পারে। আবার দলের বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে নবীন-প্রবীণের চমৎকার সমন্বয় ঘটিয়ে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। অপরদিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবার থেকে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এছাড়া মিত্রদের জন্য কিছু আসনও সেক্রিফাইস করবে। থাকবে নানান চমকও।

কালের কণ্ঠ

‘অর্থনৈতিক মন্দা কাটছে না’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ব্যাংক খাতে অস্থিরতা, খেলাপি ঋণ, বিনিয়োগ স্থবিরতা, মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানিসংকটে নাজুক দেশের আর্থিক ভিত্তি। বলতে গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নানা সূচকে নেমে এসেছে উদ্বেগের ছায়া, বেড়েছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। চলমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নীতিগত দুর্বলতা যোগ হয়ে দেশের সার্বিক অর্থনীতির মন্দা কোনোভাবেই কাটছে না।

ব্যাংক খাতে অস্থিরতা: নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মোট ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর চরম তারল্য সংকটে পড়েছে ব্যাংকগুলো। এখনো সেই চাপ সামলে উঠতে পারেনি কিছু ব্যাংক। এসব দুর্বলতার মধ্যে পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করতে কাজ চলছে প্রথম ধাপে।

পলাতক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের আমলে ব্যর্থ হওয়া পদ্ধতি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে আলোচিত ও বিতর্কিত এক ইস্যু ‘মার্জার’ বা একীভূতকরণ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২৪ সালের শেষ ভাগ থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও এর লক্ষ্য ব্যাংক খাতকে আরো সুশৃঙ্খল ও স্থিতিশীল করা; তবে বাস্তবে এই সিদ্ধান্ত গ্রাহক, কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি করেছে। কারণ ইতিহাস বলছে, একাধিক প্রতিষ্ঠান মার্জ হলে কিছু না কিছু কর্মকর্তার চাকরি হারানো নিশ্চিত।

খেলাপি ঋণে নতুন রেকর্ড: বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত আবারও নতুন এক বিপজ্জনক রেকর্ডে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। মাত্র তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। এই ঋণের হার এখন দাঁড়িয়েছে মোট বিতরণ করা ঋণের ২৪.১৩ শতাংশে, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের তুলনায় বিপজ্জনকভাবে বেশি। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এত দিন লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ এখন বেরিয়ে আসছে।

সমকাল

দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘প্রস্তুতিতে গতি বাড়াচ্ছে কমিশন’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সময়সীমা নির্ধারণ হওয়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে গতি বাড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই অংশ হিসেবে ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে গতকাল রোববার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি আগামী বৃহস্পতিবার কমিশন সভা আহ্বান করতে পারেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ নির্ধারণ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা কমলেও কমিশনের প্রস্তুতিতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, সংসদের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা, নির্বাচনী আচরণবিধিমালা সংশোধন ও নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহের কাজ আটকে রয়েছে পরিকল্পনাতে। এ-সংক্রান্ত আইন সংশোধনের কাজও ফাইল চালাচালিতে সীমাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা। তবে বৃহস্পতিবার সভা হলে সেখানে এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে কমিশনের আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। আলোচনা হলে ইসি সরকারের 'ভাব' বুঝতে পারবে। তখন নির্বাচনের তারিখ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারি কিংবা এপ্রিল- যখনই হোক, নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

সংসদ নির্বাচন কখন হবে- এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনার মধ্যে গত শুক্রবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত

ইত্তেফাক

‘৩৩ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক শিক্ষকের পদ শূন্য’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষক সংকটে ধুঁকছে দেশ। বর্তমানে সারা দেশে ৩৩ হাজারের বেশি বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক এন্ট্রি লেভেলের সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য। অথচ দেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই পড়াশোনা করে এসব প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষকসংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বড় পরিসরে শিক্ষক নিয়োগে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শূন্য পদে প্রায় ১ লাখ শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। জানা গেছে, আজ সোমবার গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে। তবে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ২২ জুন থেকে। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তির খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। টেকনিক্যাল কোনো জটিলতা না থাকলে নির্ধারিত তারিখেই এটি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে এনটিআরসিএ।

জানা গেছে, এবারের গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের একটি বড় অংশ অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলেও কিছু সীমাবদ্ধতা থাকছে। এনটিআরসিএর নীতিমালা অনুযায়ী, ৩৫ বছরের বেশি বয়সী নিবন্ধনধারীরা এই নিয়োগে আবেদন করতে পারবেন না। এছাড়া যেসব প্রার্থীর নিবন্ধন সনদ তিন বছরের বেশি সময় আগে পাওয়া, তারাও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হবেন না। এ কারণে গণবিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় থাকা নিবন্ধন সদনধারী দেড় লাখ প্রার্থী আবেদনেরই সুযোগ পাবেন না। স্নাতক-স্নাতকোত্তর করা তরুণ-তরুণীরা নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে ‘নিবন্ধন সনদ’ অর্জন করেছেন। তার পরও দুই শর্তের কারণে আবেদনবঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে এনটিআরসিএ সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালায় বয়স-সংক্রান্ত বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। আমরা এমপিও নীতিমালার বাইরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।’

বণিক বার্তা

দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ক্ষত তৈরি করেছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও অটোপাস’। খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জেরে ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অটোপাস দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। আর ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে জুলাই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিত হওয়া ২০২৪ সালের এইচএসসির পরীক্ষাগুলোয় অটোপাস দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুযায়ী। শিক্ষক, অভিভাবকসহ শিক্ষার নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২০ সালের পর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অটোপাস, সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের মতো ঘটনা শিক্ষার মানে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার বিষয়বস্তু ভালোভাবে আয়ত্ত করার জন্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে একটা ভালো ভিত্তি গড়ে ওঠা অত্যন্ত জরুরি। করোনাকালে অটোপাস, সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের মতো সিদ্ধান্তের কারণে এ জায়গাটিতে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এখন আমরা ক্লাসে যখন শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছি তখন অনেক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে দেখতে পাই, তারা এমন অনেক বিষয় বুঝতে পারছেন না যেটি তাদের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেই শিখে আসার কথা। এছাড়া আগের শিক্ষার্থীদের তুলনায় বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে অমনোযোগিতার হারও বেশি।’

বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলে বিকল্প পদ্ধতি ভাবলেও কোনো বোর্ড পরীক্ষায় ছাড় দেয়া ঠিক নয় বলে মনে করেন এ শিক্ষাবীদ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কখনো বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলে আমাদের বিকল্প পদ্ধতি ভাবতে হবে। কিন্তু মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অটোপাস বা সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের মতো সিদ্ধান্ত কোনো অবস্থায়ই কাম্য নয়। এটি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে দেশের জন্যও ক্ষতিকর।’

আজকের পত্রিকা

‘অপরাধী চক্রের দ্বন্দ্বে পাঁচ মাসে ৫৬ খুন’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী ঢাকায় গত পাঁচ (জানুয়ারি থেকে মে) মাসে ১৬৮ জন খুন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ (৫৬ জন) হত্যাকাণ্ডই ঘটেছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ডিশ-ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অপরাধী চক্রের দ্বন্দ্বের জেরে। বেশির ভাগ হত্যা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। কয়েকটি হত্যার সঙ্গে পলাতক সন্ত্রাসীদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।

ক্ষমতার পালাবদলে সন্ত্রাসী চক্রগুলো এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য এই খুনোখুনি রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। পাশাপাশি সামাজিক অস্থিরতাও তৈরি করছে। এসব সন্ত্রাসীর পেছনে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগও রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের বেশির ভাগই গ্রেপ্তার হয়নি।

দুই মাসের ব্যবধানে বাড্ডার দুই ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গত ২৫ মে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ও বিএনপির নেতা কামরুল আহসান সাধনকে বাড্ডায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডারত অবস্থায় সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। এর আগে বাড্ডার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সুমন মিয়াকে ২০ মার্চ গুলশানের পুলিশ প্লাজার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। র‍্যাব জানায়, বাড্ডার পলাতক সন্ত্রাসী মেহেদী ও রবিন গ্রুপের মধ্যে চাঁদাবাজি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে সুমনকে হত্যা করা হয়।

দেশ রূপান্তর

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘আ.লীগের গোপন প্রস্তুতি’। খবরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ তার অঙ্গসংগঠনের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ, এ সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আগেই দিয়েছে সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও দেশকে অস্থিতিশীল করতে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের নামে মাসব্যাপী কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নবিদ্ধ করতে র‌্যাব-পুলিশের পোশাকে ছিনতাই-ডাকাতি, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ ও ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণহত্যার বিচার বন্ধের দাবিতে ঢাকা মহানগর ও বিভাগীয় শহরগুলোতে বিক্ষোভ, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গভীর রাতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ভার্চুয়াল আলোচনা সভা এবং স্বল্প পরিসরে একত্রিত হয়ে ঝটিকা মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছে দলটি।

পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ কর্মসূচি পালনে নির্ধারিত তারিখ ২৩ জুনের আগে ও পরে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবার গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য কর্মসূচি শেষে জনসাধারণের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলের গুপ্ত কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মীদের।

আইনশৃঙ্খলা-সংশ্লিষ্ট একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এমন পরিকল্পনার তথ্য উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তরকে বলেন, স্বাভাবিক নাগরিকজীবন সংঘাতে ঠেলে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আওয়ামী লীগ নানা ফিকির খুঁজছে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে এমন ফন্দি আঁটলেও সব তথ্যই রাখছেন সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দারা।

গোয়েন্দা প্রতিবেদন বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তাদের ঝটিকা মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে। এ সময়ে তারা বিভিন্নভাবে একত্রিত হয়ে স্বল্প সময়ের মিছিল করে আবার বিচ্ছিন্নভাবে জনসাধারণের সঙ্গে মিশে যাবে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত দলটি অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সরকারের পদত্যাগ ও ট্রাইব্যুনালে বিচার বন্ধের দাবিতে ক্রমাগত কর্মসূচি চালাবে বলেও জানা যায়।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status