অনলাইন
ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যার ছক কষেছিল ইসরাইল, বাধা দেন ট্রাম্প
মানবজমিন ডিজিটাল
(৬ ঘন্টা আগে) ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১২:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৫৭ অপরাহ্ন

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনিকে হত্যার ছক কষেছিল ইসরাইল! কিন্তু তাতে বাধ সাধেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে একথা জানিয়েছেন তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা। একজন কর্মকর্তার মতে, ট্রাম্প ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছিলেন যে, খামেনিকে হত্যা করা ‘সঠিক পরিকল্পনা নয়’। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।
শুক্রবার ইরানের উপর ইসরাইলের আক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিষয়টি সামনে এসেছে। ফক্স নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে, নেতানিয়াহু রয়টার্সের এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সরাসরি নিশ্চিত বা অস্বীকার করেননি যে ট্রাম্প আয়াতুল্লাহকে হত্যার পরিকল্পনায় ভেটো দিয়েছেন।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই কথোপকথন নিয়ে অনেক মিথ্যা প্রতিবেদন রয়েছে যা কখনও ঘটেনি এবং আমি সেগুলো নিয়ে কথা বলবো না। কিন্তু আমাদের যা করা দরকার আমরা তাই করব। আমার মনে হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানে কোনটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভালো এবং আমি এতে জড়াতে চাই না।’
একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘নীতিগতভাবে ইসরাইল রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করে না, আমরা পারমাণবিক ও সামরিক বাহিনীর উপর মনোযোগী।’
শুক্রবার ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো এবং অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে ইসরাইল প্রথম আক্রমণ শুরু করে। এরপর থেকে দুই দেশ একে অপরের উপর ব্যাপক হামলা চালিয়ে আসছে, রবিবার তৃতীয় দিনেও সেই হামলা অব্যাহত ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ট্রুথ সোশ্যালে তার সর্বশেষ পোস্টে, ট্রাম্প বলেছেন যে, ‘ইরান এবং ইসরাইলের একটি চুক্তি করা উচিত।’
ট্রাম্পের কথায়, ‘আমি উভয়কেই শত্রুতা বন্ধ করতে বলবো যেমন আমি ভারত এবং পাকিস্তানকে বলেছিলাম।’ দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে একথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কানাডায় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। তিনি ইরানের উপর হামলা বন্ধ করতে ইসরাইলকে কিছু বলেছেন কিনা তা বলতে রাজি হননি।
মার্কিন-ইরান পারমাণবিক আলোচনার পরবর্তী দফা প্রথমে রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মধ্যস্থতাকারী, ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আলবুসাইদি একদিন আগে ঘোষণা করেছিলেন যে তা বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত এক কর্মকর্তা বলেন, ইরান কাতার ও ওমানকে বলেছে যে, ইসরাইলি আক্রমণের মুখে থাকাকালীন তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত নয়। শনিবার ট্রাম্প বলেন যে, ‘ইরানের উপর হামলার সাথে আমেরিকার কোনও সম্পর্ক নেই’।
তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, ‘যদি ইরান আমাদের উপর যেকোনোভাবে আক্রমণ করে, তাহলে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর পূর্ণ শক্তি তাদের উপর এমন পর্যায়ে নেমে আসবে যা আগে কখনও দেখা যায়নি।’
সূত্র : বিবিসি
পাঠকের মতামত
ট্রাম্পের একথার অর্থ হলো ইরানের ধর্মীয় নেতা যেকোন মূহুর্তে হত্যার শিকার হতে পারেন। ইরাণের ভিতরেই ইরানের শত্রু। খামেনীর বিরোধীরা ইসরাইলের সাথে হাত মিলিয়েছে ইরানকে ধ্বংস করতে। ওরাই মোসাদের হয়ে কাজ করছে। আর গতকাল মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছিল এরকম ভারতের ১৩ জন আটক করেছে ইরান। মনে হয় ইরাণের উচ্চতর সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের হত্যাকান্ডে ভারতীয় গুপ্তচররাই জড়িত।