অনলাইন
লন্ডনে শায়ান এফ রহমানের অ্যাপার্টমেন্ট জব্দ
অনলাইন ডেস্ক
(১১ ঘন্টা আগে) ২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:১১ অপরাহ্ন

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আহমেদ শায়ান এফ রহমানের দু’টি অ্যাপার্টমেন্ট জব্দের আদেশ পেয়েছে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। শায়ান বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে। এ খবর দিয়েছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
অ্যাপার্টমেন্ট দুটির একটি হলো লন্ডনের ১৭ গ্রোসভেনর স্কয়ারের একট। যেটি ২০১০ সালে ৬৫ লাখ পাউন্ড (১০৬ কোটি টাকার বেশি) দিয়ে কেনা হয়েছিল। আরেকটি হলো-উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেনসে। এটি পরের বছর ১২ লাখ পাউন্ড (সাড়ে ১৯ কোটি টাকার বেশি) দিয়ে কেনা হয়।
যুক্তরাজ্যের নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট নথির তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা গ্রেশাম গার্ডেনসের অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করেছেন। তবে তিনি এখনো সেখানে থাকেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ ও বর্তমান পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের মা।
এনসিএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে একটি চলমান ফৌজদারি তদন্তের অংশ হিসেবে ১৭ গ্রোসভেনর স্কয়ার এবং গ্রেশাম গার্ডেনসের অ্যাপার্টমেন্ট জব্দের আদেশ (ফ্রিজিং অর্ডার) পেয়েছে এনসিএ। এই মুহূর্তে আমরা এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
নথি বলছে, লন্ডনের ওই দুই অ্যাপার্টমেন্ট যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ অঞ্চল আইল অফ ম্যান-এ নিবন্ধিত অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছিল।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘সালমান এফ রহমান ও শায়ান এফ রহমান অর্থ আত্মসাতের তদন্তে সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন।’
শায়ান এফ রহমানের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের মক্কেল জোরালোভাবে কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করছেন। যুক্তরাজ্যে যদি কোনো তদন্ত হয়, তবে তিনি অবশ্যই তাতে সহযোগিতা করবেন। বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। সেখানে শত শত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। বিষয়টি যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নেবে বলে আমরা আশা করি।’
এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য শেখ রেহানা ও সালমান এফ রহমানের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিলেন শেখ হাসিনা। ছাত্রদের নেতৃত্বে বিক্ষোভের পর ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। বর্তমানে শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।