শেষের পাতা
বৃটিশ দূতের সঙ্গে মহিলা জামায়াতের নজিরবিহীন বৈঠক
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
জামায়াতের রাজনীতি বিশেষ করে নারী অধিকার প্রশ্নে দলটির অবস্থান সম্পর্কে জানা-বুঝার চেষ্টা করছে বৃটেন। ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এবং তার মিশনের রাজনৈতিক উইংয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে সোমবার মহিলা জামায়াতের এক বৈঠকে ওই জানা-বুঝার চেষ্টা হয়। দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্র বারিধারাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নারী ইউনিটের প্রতিনিধি দলের বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বৃটিশ হাইকমিশন বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত না জানালেও তারা এ সংক্রান্ত একটি গ্রুপছবি শেয়ার করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘ইউকে ইন বাংলাদেশ’-এর ফেসবুক পেজে প্রকাশিত সচিত্র বার্তায় বলা হয়- বৃটিশ দূত সারাহ কুকের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নারী শাখার নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ হয়েছে। জামায়াতের রাজনীতি বিশেষত নারী সম্প্রদায়ের মধ্যে দলটির কার্যক্রম এবং নারী নীতি বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে।

বৃটিশ হাইকমিশন এবং জামায়াতের একাধিক সূত্র জানিয়েছে- বৃটিশ দূতের আমন্ত্রণে তার বাসভবনে যান দলটির ৯ সদস্যের প্রতিনিধি, যার নেতৃত্ব দেন জামায়াতের মহিলা ইউনিটের সেক্রেটারি মিজ নুরুন্নেছা সিদ্দিকী। ওই টিমের অন্যরা হলেন- দলটির সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিজ সাইয়্যিদা রুম্মান, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিজ মারজিয়া বেগম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. প্রফেসর হাবিবা আক্তার চৌধুরী সুইট, এডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নি, মিজ খন্দকার আয়েশা খাতুন, প্রফেসর সালমা সুলতানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজ তাহমিনা ইয়াসমিন ও মিজ নিশাত তাসনীম।
সূত্রমতে, ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল জামায়াতে নারীদের অংশগ্রহণ বিষয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। দলটির কর্মসূচিতে নারী সম্প্রদায়ের উপস্থিতি খুব একটা দেখা যায় না। এ কারণে আদৌ নারীরা জামায়াতের রাজনীতি করেন কিনা তা নিয়ে কৌতূহল সর্বত্র। সম্ভবত এই প্রথম কোনো বিদেশি কূটনীতিকের সঙ্গে জামায়াতের নারী নেতৃত্বের ঘটা করে এমন সাক্ষাৎ হলো।
পাঠকের মতামত
রাজনীতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামী খুবই উদার' রাজনীতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে আমরা খুবই উদার: জামায়াতে ইসলামী. ... এই হলো ইসলামী দলের নীতি বা বৈশিষ্ট্য যারা বিশ্বের সাথে সম্পর্কের জন্য নামধারী ইসলামী দলে নারী নেতৃত্বের সৃষ্টি করছে ।
জামায়াতে ইসলামী নারী-পুরুষ, ছাত্র-ছাত্রী, শ্রমিক-মেহনতি সকল শ্রেণির সকল পেশার সকল ধর্মের লোকের সাথে কাজ করে। সবার কাছে ইসলামের সুমহান কথা তুলে ধরতে চায়। একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে মহিলাদেরকে পিছিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই।
They will think that the world is going far ahead but we (Bangladeshi people) are lagging far behind.
Khub valo uddeg
হায়রে সংস্কৃতির সংঘাত! সারাহ কুক হয়তো ভেবেছেন, এমন অদ্ভুত 'সাক্ষাত' আর আজব ক্যামেরা সেশনের অভিজ্ঞতার চেয়ে তো বরং মেসেঞ্জার-ফেসেঞ্জারে চ্যাট করলেই ভালো হতো।
ইসলামী আদর্শে উজ্জীবীত হয়েই কি নারীদের সম্পৃক্ত করা নাকি বিশ্বের কাছে নারী অধিকার দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী এটা বুঝাতে চাইছে জামায়াতে ইসলামী।
একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে। মহিলাদেরকে পিছিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সকল পেশা এবং ধর্মের মানুষ নিয়ে একটি আদর্শ রাষ্ট্র কায়েম করতে চাই। মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা মহান আল্লাহ তায়ালার
জামায়াত বাংলাদেশের উদারপন্থী ইসলামি রাজনৈতিক দল। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নিরপেক্ষতা তারা ২০০১ সালে মন্ত্রিপরিষদে দেখিয়েছিলো। সুতরাং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দলটির ক্ষমতায় আসা দরকার।
যেহেতু ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।তাই মহিলারাও রাজনীতিতে থাকবে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কি আছে?
জামায়াতে ইসলামী একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ ইসলামী দল,যারা নিপীড়িত,নির্যাতিত মানুষ ও নিগৃহীত নারী জাতির মুক্তি ও কল্যান চায়।নারীদের প্রকৃত মর্যাদা নিশ্চিতে ইসলাম নির্দেশিত প্রোগ্রাম দেশের নারী সমাজকে জামায়াতে যোগদানে উদ্বুদ্ধ করেছে। তাই জামায়াত এখন সংখ্যালঘুসহ সর্বস্তরের একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষম রাজনৈতিক দল, আলহামদুলিল্লাহ!!
জামায়াতে ইসলামী নারী-পুরুষ, ছাত্র-ছাত্রী, শ্রমিক-মেহনতি সকল শ্রেণির সকল পেশার সকল ধর্মের লোকের সাথে কাজ করে। সবার কাছে ইসলামের সুমহান কথা তুলে ধরতে চায়।