শেষের পাতা
এনবিআর নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে
স্টাফ রিপোর্টার
২১ মে ২০২৫, বুধবারজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দ্বি-ভাগকরণে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এনবিআরকে যেভাবে দুইটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে, সেটিই বহাল থাকবে। গতকাল সচিবালয়ে কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এনবিআর পৃথকের ব্যাপারে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা ২রা জুন বাজেট দেবো। এরপর এটা নিয়ে কাজ হবে। এনবিআর পৃথকের বিষয়টি বাস্তবায়নের পর্যায় রয়েছে। অনেক কাজ আছে এসব নিয়ে। সেসময় আমরা দেখবো কতোটুকু তাদের দাবি কতোটুকু নেয়া যায়। প্যাকটিকাল ইস্যুতে দশ ও দেশের স্বার্থে, ব্যবসার স্বার্থে আমরা যেটাকে অনুমোদন করেছি সেটা রাখবো। কিন্তু তাদের বিষয়গুলো-বিধি হোক আর যেভাবেই হোক সেটা করতে আমরা চেষ্টা করবো। এ বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আর কোনো বৈঠক হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে ফর্মালি আর কোনো আলোচনা হবে না। তাদের যে উপদেষ্টা কমিটি আছে তারা তাদের সঙ্গে আলাপ করে এটা করবে। বৈঠক ফলপ্রসূ কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকের বৈঠক ফলপ্রসূ। আলাদা বিভাগ হিসেবে কাজ শুরু কবে হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগে গেজেট করতে হবে। গেজেটের আগেও অনেক কাজ আছে। এ কাজ শেষ করতে কতোদিন লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেয়া যায়।
তারা সন্তুষ্ট কিনা? আন্দোলন থেকে সরে আসবে কিনা জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বলেছি, আন্দোলন থেকে সরে আসেন। তারা কি বলেছে সেটায় আমার যায়-আসে না। এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানান, অর্থ উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টারা কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনেছেন এবং এখন মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এদিকে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ান হাসান, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত ১২ই মে রাতে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এনবিআরকে দু’টি ভাগে বিভক্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দু’টি বিভাগ গঠন করা হয়। তবে ওই অধ্যাদেশে কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। কর্মকর্তারা দাবি করছেন, এতে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে এবং তাদের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে। এ অভিযোগে এনবিআরের অনেক কর্মকর্তা কলমবিরতি পালন করে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন গত কয়েকদিন ধরে। এ বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাঠকের মতামত
এন বি আর এর আসাধু কর্মকর্তাদের কারণে দেশের সৎ ব্যবসায়ীরা কর দিতে নিরুৎসাহিত বোধ করেন। উনাদের কাজের আরও অধিকতর নিয়ন্ত্রণ এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিৎ।
সরকারকে ট্যাক্স দিতে চাই কিন্তু যখন মনে হয় এনবিআর অফিসে ক্ষ্যাপা কুকুর বসে আছে,যাওয়া মাত্র কামড় দিবে তখন আর ঐ মুখি হইনা ভয়ে।ভয়টা দুর করার জন্য এই সরকারকে অনুরোধ করছি।
যারা আন্দোলন করেছিল, কলম বিরতিতে গিয়েছিল, তাদের চিহ্নিত করে রাখুন!