খেলা
১৫ বছরের ক্যারিয়ারে অবশেষে ‘শাপমোচন’ কেইনের
স্পোর্টস ডেস্ক
(৫ ঘন্টা আগে) ৫ মে ২০২৫, সোমবার, ৩:৫২ অপরাহ্ন

অবশেষে যেনো হাজার বছরের অপেক্ষায় অবসান হলো হ্যারি কেইনের। নিজেদের শেষ ম্যাচে ড্র করে বায়ার্ন যেই শিরোপা উদযাপন পিছিয়েছিল, রোববার সেই উল্লাসে মেতেছে বাভারিয়ানরা। জার্মান বুন্ডেসলিগার ম্যাচে লেভারকুসেনকে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে রুখে দেয় ফ্রেইবুর্গ। আর তাতেই নিশ্চিত হলো বায়ার্নের লীগ শিরোপা পুনরুদ্ধার। সেই সঙ্গে অপেক্ষা ফুরালো দলের ইংলিশ তারকা কেইনের।
শেষ ১৩ মৌসুমে দ্বাদশ বুন্ডেসলিগা শিরোপা ঘরে তুললো বায়ার্ন মিউনিখ, সাকুল্যে ৩৪তম। লীগের ৩৪ ম্যাচের মধ্যে ৩২ ম্যাচ শেষে বায়ার্নের পয়েন্ট ৭৬, সমান ম্যাচে লেভারকুসেনের পয়েন্ট ৬৮। টানা ১১বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গতবার এই লেভারকুসেনের কাছে শিরোপা হারায় বাভারিয়ানরা। সেই মৌসুমেই জার্মান জায়ান্টদের হয়ে নাম লেখান হ্যারি কেইন। সেবার একটি শিরোপাও জিততে পারেনি বায়ার্ন। নিজের দুর্ভাগ্য জার্মানিতেও কেইন বয়ে নিয়ে গেলেন কি না, এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসও কম হয়নি। তবে নতুন ক্লাবে দ্বিতীয় মৌসুমেই পেশাদার ক্যারিয়ারের প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ গ্রহণ করলেন এই ৩১ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। আগের দিন আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে শেষমুহূর্তের গোলে ৩-৩ গোলে ড্র হওয়ার পর বায়ার্ন তারকা টমাস মুলার সামাজিক যোগাযাগমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘পরের সপ্তাহে, হ্যারি’। অতদিন অপেক্ষা করতে হলো না কেইনকে। তবে অন্যদিক দিয়ে এই অপেক্ষাটা অনেক বেশিই বড় ছিল এই ইংলিশ তারকা ফুটবলারের জন্য। এই একটি শিরোপা জিততে কেইনকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৫ বছর, ৬৯৪ ম্যাচ, ৬টি ফাইনাল ও ৪৪৭ গোল। এর আগে সাবেক ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারের হয়ে দুটি লীগ কাপ ফাইনাল ও একটি চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল হেরেছেন কেইন। বায়ার্নের হয়ে হেরেছেন জার্মান সুপার কাপের শিরোপা। আর জাতীয় দল ইংল্যান্ডের হয়ে হেরেছেন টানা দুই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। বহুল অপেক্ষিত এই শিরোপা নেচে-গেয়ে উদযাপন করেছেন হ্যারি কেইন। বিশাল এক শ্যাম্পেইনের বোতল হাতে সতীর্থ জশুয়া কিমিখ, সার্জ নাব্রি ও এরিক ডায়ারের সঙ্গে মেতেছেন শিরোপা জয়ের উল্লাসে। একাধিক ভিডিও ও ছবি জুড়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেইন লিখেছেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়নস।’ অন্যটিতে লিখেছেন, ‘একসঙ্গে জিতেছি, একসঙ্গে উদযাপন করছি।’ এসব ছবির জন্য আলাদা অ্যালবামও তৈরি করেছেন তিনি, তার নাম দিয়েছেন, ‘কী অসাধারণ অনুভূতি!’