খেলা
মেসির গোল চার ম্যাচ পর তিন ম্যাচ পর জয় মায়ামির
স্পোর্টস ডেস্ক
৫ মে ২০২৫, সোমবার
সম্প্রতি সময়টা ভালো যাচ্ছিলো না লিওনেল মেসি ও তার দল ইন্টার মায়ামির। আজ অবশেষে তিন ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখলো আমেরিকান মেজর লীগ সকারের (এমএলএস) ক্লাবটি। ফ্লোরিডায় লীগ ম্যাচে নিউ ইয়র্ক রেডবুলসকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে মায়ামি। চার ম্যাচ পর গোলখরা কাটিয়েছেন দলের আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বাংলাদেশ সময় আজ (গতকাল) সকালে শেষ হওয়া ম্যাচে ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে আধিপত্য বিস্তার করে মায়ামি। ১২টির মধ্যে ৬টি শট লক্ষ্যে থাকে স্বাগতিকদের। অন্যদিকে ১০টি শটের মধ্যে ৩টি লক্ষ্যে রাখতে পারে নিউ ইয়র্ক। এমএলএসে নিজেদের প্রথম ১০ ম্যাচে স্রেফ ৯টি গোল হজম করে এ ম্যাচের সফরকারীরা। তবে ধরাশায়ী হতে হলো হাভিয়ের মাশচেরানোর ছেলেদের কাছে। এই ম্যাচের আগে ভ্যানকুভার হোয়াইটক্যাপসের কাছে কনকাক্যাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালে দুই লেগেই হেরে বিদায় নিয়েছে মায়ামি। ম্যাচ দু’টির মাঝখানে মেসিরা লীগে চলতি মৌসুমের প্রথম পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পায় ডালাসের বিপক্ষে। টানা তিন ম্যাচ পর এদিন জয়ের স্বাদ পেয়েছে মায়ামি। ম্যাচের নবম মিনিটেই হাইতির ফরোয়ার্ড ফাফা পিকাল্টের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক দল। ৩০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্সেলো ভাইগান্ট। এর নয় মিনিট পর স্কোরলাইন ৩-০ করেন লুইস সুয়ারেজ। এই গোলে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৯ ম্যাচ পর গোলের মুখ দেখলেন এই উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। মিনিট চারেকের মধ্যেই ম্যাক্সিম চুপো-মেটিংয়ের গোলে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখতে থাকে গতবারের এমএলএসে কাপের ফাইনালিস্টরা নিউ ইয়র্ক। বিরতির পর মাঠে ফিরে দলের শেষ গোলটি করেন সর্বোচ আট বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তালেসকা সেগোভিয়ার সঙ্গে অতি দ্রুত দু’বার বল দেয়া-নেয়া করেন মায়ামি অধিনায়ক। ততক্ষণে বক্সের ভেতর ঢুকে গিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি। চলতি বছরে মায়ামির হয়ে ১৩ ম্যাচে ৮ম গোল করলেন মেসি। ১০ ম্যাচে ৬ জয়, ৩ ড্র আর ১ হারে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের তালিকার চারে উঠে এসেছে মায়ামি। এক ম্যাচ বেশি খেলে ২৪ পয়েন্টে শীর্ষে কলম্বাস ক্রু। সমপরিমাণ ম্যাচে ২২ পয়েন্টে দুইয়ে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন। ম্যাচের পর দলের আর্জেন্টাইন কোচ মাশচেরানো বলেন, ‘শারীরিকভাবে এটি খুবই কঠিন একটি খুব কঠিন একটি ম্যাচ ছিল, আমাদের এটি (জয়) দরকার ছিল। ভালো অনুভূতিতে ফিরতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথমার্ধে আমরা গোলের সামনে দৃঢ় ছিলাম, যার অভাব বিগত ম্যাচগুলোতে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা বল দখল আরও বেশি নিয়ন্ত্রিত করতে চেয়েছি, সরাসরি বল কম ব্যবহারের চেষ্টা করেছি। প্রথমার্ধের শেষদিকে খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম এবং তাদের (প্রতিপক্ষ) আমরা বলের নিয়ন্ত্রণ দিতে চাইনি।