অনলাইন
বিবিসিকে কড়া বার্তা মোদি সরকারের
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ ঘন্টা আগে) ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৪:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:২৬ অপরাহ্ন

জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে বিবিসির কভারেজের প্রতি তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারত সরকার। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, পেহেলগামে হামলা নিয়ে ভারতের পদক্ষেপের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল পাকিস্তান। বিবিসির সেই সংস্ক্রান্ত একটি নিউজের শিরোনাম ছিল ‘পাকিস্তান সাসপেন্ডস ভিসা’স ফর ইন্ডিয়ানস আফটার ডেডলি কাশ্মীর অ্যাটাক’। এই রিপোর্টে পেহেলগামের হামলাকে ‘জঙ্গি আক্রমণ’ হিসেবে তুলে ধরা হয়। এই ঘটনায় বিবিসির বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত সরকার। প্রতিবেদনে ‘আপত্তিকর’ শব্দ প্রয়োগের জেরে বিবিসির ভারতীয় প্রধান জ্যাকি মার্টিনকে চিঠি লিখেছে কেন্দ্র। চিঠিতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বিবিসির প্রতিবেদনের উপর নজর রাখবে।
ইন্ডিয়া টুডে বলছে, বিবিসি পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে ‘সন্ত্রাসবাদী’ শব্দটি না-লিখে ‘জঙ্গি’ হামলা উল্লেখ করায় বিষয়টি ভালোভাবে দেখছে না নয়াদিল্লি। গত সপ্তাহে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে, বৃটিশ পাবলিক সার্ভিস ব্রডকাস্টার জানিয়েছে, ‘ভারত-শাসিত কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে একই রকম ব্যবস্থা নিয়েছে।’
মার্কিন সিনেট প্যানেল তাদের প্রতিবেদনে পেহেলগাম সন্ত্রাসীদের ‘জঙ্গি’ বলার জন্য দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের সমালোচনা করার কয়েকদিন পর এই ঘটনা ঘটল। মার্কিন হাউসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি হামলাকারীদের ‘জঙ্গি’ এবং ‘বন্দুকধারী’ বলে সন্ত্রাসী হামলার গুরুত্বকে হ্রাস করার জন্য দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের সমালোচনা করেছে।
এক্সে একটি পোস্টে মার্কিন পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি ‘জঙ্গি’ শব্দটি বাদ দিয়ে, গাঢ় লাল রঙে ‘সন্ত্রাসবাদী’ শব্দটি প্রতিস্থাপন করেছে। কমিটি এক্সে লিখেছে, ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের ভুল আমরা ঠিক করে দিয়েছি। এটি ছিল একটি সন্ত্রাসী হামলা। ভারত হোক বা ইসরাইল, সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে নিউ ইয়র্ক টাইমস বাস্তবতা থেকে সরে যায়।’
সংবাদপত্রটিকে সঠিক তথ্য পাবলিক ডোমেইনে প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন হাউসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি।পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর সীমান্তের ওপার থেকে ভুল তথ্য এবং উস্কানিমূলক বার্তা রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে ভারত ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলও নিষিদ্ধ করেছে। এদের মোট সাবস্ক্রাইবার ছিল ৬৩ মিলিয়ন। পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেল, যার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৩.৫ মিলিয়ন, নিষিদ্ধ করা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চ্যানেলগুলোর মধ্যে একটি।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে