অনলাইন
আদালতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে মারধর
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ ঘন্টা আগে) ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৬:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:২৭ অপরাহ্ন

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাদ্রাসা ছাত্র সোলাইমান (১৯) হত্যার ঘটনায় পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে মারধর করেছেন আইনজীবীরা। তারা পুলিশের বেষ্টনীর মধ্যেই মাথার হেলমেটের ওপড় চড়-থাপ্পড় দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশ আনিসুল হককে নিয়ে দৌঁড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় আইনজীবীসহ সাধারণ জনগণ আনিসুল হকের ফাঁসি চেয়ে বিক্ষোভ করেন।
সোমবার নারায়ণগঞ্জ আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, শুনানি শেষে আদালত থেকে আনার পথে মারধর করার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু পুলিশের বেষ্টনী থাকায় সুযোগ পায়নি। এর আগে সোমবার সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উঠানো হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদির তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মাদ্রাসা ছাত্র সোলাইমান হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
সোলাইমানের ভগ্নিপতি শামীম কবির বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেছিলেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি ও সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ সহ ৫১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পণ্ড করার জন্য আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন এবং জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেন। ওই সময়ে আনিসুল হকের নির্দেশ পেয়ে আসামিরা সড়কে অবস্থানরত ছাত্র-জনতার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতির সৃষ্টি ও হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করেন। তখন মাদ্রাসা ছাত্র সোলাইমান গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান।
পাঠকের মতামত
আমি ওনাকে ও ওনার রাজনীতি পছন্দ করিনা। কিন্তু ওনার নিরাপত্তার জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত।
এর বিপরীতে যেদিন একই ঘটনা ঘটবে সেদিন আমাদের কিছুই বলার থাকবে না। আসলে আমরা যার যার সুবিধা অনুযায়ী কথা বলি। বিচার বিভাগের স্বাধিনতা আগে ছিল না বলে সুশিল সমাজ গলা ফাটাতো, এখন তারা কোথায় গেল?
তিনি সাধু ভাষার খুনী,
এরকম ঘটনা খারাপ হলেও, তা বা তার চেয়ে বেশী অপমান এমন কি শারীরিক নিরযাতন এই দুষ্ট লোকের প্রাপ্য।
অহংকারের কারনে আনিসুল হকের এই অবস্থা। এ থেকে সকলের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ।
একেই বলে প্রকৃতির প্রতিশোধ!
নিয়তি, যার যা প্রাপ্য তাকে তা প্রদানে খুবই উদার।
বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে নিরপরাধ মানুষকে নির্যাতন, হত্যা করার অপরাধে তার অপমানজনক শাস্তি প্রাপ্য।
Supur Duper Like
এতো বড় সম্মানী মানুষ শেষ বয়সে কপালে কিল লাথি ছিলো কে জানতো একেই বলে ভাগ্য!