অনলাইন
প্রতারণার মামলায় জামিন পেলেন মডেল মেঘনা
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ ঘন্টা আগে) ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৬:৪২ অপরাহ্ন

রাজধানীর ধানমণ্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগের মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম। সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ তার জামিন মঞ্জুর করেন। ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আবুল বাশার জানান, নারী বিবেচনায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
মেঘনার আইনজীবী তাহমীম মহিমা বাঁধন বলেন, জামিননামা জমা দেওয়া হয়েছে। আজই ( সোমবার) কারাগারে জামিনের কাগজ পৌঁছে যাবে। তার কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই। আশা করছি, সোমবার না হলেও মঙ্গলবার কারামুক্ত হবেন মেঘনা।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনের একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সুন্দরী নারীদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছিলেন। দেওয়ান সমির ‘কাওয়াই গ্রুপ’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক বলে জানা গেছে। এছাড়া ইতোপূর্বে মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। নারীদের ওই প্রতিষ্ঠানে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করা এবং ম্যানপাওয়ার ও অন্যান্য ব্যবসাকে অধিকতর লাভজনক করার লক্ষ্যে সহযোগী আসামিদের সহায়তায় বিভিন্ন কূটনীতিককে টার্গেট করে ব্লাকমেইল করতেন দেওয়ান সমির। এভোবে তিনি বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসেবে আদায় করতেন।
গত ১০ই এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মেঘনা আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়। ১২ই এপ্রিল ভাটারা থানার প্রতারণা মামলায় দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৭ই এপ্রিল ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২২শে এপ্রিল এ মামলায় তাকে আরও ৪ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২৭শে এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে! এত ঢাক-ঢোল পেটানোর কি দরকার ছিল?