অনলাইন
ড. ইউনূসের বক্তব্য প্রসঙ্গে খসরু
কোন মহামানবকে দায়িত্ব দেয়ার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন করেনি
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ ঘন্টা আগে) ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৬:৩৯ অপরাহ্ন

কোন মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেয়ার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, কোন মহামানব, কোন দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে-তার জন্য দেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কারণ নাই।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। বিকাল সাড়ে ৩ টায় ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে আমজনতার দলের সঙ্গে বৈঠকে করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। আমজনতার দলের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা। বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুক, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, মানুষ বলতে কারা? আমার বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, যারা জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করছে। যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সঙ্গে যারা রাস্তায় ছিল-ইতিমধ্যে প্রায় ৫০টি দল, পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচনের জন্য। সঙ্গে সঙ্গে সংস্কারের জন্য যে কথাগুলো বলা হয়, সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে- সেই সংস্কারগুলো দ্রুত করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে ভোটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তো জনগণ বলতে কারা?
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখন জনগণ বলতে যদি কোন একটি বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী- যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে, জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে! এটা তো কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কারণ নাই।
খসরু বলেন, ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকা ফিরিয়ে আনার জন্য। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সেটা যে সরকারই হোক।
পাঠকের মতামত
তাহলে কি আপনাদের মন্ত্রী বানানোর জন্য জুলাই আন্দোলন হইছে। আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে আপনাদের কোন অবদান নাই। তারপরেও নির্লজ্জের মত এসব কথা কেন বলেন।
বিএনটির এতো উঁচু গলায় কথাবার্তা একমাত্র ছাত্র জনতার আত্মত্যাগেই সম্ভব হয়েছে। ছাত্র জনতা চায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৯ সালে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন (আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০২৯সালে নির্বাচন হতো)। বিএনপির পক্ষে সম্ভব ছিলোনা ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো। জনগণ চায় ড. ইউনূস জুলাই গনহত্যার বিচার বিডিআর হত্যার বিচার শাপলা চত্বরে হত্যার বিচার গুম খুনের বিচার। দেশের সংবিধানসহ ব্যাপক সংস্কার। দূর্নীতিমূক্ত টেকসই উন্নয়ন। যাহা রাজনৈতিক দলগুলো করবেনা।
ওরা বিএনপির কথা বলতে পারে কিন্তু "দেশের মানুষ " একথা বলছে কেন? তারা কি জানে না যে, এদেশের মানুষ বিএনপির অপশাসন দেখে শিক্ষা পেয়েছে --। ওরাও আওয়ামী লীগের এপিটওপিট
আপনাদেরকে দেওয়ার জন্যও আন্দোলন করেনি কেউ।
নির্লজ্জ বেহায়া লোকটা আমির খসরু
দালাল খসরুর মত ভারতীয় নব্য এজেন্টদের এদেশে রাজনীতি করার জন্য বা ক্ষমতায় আনার জন্য জুলাই বিপ্লব হয় নাই... এই খসরু ডক্টর ইউনুসের পায়ের নখের যোগ্য না... তাদের প্রধান তারেক রহমান সে তো নেয়ার মত প্রচেষ্টির না মারতো আর কোথায় দল তার কথায় মত তার কথাই সব.. উনি এই দালালদের দাঁড়াই বিভিন্নভাবে ডক্টর ইউনুস কে এবং তার পরিচালনাকে অহেতুক সমালোচনা করেই যাচ্ছে...
moha manob ekmatro bola nobi karim sa... baios hoise tai bole aboltabol bolben na ...
নির্লজ্জ বেহায়া লোকটা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী
এই নাহিদ, আসিফরা সেদিন হাসিনার সাথে আপোষ করে আন্দোলন বন্ধ করে দিলে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাহেবরা কেয়ামত পর্যন্ত নির্বাচনের মুখ দেখতো না । তাদের নেত্রী ও নেতাকর্মীদের জেলের ভেতরেই পঁচে মরতে হতো। নাহিদ, আসিফরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে কোনো আপোষ করেনি বলেই বাংলার মানুষ এক ভয়ংকর জালিমের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে ।আর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাহেবরা নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে । নাহিদ, আসিফরা জীবন মরণের একদম কাছাকাছি ছিল।সুতরাং তাদের কথা বলার অধিকার আছে। সত্য কথা শুনতে তিতা হলেও সত্য।
বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যও কেউ আন্দোলন করেনি। আন্দোলন হয়েছে দেশের জন্য। আন্দোলন হয়েছে বলেই তো খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, বাবর সহ বিএনপির নেতারা মুক্ত হতে পেরেছেন। আন্দোলনের কারনে বিএনপি আজ বড়বড় কথা বলার সাহস পেয়েছে। মুখে যা বলবেন একটু বুকে হাত দিয়ে বলেন তো। যাদের একটা বালুর ট্রাক সরানো যোগ্যতা নেই। তারা বলেন বড়োবড়ো কথা। বিগত ৫৩ বছরে হাতে গোনা দু-চার জন ছাড়া ক্ষমতাসীন সকলে দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে। তাই প্রশ্ন করলাম- আপনাদের মতো অতিমানবের চাইতে আপনার কথার মহামানব খারাপ কি ? বুকে সাহস থাকলে, দেশের প্রতি ভালবাসা থাকলে হাসিনার মেয়াদের বাকী সময়টা ডঃ ইউনুচ সাহেবদের হাতে দিয়ে দেখেন কি হয় ? তা তো দিবেন না ? হালুয়া রুটি আপনাদের জন্য অনেক বড়। আমি একটা কথা বলতে পারি- আপনারা হচ্ছেন টাকার এপিট- ওপিট।
তবে বিএনপি’ জুলাই আন্দোলন করে নি। জুলাই আন্দোলন নিয়ে এমন কটাক্ষ পূর্ণ কথা অনধিকার চর্চা, বেয়াদবী।
Bnp কে ভোট দিলে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারবেন !
Ei নির্লজ্জ বেহায়া লোকটা ki chorir obbas ছাড়তে পারবেনা?
জি জনাব, এখন যে আছেন তাকে বসানোর জন্যই আন্দোলন হয়েছে। আপনাদের আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয়নি।
আহারে, এই ভারতীয় এই দালালটার কত দুঃখ। কথায়, আচার আচরণে তার সবকিছু বের হয়ে আসছে। আচ্ছা, (আমির খসরুকে বলছি) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পায়ের কাছে বসে কথা বলার যোগ্যতা আর world recognition কি আপনার বা আপনার প্রভুদের আছে? যাদের কাছে গিয়ে রুকু-সিজদা করে এলেন? জনগণের pulse বোঝার চেষ্টা করুন। বিএনপির পশ্চাৎদেশ থেকে মারার জন্য আপনি, মির্জা আলমগীর টাইপের লোকজনই যথেষ্ট।
আপনার পিতা নবী চৌধুরী জেলা শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী ছিলেন।
দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় প্রয়োজন।
ড.ইউনূস কে আমেরিকা সৃষ্টি করেছে আমেরিকার স্বার্থে। এখন ই যদি তাবেদার রোখা না হয় তাহলে বাংলাদেশ একটা আন্তর্জাতিক যুদ্ধ ক্ষেত্রে পরিণত হবে। বার্মাকে করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার স্বার্থে? বাংলাদেশের স্বার্থে নাকি আমেরিকার স্বার্থে? ভারতের আধিপত্য কে ঠেকানোর জন্য যেখানে চীনের বন্ধুত্ব দরকার, সেখানে বার্মা কে করিডোর দিয়ে চীনকে শত্রু বানানো হচ্ছে কেন? এসবই তো আমেরিকা/আমেরিকার বন্ধু ভারতের স্বার্থে। আর এ কাজটা করিয়ে নিচ্ছে ড.ইউনূস কে দিয়ে।
আপনারা যে পড়াশোনা করেন না সেটা বুঝা যায়, at least পত্রিকা পড়িয়েন। জনগণ আপনাদের নিয়ে কেমন মন্তব্য করে সেটা জানতে পার লবেন।