ঢাকা, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিও’র দুর্নীতি: তদবির বাণিজ্যে আয় শতকোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক

(৪ দিন আগে) ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫ পূর্বাহ্ন

mzamin

যুগান্তর

‘দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিও’র দুর্নীতি: তদবির বাণিজ্যে আয় শতকোটি টাকা’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও। তারা ফ্যাসিবাদের দোসর চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে পুনর্বাসনে সহায়তা করেছেন। এছাড়া স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, পানিসম্পদ, গণপূর্ত, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে ঘুরে ঘুরে তদবির করতেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নাম গোপন রাখার শর্তে জানিয়েছেন। এ ধরনের অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ার পর মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ২১ এপ্রিল মোয়াজ্জেম হোসেন এবং তুহিন ফারাবিকে অব্যাহতি দিয়ে সরকারি আদেশ জারি হয়। ডা. মাহমুদুল হাসান রোগীর সঙ্গে বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। তিনি ফিরবেন কি না তা নিয়ে অনেক কর্মকর্তা সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাদের বিষয়ে এক সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের তদবিরের বিষয়ে অনেক কর্মকর্তাই জানেন।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য এবং ফ্যাসিবাদের দোসর প্রকৌশলীদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে শতকোটি টাকা হাতিয়েছেন। মোয়াজ্জেম (বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থেকে উপজেলা প্রকৌশলী পর্যন্ত প্রায় সব গ্রেডের কর্মকর্তার বদলি-পদায়নে তদবির বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ঘুরে ঘুরে তদবির করতেন। বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র, পানিসম্পদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার তদবিরে নামেন।

প্রায় একই অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) তুহিন ফারাবি ও মো. মাহমুদের বিরুদ্ধে। তারা অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ লাভের পর থেকে চিকিৎসক, মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল, পরিচালক, উপপরিচালক, সিভিল সার্জন নিয়োগ-বদলির মাধ্যমে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া তারা সিনিয়র স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ, প্যাথলজি টেকনিশিয়ান, হজ টিমে নার্স ও ডাক্তারদের নাম ঢুকানোর তদবির করেছেন বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধ স্বাস্থ্য সেক্টরের ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। ফারাবী ও মাহমুদ দুজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

অভিযোগের বিষয়ে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বুধবার যুগান্তরকে বলেন, আমাকে অপসারণ করা হয়নি। আমি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। আগামী মাসে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) আমার মৌখিক পরীক্ষা আছে। এছাড়া আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পরীক্ষায় ভাইভা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এসব কারণে আমি পদত্যাগ করেছি। তিনি আরও বলেন, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রাজনীতি করবেন, তার ক্যারিয়ার আর আমার ক্যারিয়ার এক হবে না। আমি সরকারি চাকরি করব।

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যের মাধ্যমে ৪শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমি এক টাকার দুর্নীতি করেছি কেউ তা প্রমাণ করতে পারবেন না। এসব ভিপি নুরের দল গণঅধিকার পরিষদের নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করছে। আমি এক সময় গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। তাদের থেকে আলাদা হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঠন করায় তাদের সঙ্গে আমার বিরোধ হয়। সে কারণে তারা গুজব ছড়াচ্ছে। এসবের কোনো ভিত্তি নেই।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান যুগান্তরকে বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আবার অপসারণও করেছে সরকার। গণঅধিকার পরিষদ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। সুতরাং সে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছে তা অসত্য এবং অপ্রাসঙ্গিক। সে দায় এড়ানোর জন্য আবোলতাবোল বকছে। সরকার তার বিরুদ্ধে কিছুই না পেলে তাকে দায়িত্ব থেকে কেন সরিয়ে দেবে।

রাশেদ খান আরও বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন, ফারাবী ও মাহমুদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দুদক তদন্ত করতে পারে। এছাড়া সরকারের দায়িত্ব এজেন্সির মাধ্যমে সত্যতা অনুসন্ধান করা। এছাড়া ওই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সচিবের একান্ত সচিবের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া সময়ের দাবি। কারণ এপিএস এককভাবে দুর্নীতি করতে পারে না।

এদিকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক পার্সনাল অফিসার (ছাত্র প্রতিনিধি) তুহিন ফারাবী এবং বর্তমান ব্যক্তিগত মো. মাহমুদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে জানা গেছে, তারা অফিসে নেই। তুহিন ফারাবীকে ইতোমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে। অপর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বর্তমানে একজন রোগীর সঙ্গে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। দুজনের হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

সাবেক সচিব একেএম আব্দুল আউয়াল যুগান্তরকে বলেন, তাদের আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। সরকার নিজ দায়িত্বে বিভিন্ন এজেন্সির সহায়তায় তাদের সম্পদ অনুসন্ধান করতে পারে। এত মানুষ তাদের বিষয়ে মিথ্যা বলবে কেন? তারা ছাত্র, তাদের তো শত্রু থাকার কথা নয়। সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান যুগান্তরকে বলেন, অভিযোগ উঠতেই পারে। তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সরকার জনস্বার্থে বিষয়গুলো তদন্ত করে ধোঁয়াশা পরিষ্কার করবে বলে গণমানুষের প্রত্যাশা।

মোয়াজ্জেম হোসেনের কাহিনি: উপদেষ্টা নিয়োগের কিছুদিনের মধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেনকে সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) নিয়োগ দেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। নিয়োগ লাভের পর থেকেই তদবির বাণিজ্যে নেমে পড়েন মোয়াজ্জেম। মিডিয়া এবং গণমাধ্যমের দৃষ্টি এড়াতে তারা বিকাল চারটার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সচিবালয় এবং সরকারি দপ্তরে অবস্থান করে তদবির করতেন। ছাত্র উপদেষ্টার এপিএস হওয়ায় বিগত সরকারের সময় থেকে কর্মরত কর্মকর্তারা ভয়ে তটস্থ ছিলেন। ফলে যে কর্মকর্তার কাছে যা দাবি করেছেন সে তা দিয়েই মোয়াজ্জেমকে খুশি করেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, মোয়াজ্জেম নিজেই পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স, আনসার শাখায় কর্মরত কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে ঠিকাদারি তদবির করতেন। ওইসব সংস্থার কেনাকাটার তথ্য সংগ্রহ করতেন। অনেক অফিসার স্বেচ্ছায় তথ্য দিলেও কিছু অফিসার কৌশলে তাকে অধিদপ্তর থেকে তথ্য এবং কাজ নেওয়ার পরামর্শ দিতেন। পুলিশের জন্য অস্ত্র, গোলাবারুদ, শটগানসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনায় ঠিকাদারদের বিল পাইয়ে দেওয়ার তদবিরও করতেন মোয়াজ্জেম। গত সরকারের সময় পুলিশের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি সরবরাহ করতেন এমন ঠিকাদাররা পালিয়ে গেলে ওই কাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য যারা নতুন করে নিযুক্ত হয়েছেন তাদের কাছ থেকে কমিশন হাতিয়েছে মোয়াজ্জেম।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়েও ছিল মোয়াজ্জেমের বিচরণ। তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ঠিকাদারদের বিল পরিশোধের তদবির করতেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ আমলের ঠিকাদারদের ফেলে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করতে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে, তাদের কাজ পাইয়ে দিতে তদবির করতেন মোয়াজ্জেম। গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঠিকাদার ও প্রকৌশলী বদলির তদবির করতেন তিনি। সন্ধ্যার পর চলে যেতেন সেগুনবাগিচা গণপূর্ত অধিদপ্তরে। দীর্ঘ সময় সেখানে অবস্থান করে ঢাকা মহানগরী, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ বিভাগীয় শহর, ঢাকার নিকটবর্তী জেলাগুলোয় প্রকৌশলী বদলির তালিকা করতেন। একেকটি বদলিতে লাখ লাখ টাকা দিতে হতো তাকে। এছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন পৌরসভার সচিব ও প্রকৌশলী, সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন গ্রেডের কর্মকর্তা নিয়োগে বদলি বাণিজ্য করতেন এমন অভিযোগ করেছেন কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয়, ফ্যাসিবাদের দোসর হিসাবে চিহ্নিত প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে তাদের পুনর্বাসনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন মোয়াজ্জেম-এমন অভিযোগ খোদ স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তাদের।

অন্যদিকে ৮ আগস্টের পর সাবেক স্বাস্থ্য সচিবকে দিয়ে বেশ কিছু চিকিৎসক বদলি করান তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসান। প্রতিটি বদলিতে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা করে নিয়েছেন তারা। দুজন মিলে মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল, পরিচালক, উপপরিচালক, সিভিল সার্জন নিয়োগ-বদলিতে ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা আদায় করতেন। এরপর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে সিনিয়র সচিব হিসাবে নিয়োগ পান এক কর্মকর্তা। তাকেও নয়ছয় বুঝিয়ে বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলি করেন তারা। এছাড়া সিনিয়র স্টাফ নার্স ও মিডওয়াইফ বদলিতে তারা দুই লাখ টাকা করে আদায় করতেন। এমনকি হজ টিমে নার্স ও ডাক্তারদের নাম ঢুকানোর জন্য টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এছাড়া ৫ আগস্টের পর পালিয়ে যাওয়া ঠিকাদারদের স্থলে নতুন ঠিকাদার নিয়োগে তারা কমিশন বাণিজ্য করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে তুহিন ফারাবীকে অপসারণ করা হলেও মাহমুদুল হাসান এখনো বহাল তবিয়তে। সেসব টাকা রাশিয়ায় পাচার করেছেন বলে খোদ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র বলছে, মাহমুদ আগে থেকেই রাশিয়ায় বসবাস করতেন। গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর তিনি দেশে ফেরেন। তখন ফারাবী তাকে মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পাইয়ে দেন। তিনি রাশিয়া থেকে দেশে আর নাও ফিরতে পারেন।

এ বিষয়ে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমান মঞ্জু যুগান্তরকে বলেন, এ অভিযোগ আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখছি। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক সময় অনেক অভিযোগ ওঠে। তবে তা তদন্ত হলে পরিষ্কার হয়। আশা করছি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বক্তব্য দেবে এবং বিষয়টি পরিষ্কার করবে। যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে তা দুঃখজনক। সেক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা ও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘ছিনতাই মামলায় গলদ, বেরিয়ে যান আসামিরা’। খবরে বলা হয়, রাজধানীর মিরপুরে মুঠোফোন ছিনতাই করে পালানোর সময় এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলে স্থানীয় জনতা। মারধরের পর তাঁকে হস্তান্তর করা হয় মিরপুর মডেল থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিয়মিত মামলা না করে আগের এক মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

নিয়মিত মামলা না করা এবং আহত আসামির চিকিৎসার তথ্য আদালতকে না জানানোয় মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১৫ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন আদেশে বলেন, দায়িত্ব পালনকালে তিনি দেখেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু মামলা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আসামিদের সন্দিগ্ধ হিসেবে অজ্ঞাতনামা আসামি থাকা মামলায় ‘ফরোয়ার্ড’ (আসামি দেখানো) করা হয়। আসামিরা যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা বা ব্যাখ্যা সাধারণত মামলায় দেওয়া হয় না, যার ফলে আসামিদের জামিন পাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করে।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘ঝুঁকিতে এয়ারলাইনসের বিনিয়োগ’। খবরে বলা হয়, বড় স্বপ্ন নিয়ে কার্যক্রম শুরুর পর টিকে থাকতে পারছে না বেসরকারি এয়ারলাইনস। একের পর এক ‘দেউলিয়া’র খাতায় নাম লেখাচ্ছে এসব সংস্থা। গত ২৮ বছরে বন্ধ হয়ে গেছে এক ডজন বেশি দেশি এয়ারলাইনস। নতুন করে নভোএয়ারের ফ্লাইট অপারেশন বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

খাতটির বিনিয়োগ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিমান চলাচল খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে বেসরকারি এয়ারলাইনসের জন্য আইনকানুন ব্যবসাবান্ধব নয়। অসম প্রতিযোগিতা, আর্থিক সক্ষমতা, জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য, উচ্চমাত্রার এরোনটিক্যাল ও নন-এরোনটিক্যাল চার্জ দিয়ে লাভজনক হতে না পেরে কার্যক্রম বন্ধ করেছে কিছু বেসরকারি এয়ারলাইনস।

এয়ারলাইনসের উদ্যোক্তারা বলছেন, অতিরিক্ত সারচার্জের কারণে অনেক এয়ারলাইনস দেনা শোধ করতে পারছে না। দেনার চাপে তারা দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। সময়মতো পাওনা পরিশোধ করতে না পারলে সারচার্জ দিয়ে পাওনা পরিশোধের নিয়ম অনেক দেশেই আছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বেবিচকের হার অনেক বেশি। এ ছাড়া নীতি সহায়তা, আর্থিক সক্ষমতার অভাব, ব্যবস্থাপনার ত্রুটি, যুগোপযোগী ব্যাবসায়িক কৌশলের অভাবসহ নানা কারণে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে বেসরকারি এয়ারলাইনস।

আর বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলোর সক্ষমতার ঘাটতি কাজে লাগিয়ে দেশের এভিয়েশনশিল্পের প্রায় ৮০ শতাংশ দখল করে আছে বিদেশি এয়ারলাইনস। জানা যায়, দেশে প্রথম ১৯৯৫ সালে বেসরকারি এয়ারলাইন্স অ্যারো বেঙ্গলকে আকাশপথে চলাচলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালে প্রথম যাত্রী পরিবহন শুরু করলেও ১৯৯৮ সালেই তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ২০০০ সালে অপারেশন শুরু করে এয়ার বাংলাদেশ। পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়।

সমকাল

‘একের পর এক খুন, আসামিরা অজ্ঞাত’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, চট্টগ্রামের রাউজানে গত শনিবার মধ্যরাতে খাওয়ার সময় মুখে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় যুবদলকর্মী মানিক আবদুল্লাহকে। এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় মামলা করেন মানিকের স্ত্রী চেমন আরা। এর পর ভয়ে সন্তানদের নিয়ে রাউজান ছেড়ে বোয়ালখালী উপজেলায় বাবার বাড়ি চলে যান।

গত ২৪ জানুয়ারি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রাউজানের নোয়াপাড়ার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। আসামির নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করার পর পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে চলে যান তাঁর স্ত্রী।

শুধু মানিক আবদুল্লাহ কিংবা জাহাঙ্গীরের পরিবার নয়; স্বজন খুন হওয়ার পর মামলা করে ভয়ে এলাকা ছাড়তে হয়েছে এমন চারটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে সমকাল। প্রত্যেকে ভয় আর আতঙ্কের কথা বলেছেন।

গত আট মাসে রাউজানে ১২টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। কাউকে গুলি করে, কাউকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। তিনজনের লাশ মিলেছে কয়েক দিন নিখোঁজ থাকার পর। নিখোঁজ হওয়ার কথা জানলেও তাদের উদ্ধারে পুলিশের বাড়তি তৎপরতা ছিল না। এসব হত্য়ার ঘটনায় করা মামলার এজাহার ঘেঁটে দেখা যায়, ৯টি হত্যার ঘটনায় আসামির ঘরে লেখা ‘অজ্ঞাতনামা’। ১২ খুনের মামলার ১০টিতে কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।তদন্ত প্রক্রিয়ায়ও পুলিশের উদাসীনতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অন্তত ছয়জন বাদী। এসব বিষয় নিয়ে পাঁচ তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে সমকাল। তারা কেউ স্বনামে কথা বলতে রাজি হননি।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘শিক্ষার্থীদের অসদুপায় অবলম্বন বেড়েছে, সহযোগিতায় একশ্রেণির শিক্ষক’। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অসদুপায় বেড়েছে। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করছেন এক শ্রেণির শিক্ষক। গতকাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত চারটি পরীক্ষাতেই বই খুলে লেখা, বাইরে থেকে দেওয়াল টপকে কেন্দ্রের ভেতরে নকল সরবরাহ, শিক্ষকের সামনে দেখাদেখি ও আলোচনা করে উত্তরপত্রে লেখার বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে শিক্ষকের সামনে বই খুলে পরীক্ষা দেওয়ার ভিডিও। দেওয়াল টপকে পরীক্ষার হলে নকল সরবরাহের ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে।

হাতে লিখে প্রশ্নোত্তর সরবরাহের দায়ে একজন শিক্ষকের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উত্তর বলে দেওয়ায় হল সুপার আটক হয়েছেন। প্রশাসন কঠোর হয়েও নকলের লাগাম টানতে পারছে না। উপরন্তু মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্নফাঁস। প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে পরীক্ষাকেন্দ্র সচিব এক অধ্যক্ষকে আটক করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীর হাতে পাওয়া গেছে মোবাইল ফোন। প্রক্সি দিতে এসে গ্রেফতার হয়েছেন এক জন। চারটি পরীক্ষায় ২৭৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নকল করার প্রবণতা অনেক সময়ই দেখা যায়। সাধারণত চিরকুটে করা এসব নকল তারা পকেটে বা শরীরের কোথাও লুকিয়ে রাখেন। যুগ যুগ ধরে হাতের তালু, বাহু, জামার উলটো পিঠ, চেয়ার-টেবিল বা দেওয়াল ছাপিয়ে হাল আমলে নকলের এই দৌরাত্ম্য ঠেকেছে  মোবাইল ফোন-স্মার্ট গ্যাজেট পর্যন্ত। তবে এবার শিক্ষকদের সহযোগিতায় অসদুপায় বেড়েছে। সমাজতত্ত্ববিদরা নকল বৃদ্ধির পেছনে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের দিকে আঙুল তুলেছেন। তারা বলেন, সমাজে সর্বস্তরে দুর্নীতি বাড়ছে, অসাধুতা ‘স্বাভাবিকতা’য় পরিণত হচ্ছে। এমতাবস্থায় পরীক্ষার্থীদেরও এর দ্বারা প্রভাবিত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। নকল করা বৃদ্ধির যাবতীয় দায় পরীক্ষার্থীদের অসৎ মানসিকতার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার আগে তাই আয়নায় নিজেদের দেখে নেওয়া ভালো।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘বিদেশিদের কর্মসংস্থানে লাগাম টানছে সরকার’। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে বিদেশিদের কর্মসংস্থানে লাগাম টানতে চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য বাংলাদেশিরা করতে সক্ষম, এমন কাজে বিদেশিদের সুযোগ না দেওয়া, অন অ্যারাইভাল ভিসা সীমিত করা, বিদেশি কর্মীদের বিদ্যমান ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ না বাড়ানো, ভিসার সঙ্গে কাজের অমিল এবং অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে কালো তালিকাভুক্ত করে দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে সম্প্রতি এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। সূত্র বলেছে, বিষয়গুলো বাস্তবায়নে সরকারের কয়েকটি দপ্তর কাজ করছে। পরে পরিপত্র জারি করে এসব বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), এনজিও-বিষয়ক ব্যুরো এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিদেশিদের দেশে কাজের অনুমতি দেওয়া হয়। ব্যবসা ও বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, পর্যটন ও অন্যান্য শ্রেণির ভিসায় বিদেশিরা বাংলাদেশে আসেন।

বিদেশি নাগরিকদের সরকারি কাজ, ভ্রমণ, ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, ৩০ দিনের অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসে অনেকে ভিসার মেয়াদ শেষে বছরের পর বছর অবৈধভাবে কাজ করছেন। অনেকে ভিসার শ্রেণি পরিবর্তন করে কাজ করছেন। এতে দক্ষ বাংলাদেশিরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

দেশ রূপান্তর

‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনেও আপত্তি নেই বিএনপির’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, বিএনপি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন চায়। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা করা হলে নির্বাচন ডিসেম্বরে না হয়ে আগামী জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে হলেও তেমন আপত্তি থাকবে না দলটির। বিএনপি মনে করে, এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সব ধরনের শঙ্কা যেমন কেটে যাবে, দেশও নির্বাচনের দিকে যাত্রা শুরু করবে। রাজনৈতিক দলগুলোও আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিতে পারবে।

গত মঙ্গলবার ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ বিষয়টি উঠে এসেছে। এর আগে স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আগামী রমজানের আগে নির্বাচনের যে কথা বলা হয়েছিল, সেটাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছিল বিএনপি। দলটির মধ্যে এখনো নির্বাচন বানচালের অজানা শঙ্কা রয়েছে। তাই সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণের মধ্য দিয়ে দেশকে নির্বাচনমুখী করতে চায় বিএনপি।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আদায়ে ঐকমত্য তৈরিতে গত ১৯ এপ্রিল থেকে ফ্যাসিবাদবিরোদী যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র এবং নির্বাচন বর্জনকারী বাইরের দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে বিএনপি। এ ইস্যুতে ঐকমত্য তৈরির মাধ্যমে সরকারের ওপর পরোক্ষ ও মনস্তাত্ত্বিক চাপ অব্যাহত রাখবে দলটি। কিছু বৈঠক আনুষ্ঠানিক, আবার কিছু বৈঠক অনানুষ্ঠানিক হচ্ছে। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে রাত সাড়ে ৭টা থেকে সোয়া ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকটি ছিল রুদ্ধদ্বার। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হচ্ছে গণতন্ত্র মঞ্চ। ছয় দলীয় এ জোটের বক্তব্যকে বরাবরই গুরুত্বের সঙ্গে নেয় বিএনপি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম ‘আলোচনায় সাংবিধানিক কাউন্সিল’। খবরে বলা হয়, সংবিধান সংস্কারে জোরালোভাবে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলকে (এনসিসি) যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে কমিশনের। বিষয়টি নিয়ে দিনদিন বিভেদ বা মতপার্থক্য স্পষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা দলগুলোর মধ্যে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি সরাসরি সংবিধানে এনসিসি যুক্ত করার বিপক্ষে মত দিয়েছে। অন্যদিকে সময়ের আলোচিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর পক্ষে মত দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীও কিছুটা সংশোধনসাপেক্ষে এনসিসি সংবিধানে যুক্ত করার পক্ষে।

এ ছাড়া মতামত দেওয়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এনসিসি যুক্ত করা নিয়ে রয়েছে নানা মত, নানা পথ। কোনো দল এটা একেবারেই চায় না। আবার কোনো দল সংশোধনসাপেক্ষে যুক্ত করার পক্ষে। আবার কয়েকটি দল আগামী সংসদের প্রতিনিধিদের ওপর এনসিসি যুক্ত করার ভার তুলে দিতে চায়। পাশাপাশি এ নিয়ে তাদের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সুপারিশ ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কার‌্যাবলিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতে এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করতে এনসিসি গঠনের সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

এতে বলা হয়েছে, এনসিসি সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট কার‌্যাবলি, বিশেষ করে বিভিন্ন সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ সংস্থার প্রধানদের নিয়োগ সম্পাদন করবে। এনসিসির সদস্য হবেন- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, নিম্নকক্ষের স্পিকার, উচ্চকক্ষের স্পিকার, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি, বিরোধী দল মনোনীত নিম্নকক্ষের ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দল মনোনীত উচ্চকক্ষের ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতার প্রতিনিধিত্বকারী সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের উভয় কক্ষের সদস্যরা ব্যতীত, আইনসভার উভয় কক্ষের বাকি সব সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত একজন সদস্য। ওই ভোট আইনসভার উভয় কক্ষের গঠনের তারিখ থেকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। জোট সরকারের ক্ষেত্রে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল ব্যতীত জোটের অন্য দলের সদস্যরা ওই মনোনয়নে ভোট দেওয়ার যোগ্য হবেন।

পাঠকের মতামত

ক্ষমতার লোভ কেউই সবাই সামাল দিতে পারেনা। তাও আবার বাঙালি জাতি। আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে উশৃংখল এবং নোংরা। পুয়োর কোয়ালিটি এবং লো প্রোফাইল। তোমরা নিজেরাই নিজেদের কারণে বিতর্কিত.....? যেমন কর্ম তেমন ফল। রাজনৈতিক দল গঠন না করে ঐক্যবধ্য হয়ে থাকলে আজ এই দিন দেখতে হতো না।

Shah Intehan Anin
২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:২১ অপরাহ্ন

সাংবাদিক ভাইদের অসংখ্য ধণ্যবাদ, এই ধরণের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য তবে নির্ভরযোগ্য এবং ভিত্তিক হলেই তা হবে দেশের জন্য কল্ল্যানকর, দেশ বাসী এটাই আশা করে

FAKHRUL ISLAM NIPU
২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:২০ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

‘দ্য উইক’ ম্যাগাজিনে তারেক রহমানকে নিয়ে কাভার স্টোরি/ ‘নিয়তির সন্তান’

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status