শেষের পাতা
শিক্ষার ২ মন্ত্রণালয় চায় ৯৫ হাজার কোটি টাকা
স্টাফ রিপোর্টার
২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবারআগামী অর্থবছরের জন্য শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয় প্রায় সাড়ে ৯৫ হাজার কোটি টাকা চায়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য এ বরাদ্দের ৩২ হাজার ১২ কোটি টাকা উন্নয়ন খাতের জন্য। এমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চায় প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চায় প্রায় সাড়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
গত সপ্তাহ জুড়ে এ নিয়ে একাধিক বৈঠক হয় দুই মন্ত্রণালয়ে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪৭ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছ। এর মধ্যে পরিচালন বাজেট ৩০ হাজার ৪৫০ কোটি ৯৫ লাখ এবং উন্নয়নের জন্য ১৭ হাজার ১১৪ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪৭ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিচালন বাজেট ৩০ হাজার ৪৫০ কোটি ৯৫ লাখ এবং উন্নয়নের জন্য ১৭ হাজার ১১৪ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। এরমধ্যে পরিচালন বাজেট নয় হাজার কোটি এবং উন্নয়নের জন্য সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ৩৫ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিচালন বাজেট ২৪ হাজার ৪ কোটি ৮৪ লাখ এবং উন্নয়নের জন্য ১১ হাজার ৩৯৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
গত বাজেটে দুই মন্ত্রণালয়ের বাজেট ছিল ৯৪ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। এ বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এই বরাদ্দ ১১.৮৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ছিল ১১.৫৭ শতাংশ। ইউনেস্কো, শিক্ষাবিদ বা অংশীজনরা দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষায় জিডিপি’র কমপক্ষে ৪ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলছেন। ইউনেস্কো, শিক্ষাবিদ বা অংশীজনরা দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষায় জিডিপি’র কমপক্ষে ৪ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলছেন। গত অর্থবছরে শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল মাত্র জিডিপি’র ১.৭৬ শতাংশ।
এদিকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মোট বাজেটের কমপক্ষে ১৫ শতাংশ ও জিডিপির কমপক্ষে ৩ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে গণসাক্ষরতা অভিযান। একইসঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে মোট বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষায় বরাদ্দ দেয়ার পরিকল্পনা ও রোডম্যাপ প্রণয়নে সরকারকে তাগিদ দেয়া হয়। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতি শিক্ষার্থীর মাসিক উপবৃত্তি ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে পাওয়া উপবৃত্তি ২০০-৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা করার সুপারিশ করা হয়।