শেষের পাতা
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ড. ইউনূস
স্টাফ রিপোর্টার
২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শুরু হয়। গত সোমবার ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন পোপ ফ্রান্সিস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, প্রিন্স উইলিয়ামসহ বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা এবং বিশিষ্টজন সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে এ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে প্রফেসর ইউনূস বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং বিশিষ্টজনদের মাঝে আসন গ্রহণ করেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, স্পেনের রাজা ফিলিপ ষষ্ঠ ও রানী লেতিজিয়া, জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার, বিদায়ী চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেল্লা এবং প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিসহ অন্যান্য ইউরোপীয় নেতা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত রয়েছেন। ইতালির পুলিশ জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উপলক্ষে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও এর আশপাশের রাস্তায় জমায়েত হয়েছেন। পুলিশ আরও জানায়, অনুষ্ঠান শুরুর এক ঘণ্টা আগে ৪০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সেন্ট পিটার্স স্কয়ার প্রায় পূর্ণ হয়ে যায়। ভ্যাটিকানের দিকে যাওয়া ভিয়া দেলা কনসিলিয়াজিওন সড়ক এবং আশপাশের রাস্তায় প্রায় ১ লাখ মানুষ আগেই উপস্থিত হন। প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাজের দারুণ ভক্ত ছিলেন এবং তার কাজের ভূয়সী প্রশংসা করতেন। বিশেষ করে বিশ্ব জুড়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রফেসর ইউনূসের কর্মযজ্ঞ এবং তার ‘তিন শূন্য’ তত্ত্ব- যেখানে কোনো বেকারত্ব, দারিদ্র্য এবং কার্বন নিঃসরণ থাকবে না, এর প্রশংসা করতেন। রোমের ভ্যাটিকানে তিনি ২০০৬ সালের শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে যৌথভাবে ‘তিন শূন্য উদ্যোগ’ও চালু করেছিলেন।