ভারত
ওয়াকফ নিয়ে হিংসার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ দিন আগে) ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতিকে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সঙ্গে তুলনা করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। ওয়াকফ বিল পর্যালোচনায় গঠিত যুগ্ম সংসদীয় কমিটির প্রধান জগদম্বিকা পাল এই দাবির পাশাপাশি মুর্শিদাবাদে হিংসার জন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করেন। বিজেপি সাংসদের পাশাপাশি একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল (ইউনাইটেড)ও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে বরখাস্ত করার দাবিতে একজোট হয়েছেন।
বিজেপি নেতা জগদম্বিকা পাল বলেন, যদি মুর্শিদাবাদ এবং চব্বিশ পরগনা জ্বলে এবং পুলিশ সেখানে নীরব দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে থাকে... দোকানপাট লুট হচ্ছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, হিন্দুরা মুর্শিদাবাদ থেকে মালদায় চলে যাচ্ছে। ১৯৪৭ সালেও এমন পরিস্থিতি ছিল - যখন হিন্দুরা পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত হচ্ছিল। আর এখন হিন্দুরা তাদের নিজের দেশেই বিতাড়িত হচ্ছে। এটা রাজ্য সরকারের চরম প্রশাসনিক ব্যর্থতা। সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত... যদি একজন বাবা এবং তার ছেলেকে পুলিশ বাহিনীর সামনে উগ্র জনতা নির্মমভাবে হত্যা করে, তাহলে অবশ্যই এর দায় রাজ্য সরকারের, যার নেতৃত্বে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর রয়েছে। ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ স্থানীয়দের। এলাকায় এখন বিএসএফ টহল দিচ্ছে। শিবসেনার সাংসদ এবং মুখপাত্র নরেশ মাস্কে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সাম্প্রদায়িক সহিংসতা থেকে হিন্দুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিজের মুসলিম ভোটব্যাংক রক্ষা করতে গিয়ে মমতা আজ অসহায়। তার নীরবতা অপরাধের শামিল। তিনি জানিয়েছেন , শিবসেনার এক প্রতিনিধি দল পশ্চিমবঙ্গের উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন।
এদিকে জনতা দল (ইউনাইটেড)-র মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন প্রসাদ বলেন, বিহারের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগজনক।