অনলাইন
নাসার ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষকর্তা নীলা রাজেন্দ্রকে সরিয়ে দিলেন ট্রাম্প
মানবজমিন ডিজিটাল
(৫ ঘন্টা আগে) ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার ‘বৈচিত্র্য, সাম্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক’ ডিআই বিভাগের প্রধান (Diversity, Equity and Inclusion Chief) ছিলেন নীলা রাজেন্দ্র। ওই পদটিকেই মুছে ফেলে মার্কিন প্রশাসন। এরপরেও নীলাকে চাকরিতে বহাল রাখতে সব রকম চেষ্টা করেছিল নাসা। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পর তা আর সম্ভব হলো না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পরপরই তাকে চাকরিচ্যুত হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য, নাসা নীলা রাজেন্দ্রকে ‘দলীয় উৎকর্ষতা এবং কর্মচারী সাফল্যে’র প্রধান কার্যালয়ের প্রধান করেছিল। তাতেও অবশ্য সরকারি আগ্রাসন থেকে বাঁচানো যায়নি ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই কর্তাকে। গত সপ্তাহে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির শেয়ার করা একটি ই-মেইল আপডেটে, শীর্ষ মহাকাশ ল্যাবের কর্মীদের নীলা রাজেন্দ্রর পদত্যাগের খবর জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিলো, নীলা রাজেন্দ্র আর জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে কাজ করছেন না।আমাদের প্রতিষ্ঠানে তার অবদানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা তার মঙ্গল কামনা করি।'
বৃটিশ সংবাদপত্র ডেইলি মেইলের মতে, ই-মেইলটি নাসার জেপিএল-এর পরিচালক লরি লেশিন পাঠিয়েছিলেন। গত বছর নাসার জেট প্রপালশন ল্যাব যখন তীব্র তহবিল সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, তখন রাজেন্দ্র ছিলেন মুষ্টিমেয় কয়েকজন সদস্যদের মধ্যে একজন যাদের চাকরি ছাঁটাই করা হয়নি। শীর্ষ মহাকাশ সংস্থার প্রায় ৯০০ জন ডিইআই কর্মীর চাকরি চলে গেছিলো সেই সময়ে। ট্রাম্পের আদেশের পর এই বছরের মার্চ মাসে যখন নাসা তাদের ডাইভারসিটি বিভাগ বন্ধ করে দেয়, তখনও রাজেন্দ্র নিজের চাকরি বাঁচাতে সক্ষম হন। তার জন্য একটি সম্পূর্ণ নতুন বিভাগ তৈরি করা হয়েছিল। নীলা রাজেন্দ্র বেশ কয়েক বছর ধরে নাসায় নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন। তার কার্যকালে, তিনি নাসাকে বৈচিত্র্যময় করার দায়িত্বে ছিলেন। যার মধ্যে ছিল 'স্পেস ওয়ার্কফোর্স ২০৩০' অঙ্গীকার। এই প্রোগ্রামের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল সংস্থায় নারী ও সংখ্যালঘুদের নিয়োগ করা। যদিও ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে যে এই ধরনের কর্মসূচি আমেরিকানদের জাতি, বর্ণ এবং লিঙ্গের ভিত্তিতে বিভক্ত করেছে, করদাতাদের অর্থ নষ্ট করেছে এবং বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে ।
সূত্র : এনডিটিভি
পাঠকের মতামত
Opinion Lost