ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

বাজারে অস্বস্তি আবার বাড়ছে

অনলাইন ডেস্ক

(৬ ঘন্টা আগে) ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

mzamin

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘বাজারে অস্বস্তি আবার বাড়ছে’। খবরে বলা হয়, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে ১৪ টাকা বাড়ল। সয়াবিনের বিকল্প পাম তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা। সরকার করছাড় তুলে নেওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত বৈঠকে যেমন ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত হয়েছে, তেমনি কয়েক দিনে বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজ, ডিম ও সবজির দাম। কিছুটা বেড়েছে আটার দাম। আগে থেকে বাড়তি থাকা চাল-ডালের দাম কমার লক্ষণ নেই।

সরকার গত রোববার নতুন কারখানা ও অনুমোদিত সীমার (লোড) অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্যাসের দামও ৩৩ শতাংশ বাড়িয়েছে, যার প্রভাবে পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়ার আশঙ্কা আছে। উল্লেখ্য, পেট্রোবাংলার হিসাবে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত শিল্পে অনুমোদিত লোডের চেয়ে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর ক্যাপটিভে (কারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র) ৫ কোটি ৭৬ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই গ্যাসের দাম নতুন হারে দিতে হবে।

করছাড় তুলে নেওয়া, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার এসব ঘটনা এমন একটা সময়ে ঘটছে, যখন সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য হারে কমছে না। এখনো মূল্যস্ফীতি (মার্চ) ৯ শতাংশের বেশি।

সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কেউ কেউ কর ছাড় দিয়ে পুরোনো দামে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে গতকাল এক পোস্টে বলা হয়েছে, সরকারকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে। দাম বাড়ানোর পেছনে যত অজুহাতই সরকার দিক না কেন, সেটা অগ্রহণযোগ্য।

ফেসবুক পোস্টটিতে ফায়েজ আহমেদ নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, দাম কমান। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেন। এমনিতেই সয়াবিন তেলের দাম মানুষের সাধ্যের বাইরে।

যুগান্তর

‘কমছে বাজেটের আকার’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, অর্থনৈতিক সংকটের মুখে দেশে প্রথমবারের মতো চলতি বাজেটের আকারের চেয়ে কম দেখিয়ে আগামী (২০২৫-২৬) অর্থবছরের বাজেটের রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। সম্ভাব্য নতুন বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। আর সেটি বাস্তবায়ন করতে দেশি ও বিদেশি মিলে দু লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ করতে হবে। যার মধ্যে বিদেশি ঋণ প্রায় সাড়ে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (এক লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা)। যদিও জাতীয় সংসদে চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পাস করা হয়।

আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা আইএমএফ অন্তর্বর্তী সরকারকে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় আনার পরামর্শ দিয়েছে। এক্ষেত্রে জাতীয় বাজেটের আকার অহেতুক বড় না করে যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনার প্রেসক্রিপশন দিয়েছে। এরপরেই আগামী অর্থবছরের বাজেটের রূপরেখা আগের বছরের তুলনায় কমিয়ে আনা হয়। অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের মতে, বড় বাজেট দিলে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি রাজস্ব আদায়ের হার খুব বেশি ভালো নয়। এছাড়া ব্যয় কমাতে কৃচ্ছ সাধন কর্মসূচি অব্যাহত আছে। ফলে আগামীতে ব্যয় না বাড়িয়ে ছোট বাজেট দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার ‘আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল এবং বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটির বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের রূপরেখার অনুমোদন দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বৈঠকে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়। বেলা ৩টায় জুমে বৈঠক শুরু হয়ে চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। দুটি বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব অংশ নিয়েছেন।

‘আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হারসংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল অর্থনীতি খাতের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বৈঠক। প্রতি তিন মাস অন্তর দেশের অর্থনীতি পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হয় ওই বৈঠকে। পাশাপাশি বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটির বৈঠকে বাজেটের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘হঠাৎ রাজনীতির মাঠে গরম হাওয়া’। খবরে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকাল এরই মধ্যে আট মাস পেরিয়ে ৯ মাসে পড়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ কতটা এগোল এবং কবে নির্বাচন হচ্ছে, তা এখনো খুব স্পষ্ট নয়। সংস্কার ও নির্বাচনের টাইমফ্রেম নিয়ে জুলাই- আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য ও দূরত্ব বাড়ছে। এই অবস্থায় আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হতে যাচ্ছে।

এই বৈঠকে বিএনপি নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ সম্পর্কে জানতে চাইবে এবং বিষয়টি সম্পর্কে সরকারের অবস্থান জানার পর তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণ করবে। দলটির পক্ষ থেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে যাওয়ারও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। বিএনপির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোও দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন চায়।

আর জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংস্কারের রোডম্যাপ ও গণপরিষদ নির্বাচন। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর এই মতানৈক্যের মধ্যে সরকারের দুজন উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মন্তব্য, নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি জনপরিসরে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জে পালিত হয়েছে ‘মার্চ ফর ইউনূস’ কর্মসূচি। গত ১৩ এপ্রিল পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ‘আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন’ স্লোগানে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে ওই কর্মসূচি পালিত হয়।

সমকাল

‘ভোক্তার স্বস্তির বড় মূল্য দিতে হচ্ছে কৃষককে’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা এস এম শহীদুল কবির লিপু। ২৫ বিঘা জমিতে তাঁর সমন্বিত খামার। সেখানে নানা ধরনের সবজি ফলান তিনি। এবার ফলন আগের চেয়ে ভালো হয়েছে জানালেও কণ্ঠে ছিল হতাশার সুর।

হতাশার কারণও জানালেন লিপু। বললেন, ‘এবার রোজার সময় তোলা আমার একটা ফুলকপির উৎপাদন খরচ ছিল ১০ টাকা। ক্ষেতে বিক্রি করেছি দুই টাকা দরে। অথচ শহরে গিয়ে তা বিক্রি হয়েছে ২০ টাকায়। তাহলে আমি কী পেলাম? আমি কীভাবে টিকে থাকব?’ তিনি বলেন, রোজায় ভালো দাম পেতে সব কৃষক একসঙ্গে ক্ষেত থেকে সবজি তুলেছেন। কিন্তু দাম পড়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে সবাইকে।

এবার শীতকালে এবং রমজানের সময়ে সবজি, বিশেষ করে টমেটো, ফুলকপি, বেগুন, লাউ ইত্যাদির দাম অন্য বছরের চেয়ে কম ছিল। এতে ভোক্তারা স্বস্তি পেয়েছেন। কিন্তু উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় কৃষক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সম্প্রতি সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। কৃষকরা বলছেন, তাতেও শীত ও রোজার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পরিস্থিতি কৃষককে উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করবে। তাই কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান এবং ভোক্তাও যাতে খুশি থাকেন, তার জন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের সুপারিশ হচ্ছে পর্যাপ্ত হিমাগার তৈরি করা। কৃষকের ক্ষতির ঝুঁকি নিরসনে কৃষি বীমার ব্যবস্থা করা। কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য মূল্য কমিশন গঠন করা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে সচল করা।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘সুস্পষ্ট রোড ম্যাপ চাইবে বিএনপি’। খবরে বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ নিয়ে আলোচনা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ বুধবার বৈঠক করবে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দুপুর ১২টার দিকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দলটির নেতারা বলছেন, সরকারের তরফ থেকে সর্বশেষ বলা হয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি মনে করে, এটি কোনো সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ নয়। এজন্য নির্বাচন নিয়ে সরকার আসলে কী ভাবছে কিংবা তাদের অবস্থান কী, সেটা সুস্পষ্টভাবে জানতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবে তারা। গত দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে নানা মহলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ চাইব।’

এদিকে উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশা প্রকাশ করে বলেন, আলোচনার মধ্য দিয়ে, ঐক্যের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করব। নিঃসন্দেহে আমাদের মধ্যে ঐক্য সম্ভব হবে এবং আমরা সফল হব। আমরা নির্বাচনের নতুন রোড ম্যাপ আশা করছি। আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে শিফটিং হচ্ছে, এ সমস্যারও সমাধান হবে। এক সপ্তাহ সিংগাপুরে চিকিত্সা শেষে দেশে ফিরে সোমবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। এর আগে গত ৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিংগাপুরে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

নয়া দিগন্ত

‘এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আগামী ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের পূর্ণ উদ্যমে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এলডিসি উত্তরণবিষয়ক এক সভায় প্রধান উপদেষ্টা এই নির্দেশনা দেন। এ বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে বলেন,‘অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন- এলডিসি উত্তরণের বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে। এখন পূর্ণ উদ্যমে কাজ এগিয়ে নিতে হবে। সে অনুযায়ী যত ধরনের প্রস্তুতি নেয়া দরকার তা নিতে হবে, একইসাথে সতর্ক থাকতে হবে এলডিসি উত্তরণের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো খাত যেন কোনো ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। পাশাপাশি এলডিসি উত্তরণের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ সুবিধা কিভাবে আদায় করা যায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি জানান, এলডিসি উত্তরণের বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটারিং করতে একটি ডেডিকেটেড টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা বারবার বলে আসছেন। তিনি আজ (মঙ্গলবার) বলেছেন- এলডিসি উত্তরণের পরে এই কাজে যেন আরো গতি পায়। এলডিসি থেকে উত্তরণের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এ সময় উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

বণিক বার্তা

দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘এশিয়ায় প্রতিযোগী অর্থনীতির দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ সবচেয়ে কম’। খবরে বলা হয়, নিজস্ব উৎপাদন কাঠামো চীনের সীমানার বাইরে বিস্তারের কৌশল ‘চায়না প্লাস ওয়ান’ নামে পরিচিত। চীনের এ কৌশলকে আপন করে নিয়ে দেশটির বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।

এক্ষেত্রে চীনা বিনিয়োগের আরেক সম্ভাবনাময় গন্তব্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ তুলনামূলক অনেক কম।

সরকারি ভাষ্যমতে, ভূরাজনৈতিক বিচারে বাংলাদেশের অন্যতম মিত্র দেশ চীন। কিন্তু মোটা দাগে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশের অভাবেই বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আসছে না বলে জানিয়েছেন চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও চীন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে চীনা এফডিআই স্টক বা পুঞ্জীভূত প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৪১ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার বা ১ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সরকারি সূত্রের বরাতে ভিয়েতনামের গণমাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশটির এফডিআই স্টকের পরিমাণ অন্তত ৩০ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। জার্মানিভিত্তিক অনলাইন পরিসংখ্যান প্লাটফর্ম স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের এফডিআই স্টকের পরিমাণ ১২ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার।

মিয়ানমারের সরকারি সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত অনুমোদিত চীনা এফডিআইয়ের আকার অন্তত ২২ বিলিয়ন। যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল পর্যন্ত কম্বোডিয়ায় চীনের এফডিআই স্টকের পরিমাণ ১৯ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ায় চীনের এফডিআই স্টকের পরিমাণ ২৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

আজকের পত্রিকা

‘ঢাকা ছাড়তে পুলিশের আবেদনের হিড়িক’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম । প্রতিবেদনে বলা হয়, একসময় ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) পদায়নকে গর্বের মনে করতেন পুলিশ সদস্যরা। তাই ডিএমপিতে বদলি হতে চেষ্টা, তদবির, চিঠি, সুপারিশের অন্ত ছিল না। অথচ এখন ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশের অনেক অধস্তন সদস্য ঢাকার বাইরে বদলি হতে চাইছেন। পুলিশ সদর দপ্তরে ডিএমপি থেকে ঢাকার বাইরে বদলি চেয়ে সাড়ে সাত হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বদলির আবেদনকারী এই সদস্যদের মধ্যে আছেন কনস্টেবল, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও উপপরিদর্শক (এসআই) পদের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, ডিএমপির চাকরিতে এখন কাজের চাপ ও মানসিক চাপ দুটিই বেশি। এ জন্য তাঁরা রাজধানীর বাইরে যেতে চাইছেন।

আবেদনের এই হিড়িকে পুলিশ সদর দপ্তর এ মুহূর্তে কনস্টেবল, এএসআই ও এসআইদের বদলির সব আবেদন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএমপি থেকে কাউকে সরানো যাবে না বলে সব বিভাগকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এরপরও চেষ্টা-তদবির থামছে না।

সূত্র বলেছে, গত বছর জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী ঘটনাবলি ডিএমপির অধস্তন পুলিশ সদস্যদের মানসিকতায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আন্দোলন চলাকালে এবং ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে সবচেয়ে বেশি পুলিশের স্থাপনায় হামলা হয় রাজধানীতে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম ‘বিএনপি চাইবে ভোটের তারিখ’। খবরে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ এবং সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইবে বিএনপি। এ দুটি বিষয়ে সরকারের জবাবের ওপর নির্ভর করবে বিএনপির পরবর্তী পদক্ষেপ। দাবি আদায়ে কী ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হবে, সেসব বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে দলটি। তবে বৈঠকে ‘আলোচনা ও ঐক্যের’ মাধ্যমে নির্বাচনের রোডম্যাপের বিষয়টির নিশ্চয়ই সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সবার দৃষ্টি আজ যমুনায়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ দুপুর ১২টায় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদল বৈঠক করবে। বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ আরও কয়েকজন প্রতিনিধি থাকার কথা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠক সামনে রেখে গতকাল রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়েছে। এতে সরকারের সঙ্গে ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ’ ছাড়াও আরও যে বিষয়ে আলোচনা হবে সেসব নিয়ে কথা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আলোচনা অনেক বিষয়েই হবে। তবে মুখ্য বিষয় হলো, জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ। আমরা সুনির্দিষ্টভাবেই এই দুটি বিষয়ে জানতে চাইব। সরকারের পক্ষ থেকে কী জবাব আসে তার ওপর নির্ভর করবে আমাদের দলীয় পরবর্তী পদক্ষেপ। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হবে। নির্বাচনমুখী সংস্কারের বিষয়গুলোও আলোচনায় স্থান পাবে। বিশেষ করে নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের বিষয়টিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), প্রশাসন, সরকারি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও পদায়ন এসব বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।’

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘In coffins, from faraway lands’ অর্থাৎ ‘দূর দেশ থেকে কফিনে ফেরা’। অভিবাসী শ্রমিক যাদের মরদেহ সৌদি আরব থেকে ফেরানো হয়েছে, এমন ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

২০২২ সালে  কুমিল্লার কাজী সালাউদ্দিন সৌদি আরব যান। কিন্তু হঠাৎ এক বছর পরই মারা যান এই অভিবাসী শ্রমিক। তার মৃত্যু সনদে হৃদরোগ কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে তার পরিবার এটি মানতে পারছে না।

কারণ ওই ব্যক্তির হৃদরোগজনিত সমস্যা বা অন্য কোনও অসুস্থতার ইতিহাস ছিল না বলছে পরিবার।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তথ্য অনুসারে, গত বছর চার হাজার ৮১৩ জন অভিবাসী শ্রমিকের মৃতদেহ দেশে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিলেন সালাউদ্দিন।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২০ সাল থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের মৃত্যুর হার ক্রমাগত বাড়ছে। গত বছর এই সংখ্যা চার হাজার ৮১৩ তে পৌঁছায়। যা ২০২৩ সালে ছিল চার হাজার ৫৫২।

২০২২ সালে তিন হাজার ৯০৪, ২০২১ সালে তিন হাজার ৮১৮ ও ২০২০ সালে তিন হাজার ১৪০ জন অভিবাসী শ্রমিকের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

বহু আকাঙ্খিত এ সরকার। অনেক রক্ত ও পঙ্গুত্বের মাধ্যমে অর্জিত এ সরকার। মানুষের আশায় ধুলোবালি দিচ্ছে কারা কেন দিচ্ছে তা বোধগম্য নয়। উপদেষ্টারা ২৪ এর আকাঙ্খার বিপরীত অবস্থানে যাচ্ছেন। দেশের দুর্ভোগের সময় একজন তরুণ বিদেশে তার সুখের জীবন ফেলে দিয়ে হঠাৎ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নাড়া দিচ্ছেন। আর এ সময়ে নতুন শিল্পে গ্যাসের মুল্য বৃদ্ধি করছেন যিনি বা যারা তা প্রশ্নের দাবী রাখে। সরকার সব পণ্যে মানুষ থেকে ভ্যাট নিতে হবে এমন তো নয়। এখন তো আর টাকা পাচারের জন্য পণ্যের উপর ভ্যাট চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে না। ১৪ টাকার বদলে ৪ টাকা নিলে বা ক্ষতি কী? এখানে তো আর সরকারের ব্যয় নেই।

শহিদ
১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৯:৫৮ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status