অনলাইন
আমেরিকার থেকে দূরত্ব বাড়ার জের, ৮৫০০০ এরও বেশি ভারতীয়কে ভিসা দিলো চীন
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ দিন আগে) ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৩:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক আপাতত স্থগিত করা হয়েছে ৯০ দিনের জন্য। তবে এই ছাড় থেকে রেহাই পায়নি চীন। এই শুল্কযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই আমেরিকার শুল্কনীতির বিরুদ্ধে ভারতকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিল চীন। শি জিনপিংয়ের সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, ‘ভারত ও চীনের একে অপরের সাফল্যের অংশীদার হওয়া উচিত এবং ‘ড্রাগন ও হাতির ব্যালে নৃত্য’—অর্থাৎ একটি সহযোগিতামূলক পথ-ই একমাত্র বিকল্প’।
এরই মাঝে ভারতীয় বন্ধুদের জন্য উদার বেইজিং। চীনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং এক্সে জানিয়েছেন, ‘৯ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত, ভারতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলো এই বছর চীন ভ্রমণকারী ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ৮৫,০০০-এরও বেশি ভিসার অনুমোদন দিয়েছে। আরও ভারতীয় বন্ধুদের চীন ভ্রমণে স্বাগত জানাই। একটি উন্মুক্ত, নিরাপদ, প্রাণবন্ত, আন্তরিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ চীনের অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।’
ভারত ও চীনের মধ্যে ভ্রমণ সহজতর করার জন্য চীন সরকার বেশ কিছু শিথিলতা চালু করেছে:
১. ভারতীয় আবেদনকারীরা এখন পূর্ববর্তী অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই কর্মদিবসে সরাসরি ভিসা কেন্দ্রগুলোতে তাদের ভিসা আবেদন জমা দিতে পারবেন।
২. স্বল্প সময়ের জন্য চীন ভ্রমণকারীদের বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে , যার ফলে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় হ্রাস পাবে।
৩. এখন চীনা ভিসা অনেক কম মূল্যে পাওয়া যাবে, যা ভারতীয় পর্যটকদের জন্য ভ্রমণকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলবে। ৪. ভিসা অনুমোদনের সময়সীমা আরও সহজ করা হয়েছে, যা দ্রুত ভিসা ইস্যু করার সুযোগ করে দিয়েছে। ব্যবসায়িক এবং অবসর যাপনের জন্য ভ্রমণকারী উভয়কেই উপকৃত করেছে।
৫. চীন ভারতীয় পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য সক্রিয়ভাবে প্রচার করছে। উৎসব এবং গন্তব্যস্থলের মতো তার সাংস্কৃতিক এবং ঋতুগত আকর্ষণগুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং ভারত-চীন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেছেন , ‘চীন-ভারত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পারস্পরিক সুবিধার উপর ভিত্তি করে তৈরি। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের অপব্যবহারের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দুটি বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশের উচিত এই অসুবিধাগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য একসাথে দাঁড়ানো। সকল দেশের উচিত একে ওপরের সাথে পরামর্শ করে চলা, সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতা অনুশীলন করা, সকল ধরণের একতরফা আচরণের যৌথভাবে বিরোধিতা করা।’
সূত্র: এনডিটিভি