অনলাইন
চাপে ফেলতে আমেরিকা থেকে বোয়িং বিমান কেনা বন্ধ করল চীন
মানবজমিন ডিজিটাল
(৬ ঘন্টা আগে) ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১২:১৭ অপরাহ্ন

আমেরিকা-চীন শুল্কযুদ্ধ নিয়ে আপাতত সরগরম বিশ্ব রাজনীতি। একদিকে যেমন চীনা পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন, তেমনই আবার বেইজিংয়ের তরফেও মার্কিন পণ্যের উপর জারি হয়েছে নয়া শুল্ক। ঠিক যেন ‘ঠান্ডা লড়াই’-এ মেতেছে বিশ্বের দুই মহাশক্তি। এই পরিস্থিতিতে চীন তাদের উড়ান সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে নতুন করে মার্কিং বহুজাতিক সংস্থা বোয়িং কোম্পানির থেকে কোনও বিমান যেন অর্ডার না করা হয়। সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ এখবর সামনে এনেছে। বোয়িংকে নতুন বিমান সরবরাহের বরাত না দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার নির্দেশ দিয়েছে চীনা বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলোকে। পাশাপাশি, বোয়িং নির্মিত বিমানের যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও চীন নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। বোয়িং এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। তবে আজ সকালের লেনদেনে বিমান সংস্থাটির শেয়ারের দাম ১.৬% কমে ১৫৬.৭৪ ডলারে নেমে এসেছে।
মার্কিন পণ্যের উপর চীনের প্রতিশোধমূলক শুল্ক ১২৫% বৃদ্ধির পর এবার বোয়িং জেটের আমদানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হল। আসলে ট্রাম্প ১৪৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছেন চীনা পণ্যের উপরে। আর তারই ফলশ্রুতি বেইজিং মার্কিন সংস্থাগুলো থেকে কোনও বিমান বা বিমানের যন্ত্রাংশ কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। নিঃসন্দেহে এর ধাক্কা মার্কিন বাণিজ্যের উপরেও পড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এভিয়েশন ফ্লাইটস গ্রুপের তথ্য উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, বোয়িং চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স, এয়ার চায়না এবং জিয়ামেন এয়ারলাইন্স সহ চীনা ক্যারিয়ারগুলোতে প্রায় ১০টি ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। ৮ এপ্রিল কোম্পানিটি জানিয়েছে, প্রথম দফায় বোয়িং ১৩০টি বিমান সরবরাহ করেছে, যার মধ্যে ১০০টিরও বেশি ৭৩৭ জেট রয়েছে।
ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে ট্রাম্প এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, লিখেছেন যে চীন বড় বোয়িং চুক্তি থেকে সরে এসেছে, বলেছে যে তারা বিমানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কোনো সরঞ্জামের সরবরাহ নেবে না। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে যে চীনা বিমান সংস্থাগুলো যে কয়েকটি বিমানের অর্ডার দিয়েছিল তার কিছু অর্থ প্রদান এবং সরবরাহের কাগজপত্র এই মাসের শুরুতে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই সম্পন্ন হয়ে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে, কিছু বিমান চীন গ্রহণ করতে পারে বলে মনে করছে সংবাদ সংস্থাটি।
সূত্র : সিবিএস নিউজ
পাঠকের মতামত
Everyone needs to stop buying US products till they stop supporting Israel.